পাহাড়ি পর্যটনে অপার সম্ভাবনায় সন্ত্রাসীদের বাধা

20161007_114646

মমিনুল ইসলাম, পার্বত্যাঞ্চল থেকে ফিরে:

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান। অপরূপ সুন্দর আর চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত উঁচু-নিচু পাহাড়, পাহাড়ের বুক চিরে প্রবাহিত ঝর্ণা দেখলেই যেন মন ভরে যায়। হাত বাড়ালেই যেন ছোঁয়া যায় মেঘ। তাই একটু ছুটি পেলেই পাহাড়ি এলাকায় ভিড় জমান ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা। সঙ্গত কারণেই এসব পাহাড়ে রয়েছে কৃষি, পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, পার্বত্য এলাকায় পর্যটন বিকশিত করতে পারলে প্রতি বছর সরকার ৪ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করতে পারবে। কিন্তু এ এলাকায় পর্যটন বিকাশে পদে পদে বাধা দিচ্ছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। এমনকি পর্যটকদের আগমন ঠেকাতে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে, আর চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ। অন্যদিকে, পর্যটন নিয়ে চালানো হচ্ছে নানা অপপ্রচার।

এসব পর্যটনকেন্দ্রকে ঘিরে গড়ে ওঠা হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, দোকান ও যানবহন ব্যবস্থাপনায় শত শত মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই পাহাড়ি। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও অনগ্রসর কৃষি পদ্ধতির জুম চাষ ছিল যাদের একমাত্র আয়ের উৎস।

পর্যটকদের এখনও সেনা-পুলিশের পাহারা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয় পাহাড়ে। অন্যথায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়। পর্যটকদের প্রশ্ন, এভাবে ঘুরে বেড়াতে কার ভালো লাগে? অপরদিকে, এই এলাকায় যাতে পর্যটকরা না আসেন সে জন্য আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বছরজুড়ে চালানো হয় নানা অপপ্রচার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাবর্ত্য এলাকায় বেশ কিছু পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। পর্যটন আকৃষ্ট এসব অঞ্চলকে অশান্ত করতে দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা নানাভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এসব পর্যটনকেন্দ্রে মানুষের আগমনে সন্ত্রাসীদের আধিপত্য বিস্তারে বাধার সৃষ্টি হওয়ায় পার্বত্য এলাকায় পর্যটন শিল্পের বিরুদ্ধে পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে। তাদের এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। তারা কঠোর হস্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

 সরেজমিনে জানা গেছে, সাজেক, কাপ্তাই ও পাবর্ত্য এলাকায় যাতে পর্যটকরা না আসে এ জন্য পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। জায়গায় জায়গায় পর্যটনবিরোধী পোস্টার লাগানো হয়েছে। অপপ্রচার করা হচ্ছে পর্যটনের নামে নাকি স্থানীয় উপজাতিদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। পর্যটকদের ভয়ভীতি দেখানো হয়, বিভিন্ন হোস্টেল ও রিসোর্টের মালিকদের কাছ থেকে উচ্চহারে চাঁদা আদায় করা হয়। এমনকি বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়।

বাংলার দার্জিলিং খ্যাত সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে এখানে থাকার জন্য কক্ষ পাওয়া যায় না। আগে থেকেই বুকিং হয়ে যায়। প্রতিটি কক্ষের ভাড়া এক হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। সরকারি রিসোর্টের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে অনেক বেসরকারি রিসোর্ট, হোটেল। ছয় মাস আগে যেগুলো একতলা ছিল সেগুলো এখন দোতলা হয়ে গেছে। এ পর্যটনকেন্দ্রটি ব্যাপকভাবে বদলিয়ে দিয়েছে স্থানীয় পিছিয়ে পড়া পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবন-যাপন পদ্ধতি।

সাজেক এলাকার বাসিন্দারা বলেন, আমরা এই পর্যটনকেন্দ্রের কারণে অনেক উপকৃত হচ্ছি। এখানকার দরিদ্র জনগণের ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটেছে। এখন আমরা স্ত্রী-পরিবার নিয়ে খেয়ে-পরে সুখে বাস করতে পারছি। আমরা পাহাড় পুড়িয়ে জুম চাষ করতাম। কিন্তু এখন এই পর্যটনকেন্দ্রের আয় দিয়েই গোটা বছর চলে যায়। কষ্ট করে জুম চাষ করতে হয় না। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াও ভালোভাবে করাতে পারছি। কিন্তু কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী নানাভাবে এই পর্যটনকেন্দ্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে ৩৫ জন দরিদ্র ত্রিপুরা, মিজো ও পাংখু সম্প্রদায়ের লোকের সরাসরি কর্মসংস্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় ব্যক্তির উদ্যোগে ছোট বড় ৩০-৩৫টি রিসোর্ট, হোস্টেল গড়ে উঠেছে, যার দ্বারা আরো অনেক পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন হয়েছে। এই পর্যটনকে কেন্দ্র করে একটি ডিজিটাল স্কুলও গড়ে উঠেছে।

পাহাড়ি পর্যটনে অপার সম্ভাবনা, সন্ত্রাসীদের বাধাএ পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ করার জন্য নানামুখী চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। কয়েক মাস আগে ‘বৃহত্তর সাজেক ইউনিয়নবাসী’ ব্যানারে পর্যটনের বিরুদ্ধে একটি লিফলেট প্রচার করেছে সন্ত্রাসীরা। অন্যদিকে, সন্ত্রাসীদের লিফলেট প্রচারের বিরুদ্ধে ‘রুইলুই ও কংলাকপাড়ার দরিদ্র এলাকাবাসী’ পাল্টা লিফলেট প্রচার করেছে।

সাজেক এলাকার পর্যটন সমিতির প্রশাসক সিয়াতা লুসাই বলেন, এখানকার পর্যটন শিল্পের বিরুদ্ধে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। তারা চাঁদা দাবি করে, এলাকায় ভয়ভীতি দেখায়।

সাজেক পর্যটন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনিত্য ত্রিপুরা যমুনা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমাদের সমিতির সদস্য ১৬ জন। এখানে ৩৫-৩৬টি আবাসিক হোটেল রয়েছে। এতে ৩-৪ হাজার মানুষ একত্রে বাস করতে পারে। আমার দুটি হোটেল রয়েছে। তা থেকে প্রতি মাসে ৩০-৩৫ হাজার টাকা আয় হয়। আগে জঙ্গলে জুম চাষ করতাম, এখন আর জুম চাষ করতে হয় না।

তিনি জানান, একটি গ্রুপ পাহাড়ে পর্যটনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তবে এখন আঞ্চলিক সংগঠনগুলো কোনো চাপ দিচ্ছে না। কিন্তু সেনাবাহিনীর উপস্থিতি না থাকলে তারা চাঁদা চাইতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।

সাজেকে দিনে কয়েকবার, সকাল-বিকেল ও দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রহরায় পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয় আবার তাদের পরিদর্শন শেষ হলে ফিরিয়ে আনা হয় একই ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্য দিয়ে।

পাহাড়ে পর্যটনের সম্ভাবনা সর্ম্পকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা বাবু দীপঙ্কর তালুকদার বলেন, যদি পর্যটনকে ভালোভাবে বিকশিত করা যায়। তাহলে আমরা পাহাড়ের পর্যটন থেকে সরকারের জাতীয় রাজস্ব খাতে কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিতে পারি। কিন্তু কিছু সন্ত্রাসী পর্যটকদের পকেট হাতিয়ে টাকা পয়সা নিয়ে নেয়। চুরি, সন্ত্রাসীর কারণে পর্যটন বিকশিত হচ্ছে না।

খাগড়াছড়ি জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম শফি বলেন, আলুটিলা ইকোট্যুরিজম পর্যটনসহ বিভিন্ন স্থানে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। আলুটিলা থেকে কোনো বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ছাড়াই সেখানে ইকোট্যুরিজম তৈরি করা যাবে। কিন্তু একটি মহল এ পর্যটনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন খাতের উন্নয়নে সম্প্রতি সদর ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার তিন মৌজার ৭০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির মাধ্যমে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। এসব এলাকার উপজাতিদের উচ্ছেদ আতঙ্কে পাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠনগুলো এ নিয়ে প্রতিবাদ ও আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। এ জন্য বর্তমানে এ প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।

তিন জেলার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান:

রাঙামাটি

সাজেক১

তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙামাটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় জেলা। চারটি পর্বতমালা রাঙামাটিকে বেষ্টন করে আছে। এখানকার পাহাড়গুলো সংকীর্ণ উপত্যকায় ভরপুর।

রাঙামাটিতে সাজেক ভ্যালি, কর্ণফুলী হ্রদ, পর্যটন মোটেল ও ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝর্ণা, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, ফুরমোন পাহাড়, রাজবণ বিহার, তিনটিলা বণবিহার ও উপজাতীয় যাদুঘর প্রভৃতি রয়েছে।

এ পর্বতমালাগুলোর মধ্যে ফুরামোন পর্বত হচ্ছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাকে কাজে লাগালে এ পাহাড়টি ভবিষ্যতে হতে পারে সম্ভাবনাময় আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র।

পশ্চিমে ফুরামোন পর্বতমালার উচ্চতা (সর্বোচ্চ) ১৫১৮ ফুট। পূর্বে দোলা ঝিরি বেশ কিছু জলপ্রপাত সমৃদ্ধ। শীতকাল ও শুষ্ক মৌসুমে ভ্রমণপিপাসু পর্যটক এ ফুরামোন পর্বতশৃঙ্গ ভ্রমণ করে থাকে। এ ছাড়া পর্বতারোহীদের পছন্দের পর্বত এটি। এর চূড়ায় দাঁড়ালে মনে হয়, হাত বাড়ালেই আকাশ ছোঁয়া যাবে। এখানে দাঁড়ালে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বেশ কিছু অংশ দেখা যায়।

