পাহাড় কেটে সীমানা  দেওয়ার ফলে যাতায়াতে দূর্ভোগ স্থানীয় লোকজন, শিক্ষার্থী ও মুসল্লীদের

land-1-copy

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ি বাজার এলাকায় চলাচলের রাস্তা, ড্রেন এবং পাহাড় কেটে দখল নিয়ে সিমানা বেড়া দেওয়ার ফলে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষাথীরা এবং বসবাসরত লোকজনের যাতায়াতে দেখা দিয়েছে চরম দূর্ভোগ। স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ এলাকার লোকজন উক্ত ঘটনা নিয়ে  মিমাংসা করার জন্য গেলে বিবাদী গং বিচারকদের হেয় প্রতিপন্য করে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাযায় বড়ইছড়ি বাজার এলাকায় বসবাসরত আবুল কালাম (ট্রেইলার) দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত খরিদকৃত নিজ জায়গায় বসবাস করে আসছে। একই এলাকার বসবাসরত বিবাদী আবুল কালাম (সাবেক আনসার সদস্য) ও তার সহোদর মো: দুলাল সীমানা নিয়ে আামার সাথে বিবাদ হলে তারা দু‘ভাই সকলের চলাচলের রাস্তা বাঁশ ও বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এতে করে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এবং স্থানীয় বসবাসরত লোকজন দীর্ঘ দেড়মাস যাবত বন্ধ রাস্তা দিয়ে চলাচল এবং সঠিক সময় মসজিদে গিয়ে নামাযও আদায় করতে পারছে না।

আবুল কালাম (ট্রেইলার) স্থানীয় হেডম্যান কে ঘটনাটি জানালে হেডম্যান স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সাবেকসদস্য সহ আরো ৫জনকে ঘটনাস্থলে পাঠালে বিবাদী গং উক্ত ইউপি সদস্যদের গাল মন্দ এবং প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে স্থান ত্যাগ করায়। এ ব্যাপারে বিচারক বাদী হয়ে দীপ্তীময় তালুকদার কাপ্তাই থানায় একটি সাধারন ডায়রি দায়ের করেন যার নং ৯৭৩। উক্ত বিবাদীগন স্থানীয় পাহাড় কেটে চলাচলের রাস্তা ও ড্রেন ভরাট করে বস্তা দিয়ে চলাচলের জায়গা দখল করে নেওয়ার অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে অরুন তালুকদার (হেডম্যান) লিখিত অভিযোগ করে বলেন, জোর পূর্বক চলাচলের রাস্তা ও ড্রেন দখল নেওয়ায় যুক্তি যুক্ত নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে বাদী   আবুল কালাম(ট্রেইলার) বলেন, জোর পূর্বক  চলাচলের রাস্তা, ড্রেন বন্ধ করে  দেওয়ার ফলে আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলে স্কুলে   যাতায়াত করতে পাড়ছেনা। এবং পাশে বসবাসরত লোকজন কোন আত্বীয়-স্বজন প্রয়োজনে বাসায় আসা এবং সঠিক সময় মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করতেও পাড়ছেনা । তাই প্রশাসনের নিকট ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক  যাতায়াতের রাস্তা খুলে দেওয়ার জন্য আহ্বান করছি।

এ ব্যাপারে আবুল কালাম (ট্রেইলার) কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন