পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হতাহতের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান

বাইশারি প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের মনজয়পাড়ায় পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

বুধবার (২৩ মে) সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি নিহত এবং আহত পরিবারের সদস্যদেরকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন এবং মন্ত্রণালয় থেকেও প্রত্যেককে আরো ২৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।

এছাড়া বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের সদস্যদের মাঝে ২৫ হাজার টাকা এবং আহত পরিবারের মাঝে ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

পরিদর্শন শেষে বেলা ১১টায় মনজয়পাড়া গ্রামে স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক আলমগীর হোসেন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ দাশ, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কাজল কান্তি দাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি আলমগীর শেখ, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা খাইরুল বশর, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক শফিউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান মেম্বার, আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের কোম্পানী, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী, বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলম, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গেল সোমবার (২১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের মনজয়পাড়া এলাকায় পাহাড় কাটার সময় মাটি চাপা পড়ে ৫ শ্রমিক নিখোঁজ হন। পরে স্থানীয়রা নুর মোহাম্মদ (২৫) নামে একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজারে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন। ঘটনার ৭ ঘন্টা পর সন্ধ্যায় নুরুল হাকিম নামে আরেকজনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন পুলিশ, বিজিবি ও দমকলবাহিনীর সদস্যরা।

দীর্ঘ উদ্ধার তৎপরতা শেষে রাত সাড়ে ৮টায় বাকি তিন শ্রমিক মো. আবু আহমেদ (৩০), সোনা মেহের (৩৫) ও জসীম উদ্দিনের (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সুপায়েন বড়ুয়ার পরিবার অবৈধভাবে দখল করে পাহাড়টি কাটাচ্ছিলো।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন