পাহাড়ে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও কমিশনের পরিচালক আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর বলেছেন,পাহাড়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুলিশ ও আনসার সদস্যরাও জীবনের নিরাপত্তার হুমকিতে রয়েছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে তাদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা ব্রাশ ফায়ার করেছিল। ঘটনার পর পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আতংকের রয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ৭ খুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে সাক্ষাত শেষে ফেরার পথে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও কমিশনের পরিচালক আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন সকালে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ চললেও ৯টার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সন্তু গ্রুপ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বড় ঋষি চাকমার লোকজন ভোটারদের হুমকি প্রদর্শন করে এবং নির্বাচন বয়কট করে। এছাড়া নির্বাচনের আগের রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনকে ঘিরে কোন অনিয়ম হলে তার দায় দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। ভোটগ্রহণ শেষে যখন বিজিবি গাড়ীসহ অন্য ৩টি গাড়িতে করে ভোটের সরঞ্জাম, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট জনবল যাচ্ছিল তখনই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নিশ্চিত এটি নির্বাচনী সহিংসতা।
গত ১৮ মার্চ বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শেষে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হয় ৭ জন এবং আহত হয় ২৯ জন। ঘটনার প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সুয়োমোটো অভিযোগ গ্রহণ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীরকে আহ্বায়ক এবং রাঙামাটি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (আইন) মো. শাহ পরানকে সদস্য সচিব করে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) চট্টগ্রাম সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের সাথে কথা বলেন। আগামী (২৭ মার্চ) বৃহস্পতিবারের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে বলে জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর।