পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টের পেছনে মতলববাজি মহলের সম্পৃক্ততা রয়েছে- ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টের পেছনে মতলববাজি মহলের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (৪ মে) সন্ধ্যায় সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমীতে খেলাঘর কেন্দ্রীয় আসরের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ ইঙ্গিত দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাহাড়ে আজও রক্তপাত হলো। শান্তির মধ্যে অস্থিরতা তৈরির জন্য একটা মতলবি মহল সক্রিয়। বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, এটা অনেকের ঈর্ষার কারণ। সোজা পথে পারে না, বাঁকা পথে আসে। আলোতে পারে না, অন্ধকারের আশ্রয় নেয়। রক্তপাতের আশ্রয় নেয়, ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা নির্বাচনের বছর, এ বছর অনেক অঘটন ঘটার পাঁয়তারা আছে, চক্রান্ত আছে। কারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন যখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়, তখন চোরাগলি দিয়ে ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ বেড়ে যায়। আমাদের দেশে নানান ঘটনা হচ্ছে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমিতে খেলাঘর কেন্দ্রীয় আসরের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পাহাড়ে আজ যা ঘটছে এগুলো বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। মায়ের মৃত্যুর পর আমার দু’চোখ ভরে জল এসেছে। আমি যখন পাহাড়ের এক তরুণ উপজেলা চেয়্যারম্যানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর পাই, তখনও তাই হয়েছে। সকাল বেলা মর্নিং ওয়াকের সময় প্রায় তার সঙ্গে আমার কথা হতো। আমাকে ফোন করত। গতকালও ফোন করেছিল, আজ তার ফোন পাইনি। এই ছেলেটি কত যে ত্যাগী, কত যে সৎ আমি জানি!
তিনি বলেন, আমাকে বলেছিল পরশু দিন, ভাই আপনার কাছে কিছুই চাওয়ার নাই। আমার জীবন ঝুঁকির মুখে। আমার মেয়েটা রাঙ্গামাটি মেডিকেলে পড়ে। ওখানে আমি কিছুতেই তাকে নিয়ে স্বস্তিতে থাকতে পারছি না। নিজেও শহরে যেতে পারি না। নানিয়ারচর উপজেলায় থাকে। আমার একটা অনুরোধ, মেয়েটিকে একটু রক্ষা করেন, চট্টগ্রাম অথবা ঢাকায় তাকে ট্রান্সফার করে দেন।
কাদের বলেন, মেয়ের জীবন ঝুঁকির মুখে বলল, আর তার জীবন শেষ হয়ে গেল। আর তার জন্য আজও ৪/৫ জন মারা গেল! খেলাঘর কেন্দ্রীয় আসরের চেয়ারপার্সন অধ্যাপিকা পান্না কায়সারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, অধ্যাপক সামছুজ্জামান খান, নুরুর রহমান সেলিম, কামাল চৌধুরী, অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারি, শমী কায়সার।
অনুষ্ঠানে বজলুর রহমান ভাইয়া স্মৃতিপদক তুলে দেয়া হয় অধ্যাপক সামছুজ্জামান খান, কামাল চৌধুরী ও অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারির হাতে।