পাহাড়ে অপহরণ ৭, ইউপিডিএফ’র নিন্দা

নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি:
পাহাড় থেকে ৭ ব্যক্তিকে অপহরণের ঘটনায়  ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। সংগঠনটির প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠক শান্তি দেব চাকমার বক্তব্যে বলেন, গেল ১৯ সেপ্টেম্বর বিধান চাকমার নেতৃত্বে জেএসএস সংস্কারবাদী সন্ত্রাসীরা দীঘিনালার বাবু ছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা  শৈব রঞ্জন চাকমার ছেলে  মোহন লাল চাকমাকে  এক ব্যক্তিকে খাগড়াছড়ির  দীঘিনালা সদরে ডেকে সেখান থেকে অপহরণ করে মেরুং-এর মনের মানুষ এলাকায় নিয়ে যায়। পরে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
গেল ২২ সেপ্টেম্বর জেএসএস সংস্কারবাদী সন্ত্রাসীরা একই জেলার দীঘিনালার ২ নং বোয়ালখালি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কাট্টলী মুরো গ্রামের বাসিন্দা রতন কুমার চাকমার ছেলে কালা চাকমাকে (৩৫) অপহরণ করে। তাকে পরে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
গেল ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টায় জেএসএস সংস্কারবাদীরা খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের মায়াফা পাড়া থেকে তীর্থ মোহন ত্রিপুরার ছেলে চন্দন ত্রিপুরাকে (৪৫) নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। অপহরণের পর তার মুক্তির জন্য পরিবারের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু যথাসময়ে ধার্যকৃত টাকা দিতে ব্যর্থ হলে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
জেএসএস সংস্কারবাদীরা গেল ২৫ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির নানিয়াচর বাজার থেকে দক্ষিণ মরাচেঙ্গী গ্রামের তিন ব্যক্তিকে অপহরণ করে। এরা হলো- প্রভাব চন্দ্র চাকমার ছেলে জয়ধন চাকমা (৩৫), বড় পেদা চাকমার ছেলে ভাগ্যধন চাকমা (৩৮) এবং মুরতি রঞ্জন চাকমার ছেলে  অনাময় চাকমা (২৭) । তাদের মুক্তির জন্য পরিবারের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছে।
গেল ২৬ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা সদর থেকে রূপকারী ইউনিয়নের গলাছড়ি গ্রামের বাসিন্দা নোয়ারাম চাকমাকে অপহরণ করা হয়। সংস্কারবাদীরা তাকে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতনের পর ছেড়ে দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে শান্তি দেব জানান, গেল বছর নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত জেএসএস সংস্কারবাদীরা মোট ২৬ জনকে খুন ও কমপক্ষে ৯২ জনকে অপহরণ করেছে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে ইউপিএিফ’র প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরণ চাকমা জানান, জেএসএস সংস্কার পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করছে। তাদের বিরুদ্ধে  যথাযথ ব্যবস্থা নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
তবে এ ধরণের ঘটনা অস্বীকার করেছে জেএসএস সংস্কার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংগঠনটির এক নেতা বলেন, ইউপিডিএফ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন