পাহাড়ে তুলা চাষের সম্ভাবনা
ফাতেমা জান্নাত মুমু:
রাঙামাটি তুলা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় তুলা চাষ করা হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। কম কষ্টে অধিক লাভের কারণে তুলা চাষে আগ্রহ বেড়ছে কৃষকদেরও।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, একটা সময় তুলা চাষের বিক্ষাত রাঙামাটি জেলা কার্পাশ মহল নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু দীর্ঘ বছর আর কালের পরির্বতনের কারণে তুলা চাষ আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে এখন আবারও শুরু হয়েছে রাঙামাটি জেলায় তুলা চাষ।
ইতোমধ্যে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, জুড়াছড়ি, কাউখালী, নানিয়ারচরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় তুলা চাষের দার উন্মোচন হয়েছে। পাহাড়ের অনেক জুমচাষী তুলা চাষ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার তুলাচাষী ধনা চাকমা জানান, পাহাড়ি জমিতে তুলা চাষ করে বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে লাভও অনেক হয়েছে। তিনি জমিতে সিবি-১২, সিবি-১৩ এবং সিবি-১৪ জাতের তুলা চাষ করেছেন। তবে তুলার দাম একটু কম। তুলা বাগানে পানি কম লাগে। তাই তেমন কষ্ট করতে হয়না চাষীদের। তাছাড়া পাহাড়ে অনেক কৃষক তুলা চাষ করে আর্থীকভাবে লাভবান হয়েছে। সরকারীভাবে ঋণ সহায়তা পেলে আগামীতে আরও ব্যাপকভাবে তুলা বাগান করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে রাঙামাটি তুলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র চাকমা জানান, তুলা একটি লাভজনক ফসল। রাঙামাটি জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় তুলা চাষের আগ্রহ বেড়েছে চাষীদের। তাই তুলা চাষীদের সঠিকভাবে চাষের পদ্ধতিগত প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
গত অর্থ বছরে রাঙামাটি জেলার ৫ হাজার ৬শ ৮৫ হেক্টর জমিতে ১২শ৫০ মেট্রিকটন তুলা উৎপাদিত হয়েছে। চলতি বছর ৬ হাজার হেক্টরে ১৩শ মেট্রিকটন তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
এদিকে পাহাড়ে সম্ভাবনাময় তুলা চাষকে কাজে লাগাতে পারলে তামাকের আগ্রাসন থেকে আবাদযোগ্য ফসলি জমি রক্ষা পাবে। তুলা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে সরকারীভাবে জরুরী উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।