পার্বত্য চট্টগ্রাম সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ সরকার যখন সারাদেশে সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম তখন সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এভাবে  চলতে পারে না। পার্বত্যবাসীর জীবনের স্বার্থে, পাহাড়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকারের উচিৎ অচিরেই পাহাড়ে এসব সান্ত্রাসী কার্যক্রমের উপর জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে চিন্তিত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে অপরাজেয় বাংলার সামনে আয়োজিত এক মানব বন্ধনে বক্তরা এসব কথা বলেন।

আয়োজক পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে চিন্তিত শিক্ষার্থীদের পক্ষে মিনহাজ মুরশীদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সোমবার (১৮ মার্চ) রাঙ্গামাটির সীমান্তবর্তী এলাকা সাজেক থেকে নির্বাচনী কার্যক্রম শেষে ফিরতি পথে ৯ কিলোমিটার নামক স্থানে নির্বাচনী দায়িত্বরত অফিসারসহ অন্যান্যদের বহনকারী গাড়িতে আক্রমণ করে পাহাড়ের উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা ৬ জনকে হত্যা করে। এসময় আরো ১৫ থেকে ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। পরবর্তীতে আহতদের মধ্য থেকে মারা যায় আরও ২ জন। গুরুতর অবস্থায় হেলিকপ্টারে করে আহতদের চট্টগ্রাম সিএমএইচ পাঠানো হয়।

বক্তরা বলেন, এভাবেই বছরের পর বছর ধরে সন্ত্রাসীদের কারণে পাহাড়ের সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে রয়েছে। শুধু খুন নয়, বরং সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, অপহরণসহ সব মিলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। পাশাপাশি পাহাড়ের অর্থনীতি, পর্যটন ও স্বাভাবিক জীবন আজ ঝুঁকির মুখে। বক্তরা আরো বলেন, এভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম চলতে পারে না। পার্বত্যবাসীর জীবনের স্বার্থে, পাহাড়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকারের উচিৎ অচিরেই পাহাড়ে এসব সান্ত্রাসীদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে এদেরকে নির্মূল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।