পাহাড়ি-বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে অস্ত্রধারীদের প্রতিহত করার আহ্বান ওয়াদুদ ভূইয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া বলেছেন, পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না। তিনি অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে পাহাড়ি বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সহাবস্থান নিশ্চিতের মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা আহ্বান জানান।

বুধবার খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

ওয়াদুদ ভূইয়া আরো বলেন, বাঙালিরা পাহাড়ীদের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে আর পাহাড়ীরা বাঙালিদের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে কেউ কাউকে তাড়াতে পারবে না। হানাহানি বন্ধ করে অস্ত্রধারী ও উস্কানীদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে পাহাড়ি বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

আগামী বছর দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে পাহাড়ের মানুষ শান্তিতে থাকে। উন্নয়নের ছোঁয়া পায়। তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া তথা বিএনপিকে সরকার গঠন করতে জনগণের রায় চান তিনি। আর যারা বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে আসতে নেতাকর্মীদের হামলা, বাধা, ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন ওয়াদুদ ভূইয়া তাদেরকে বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি সহনশীল আচরণ করার অনুরোধ জানান। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকলেও তাদের প্রতিও সহনশীল থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

মাটিরাঙা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি প্রবীণ চন্দ্র চাকমা, আবু ইউসুফ চৌধুরী, মনীন্দ্র কিশোর ত্রিপুরা, ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ভূইয়া ফরহাদ, মাটিরাঙা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, এডভোকেট আব্দুল মালেক মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএন আবছার, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম সবুজ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিলসহ জেলা, উপজেলা, পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, মাটিরাঙার বর্ণাল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজনের কথা থাকলেও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের বাধারমুখে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ইফতার মাহফিল করা হয়। তা সত্ত্বেও ইফতার মাহফিল জনসভায় রূপ নেয়। প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা হলেও অনেকেই ইফতার পাননি বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন