পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ২০১৭-১৮ সম্পন্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
শনিবার বিকেলে রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের ৭ম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ২০১৭-১৮ সম্পন্ন হয়েছে। জেলা ও তৃনমূল নেতাদের ভোটে ২জনই সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায়, উপদেষ্টা মণ্ডলীর পরামর্শে তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে মো. আব্দুল মজিদ ও ইব্রাহিম মনির উভয়কেই সভাপতি ঘোষণা করেন।
প্রত্যেকে ১বৎসর ১বৎসর করে(প্রথমে মজিদ পরে ইব্রাহিম মনির) যৌথ ভাবে কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন এবং সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে মো. তৌহিদুল ইসলাম ও সারোয়ার জাহান খানকে মনোনিত করা হয়। সাহাদাৎ ফরাজি সাকিবকে সাধারণ সম্পাদক, সাদেকুর রহমানকে যুগ্ম সম্পাদক এবং কাউছার কে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে মোট ৬ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৮টার পর্ন্ত পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. আব্দুল হামিদ রানার সভাপতিত্বে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের এ ৭ম কাউন্সিলে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মণ্ডলীর সভাপতি ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান কর্তৃক সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এ কমিটিকে আগামী ৩০দিনের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মণ্ডলীর অনুমোদন নেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এ কাউন্সিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও উপদেষ্টা এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী, নাগরিক পরিষদের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা শেখ আহম্মেদ রাজু, মো. কামাল হোসেন ভুঁইয়া, প্রকৌশলী মো. আলী নুর অধ্যাপক ফজলুল হক, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা ও উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও নাগরিক পরিষদের নেতা আবুল কালাম আজাদ, নাদিম মজিদ প্রমুখ।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান-ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া-সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে, পার্বত্যাঞ্চালে যৌথ অভিযান চালিয়ে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের অস্ত্র উদ্ধার করা, পার্বত্য বাসীর প্রাণের দাবি-শীঘ্রই রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল কলেজের নিজস্ব ভবন করে দেয়া, বিতর্কিত ভূমি কমিশন আইন বাতিল করা এবং রাঙ্গামাটি লংগদুর শান্তি প্রিয় বাঙালিদের হয়রানী বন্ধ করে গণগ্রেফতার বন্ধ করার দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আগামীতেও পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও দেশের অর্থনীতির স্বার্থে সরকারের গৃহীত যেকোনো উদ্যোগকে বাঙালি সম্প্রদায় সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বাস দেন।