রাঙামাটি আবাসিক হোটেল সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক নেছার আহমেদ বলেন, রাঙামাটিতে ৪২টি আবাসিক হোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি বেশ কয়েকটি রেস্টহাউজ আছে। সবগুলোতে ধারণক্ষমতা সাড়ে ৩ হাজারের মতো। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বর্তমানে পর্যটকবান্ধব।

পাহাড়ি পর্যটনে অপার সম্ভাবনা, সন্ত্রাসীদের বাধাপর্যটন করপোরেশন ও বিভিন্ন সূত্রের তথ্য মতে, ডিসেম্বরে কেবল তিন দিনে রাঙামাটিতে ৪০ হাজারের অধিক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এ তিন দিনে শুধু পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত ব্রিজে দর্শনার্থী প্রবেশ করেছে ১২ হাজারের অধিক। এতে করপোরেশনের প্রায় ২০ লাখ টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে।

এদিকে, পর্যটকের আগমন বাড়ায় কাপ্তাই হ্রদের টুরিস্ট বোট চালক, শহরের অটোরিকশা চালক, উপজাতীয় বস্ত্র বিতান ও হোটেল রেস্টুরেন্টগুলো ব্যস্ত সময় পার করছে।

রাঙামাটি জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ তরিকুল হাসান বলেন, পাবর্ত্যাঞ্চলে তুলনামূলক পর্যটকের আগমন বহুগুণে বেড়েছে।

বান্দরবান

বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পর্যটন স্পট নীলগিরি পাহাড়ের চুড়ায় মেঘের মিতালী

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার বান্দরবান। সারি সারি পাহাড় তার সঙ্গে পাহাড়ে বসবাসরত ১১ উপজাতি সম্প্রদায়ের বসবাস আমাদের দেশের অন্য জেলাগুলোতে চোখে পড়ে না। এসব উপজাতিদের ভাষা বৈচিত্র্য আর ভিন্ন ভিন্ন সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য এ জেলাকে করে তুলেছে আরো বৈচিত্র্যময়।

বান্দরবানে নীলাচল, নীলগিরি, বগালেক, মেঘলা, স্বর্ণমন্দির, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক পাহাড় ও ঝুলন্ত ব্রিজ অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র।

পাহাড়ি পর্যটনে অপার সম্ভাবনা, সন্ত্রাসীদের বাধাপর্যটকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন বান্দরবানের অন্যতম পর্যটন স্পট নীলাচলের কুয়াশায় ঢাকা পাহাড়ে। মেঘলা পর্যটনকেন্দ্র্রের লেকের স্বচ্ছ জলে, ঝুলন্ত সেতু আর ক্যাবল কারে। সাঙ্গু নদীতে ডিঙি নৌকায় চরে আর মেঘ পাহাড়ের নীলগিরি, জীবননগর, চিম্বুক, ক্যাওক্রাডং চূড়ায়।

২০১৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে বান্দরবানের অন্যতম দর্শনীয় স্থান স্বর্ণ মন্দিরে দর্শনার্থীদের প্রবেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়।

বান্দরবান হোটেল মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, পর্যটনশিল্পের বিকাশে পাহাড়ের মন্দা অর্থনীতি চাঙা হয়ে উঠেছে। আবাসিক হোটেলগুলোর সঙ্গে বান্দরবানে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রেস্টুরেন্ট এবং হস্তশিল্পের তৈরি শোপিজ, তাঁতের কাপড়ের দোকানসহ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, পাহাড়ের সম্ভাবনায় শিল্প হচ্ছে পর্যটন। এখানকার অর্থনীতির সঙ্গে পর্যটন শিল্প সম্পৃক্ত রয়েছে। পর্যটকনির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য পাহাড়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে অর্থনৈতিকভাবে দেশ আরও স্বনির্ভর হয়ে উঠবে।

বান্দরবন জেলার প্রায় ৫০টি আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউজ এবং সরকারি রেস্টহাউসগুলোয় সাত থেকে আট হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা রয়েছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ পর্যটকের সংখ্যাও কম নয়।

খাগড়াছড়ি

পাহাড়ি পর্যটনে অপার সম্ভাবনা, সন্ত্রাসীদের বাধাখাগড়াছড়ির আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র কলাংপাড়া, দীঘিনালা বনবিহার, রিছাং ঝর্ণা, আলুটিলা রহস্যাময় গুহা ও সাংকসর নগর বৌদ্ধা মন্দির।

খাগড়াছড়ি জেলা হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত ত্রিপুরা বলেন, জেলায় ২২টি বেসরকারি হোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউজ ও কয়েকটি সরকারি রেস্টহাউস রয়েছে। এগুলোতে ধারণক্ষমতা দুই হাজারের মতো। কিন্তু প্রতিদিনই তিন থেকে চার হাজার পর্যটক বেড়াতে আসেন। পর্যটকের আগমন বাড়ছে প্রতিদিনই।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন