অমিত সম্ভাবনার পার্বত্য চট্টগ্রাম : শান্তি, সম্প্রীতি এবং উন্নয়নের স্বপ্ন ও বাস্তবতা

bri. gen. tofayel ahmed

ব্রি. জে. মো. তোফায়েল আহমেদ, পিএসসি

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
সুপ্রাচীন কাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহাসিক এবং ভৌগলিক অবস্থানজনিত কারণে বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানকার জীবনযাত্রা সমতল এলাকার তুলনায় কঠিন ছিল বিধায় অতীতে খুব বেশিসংখ্যক লোকজন এই এলাকায় বাস করতে উৎসাহী হয়নি। বর্তমানে যেসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আছেন তারা ইদানীং নিজেদের আদিবাসী বলে দাবী করেন এবং এদেশের কিছু মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবিগণ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন না করে, জেনে অথবা না জেনে বিভিন্ন সময়ে এ শব্দের প্রতিধ্বনি করে যাচ্ছে। আদিবাসী হচ্ছে অষ্ট্রেলিয়ার এ্যাবোরেজিনিয়াস, নেটিভ আমেরিকান রেড ইন্ডিয়ান, ফ্রান্স ও স্পেন এর বাসকু, দক্ষিণ আমেরিকার ইনকা ও মায়া, জাপানের আইনু, আরব বেদুইন সম্প্রদায় ইত্যাদি যারা সংশ্লিষ্ট ভূখণ্ডে আদিকাল থেকে বসবাস করে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশের একদশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় (১৩,২৯৫ বর্গ কিঃমিঃ/৫,১৩৩ বর্গ মাইল) যে মাত্র এক শতাংশ জনসংখ্যা (২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ১৫,৯৮,২৯১ জন) বাস করছে তার ৪৭% বাঙালী, ২৬% চাকমা, ১২% মারমা এবং ১৫% অন্যান্য পাহাড়ী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যারা সিনলুন, চিন, আরাকান, ত্রিপুরা, বার্মা এবং অন্যান্য এলাকা থেকে আনুমানিক মাত্র তিনশ থেকে পাঁচশ বছর পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে আবাস স্থাপন করেছে।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় প্রথম আসে কুকীরা। পরবর্তীতে ত্রিপুরাগণ এবং ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে আসে আরাকানী গোত্রভুক্ত চাকমা ও মার্মা সম্প্রদায়। অথচ এদেশে বাঙালী বা তাদের পূর্বপুরুষগণ বসবাস করতে শুরু করেছে প্রায় চার হাজার বছর আগে থেকে। কাজেই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের আদিবাসী হবার দাবীর প্রশ্নটি এখানে অবান্তর এবং আবাসপত্তনের সময় হিসেব করলে বাঙালীরাই বাংলাদেশের আদিবাসী । আর পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অবাঙালীরা এদেশের সংবিধানের স্বীকৃতি অনুযায়ী ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।

দেশ বিভাগ ও মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভূমিকা
কালের পরিক্রমায় পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা দুইবার বড় ধরনের ভুল করে। প্রথমবার ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের সময় তারা ভারতের অংশ হবার চেষ্টা করে এবং চাকমা নেতা কামিনী মোহন দেওয়ান ও স্নেহকুমার চাকমা রাঙ্গামাটিতে ভারতীয় এবং বোমাং রাজা বান্দরবনে বার্মার পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। দ্বিতীয়বার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় এবং বোমাং রাজা মংশৈ প্রু চৌধুরী পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করে রাজাকার এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এর মধ্যে রাজা ত্রিদিব রায় যুদ্ধ শেষে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন এবং ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে পাকিস্তানে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে কখনোই আর তিনি বাংলাদেশে ফেরৎ আসেননি। কিন্তু এর ব্যতিক্রম ছিলেন মং সার্কেলের রাজা মং প্রু সাইন। তিনিই একমাত্র রাজা যিনি মুক্তিযুদ্ধে আখাউড়া ও ভৈরব এলাকায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সেনাবাহিনীর কর্ণেল পদমর্যাদা প্রাপ্ত হয়েছিলেন। রাজা মং প্রু সাইন নিজস্ব ৩৩টি অস্ত্র, ৪টি গাড়ী এবং অনেক অর্থ মুক্তিযুদ্ধের জন্য ব্যয় করেছিলেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসররা মং রাজার ৮টি হাতি, ৭টি ঘোড়া, ১৭০টি মহিষ, ১৬৬৩টি গরু, গুদাম ঘরে রক্ষিত ৯০,০০০ আড়ি ধান, ২৭০০টি চেয়ারসহ অনেক মূল্যবান ফার্নিচার, দশহাজার অতিথিকে আপ্যায়ন করার মত সরঞ্জামাদি, ১৮টি পাওয়ারটিলার, ১০টি জেনারেটর, রাজ পরিবারের শত বছরের স্মৃতি বিজড়িত অজস্ত্র স্বর্ণালংকার ও কয়েক কোটি টাকার ধনসম্পত্তি লুণ্ঠন করে। উল্লেখ্য যে, মুক্তিযুদ্ধে এতবড় ত্যাগ এবং অবদান রাখার পরও তাঁকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক যথাযথ সম্মান প্রদর্শন এখনও পর্যন্ত করা হয়নি। আশা করা যায়, মুক্তিযুদ্ধে তার এবং এই রাজপরিবারের অবদান যথাসময়ে মূল্যায়ন করা হবে।

কাপ্তাই ড্যাম ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল
১৯৬২ সালের কাপ্তাই ড্যাম অধ্যায় যে ন্যাক্কারজনকভাবে সমাধান করা হয়েছে তা মানব সভ্যতার ইতিহাসে সত্যিই বিরল। হাজার হাজার মানুষ (তার মধ্যে অনেক বাঙালীও ছিল) যারা তাদের বসতবাড়ি হারালো অথচ তাদের যথাযথভাবে ক্ষতিপুরণ প্রদান এবং পূর্নবাসন করলো না তদানিন্তন পাকিস্তানি সরকার। ১৯৭০ সালে থেগামুখ, শুভলং এবং রাইনখিয়াং থেকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল সৃষ্টির জন্য অনেক পরিবারকে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক একইভাবে যথাযথ পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা হয়েছিল। অথচ ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সেই পাকিস্তান সরকারের পক্ষেই অস্ত্র ধরলো ঐ পাহাড়ী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির বেশীর ভাগ  এবং হত্যা করলো ক্যাপ্টেন আফতাবুল কাদেরসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাদের। তাদের এই ভূমিকার কথা এদেশের আপামর জনসাধারণের ক’জনই বা জানে? এখন দেশে মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য রাজাকারদের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একই অপরাধে তারা অপরাধী কিনা সময়ই তা বলে দিবে।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী কার্যক্রম
মুক্তিযুদ্ধের ধকল কাটতে না কাটতেই এই অপার সম্ভাবনাময় পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ১৯৭৬ সালের ১৮ জুলাই বিলাইছড়ি থানার তক্তানালার কাছে মালু মিয়া পাহাড়ের নিকটে সকাল ১১টায় রাঙ্গামাটি থেকে আগত পুলিশ পেট্রোলের উপর আক্রমণ পরিচালনার মধ্য দিয়ে আরেকটি অসম যুদ্ধের সূচনা হয়। এর পরবর্তী ইতিহাস রক্তের হোলি খেলার ইতিহাস। শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছিল অসংখ্য নিরীহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, বাঙালী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের। বর্তমানে একই ধরনের কার্যক্রম ইউপিডিএফ, জেএসএস এবং সংস্কারবাদী দলের সন্ত্রাসীরা সবাই মিলে করছে। তথ্য মতে, ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে ২০৯৬ জনকে হত্যা, ১৮৮৭ জনকে আহত এবং ২১৮৮ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ পার্বত্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য। নিরাপত্তা বাহিনীকেও সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ এবং প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমির ভৌগলিক অখন্ডতা রক্ষার জন্য বেশ চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। শুরু থেকে ২০১৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৫৩ জন প্রাণ দিয়েছেন, আহত হয়েছেন ৪৫২ জন এবং ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য রোগে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ২৫৫ জন।

শান্তিচুক্তি ও পরবর্তী অধ্যায়
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তির মাধ্যমে হত্যা, লুণ্ঠন, জ্বালাও, পোড়াও, নারী নির্যাতনসহ অসংখ্য সন্ত্রাসী কার্য়ক্রমের অবসান হবে বলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জনসাধারণ ধারণা করেছিল। কিন্তু বর্তমানে কি দেখা যাচ্ছে? শুধু বাঙ্গালী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরাও অত্যাচারিত, নিপীড়িত এবং ভয়ংকর জিঘাংসার শিকার। জেএসএস, ইউপিডিএফ এবং সংস্কারবাদী নামে গড়ে উঠা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মানুষদের কাছ থেকে নিয়মিত ও অনিয়মিতভাবে জোর জবরদস্তি করে চাঁদা আদায় করে, আদায়কৃত চাঁদার টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনে এবং সেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আরো বেশি চাঁদা আদায় করে। এ যেন এক সীমাহীন চলমান গোলক ধাঁধার বৃত্ত। এখানকার বিত্তহীন নিরীহ মানুষদের হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, ফসল ধ্বংস, বাগান ধ্বংস, জ্বালাও-পোড়াও, ভয়ভীতি এবং নির্যাতন এখনও চলছে। ইদানীং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সংগঠিত সকল বিষয়ে তারা প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত, আদেশ নির্দেশ ও মিমাংসা না মানার জন্য ভয় ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করছে যা সংবিধান বিরোধী এবং দেশদ্রোহীতার নামান্তর। তারা পার্বত্য জনপদে সরকার ও প্রশাসনের একটি বিকল্প সরকার ও ছায়া প্রশাসন জোর করে এখানকার মানুষদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। আর প্রশাসন কখনো কখনো নিরুপায় হয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও নির্যাতন ও অত্যাচারের ভয়ে এই সব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে। এত অমিত সম্ভবনাময় এই অঞ্চল অথচ এখানে সকলে আসতে ভয় পায় কেন? কেন সকল উন্নয়ন কার্যক্রমে তাদের চাঁদা দিতে হয়? কেন কলা, কচু, মুরগি, ছাগল, শুকর, গরু বিক্রি থেকে শুরু করে ধানিজমি, বাগান সব কিছুর জন্য চাঁদা দিতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে ?

শান্তিচুক্তি বাস্ততবায়নের অগ্রগতি
একটি অর্ধেক পানি ভর্তি গ্লাসকে অর্ধেক পুর্ণ বা অর্ধেক খালি হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। শান্তি চুক্তির সর্বমোট ৭২টি ধারার মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৮টি ধারা সম্পূর্ণ, ১৫টি ধারার বেশীর ভাগ অংশ এবং অবশিষ্ট ৯টি ধারার বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তি করেছিলেন এবং অবশ্যই তিনি তা বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর। চুক্তি অনুযায়ী নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক ক্যাম্প ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে অথচ সন্ত্রাসীরা তাদের সকল অস্ত্র এখনও পর্যন্ত সমর্পন করেনি। কিন্তু পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত সাধারণ জনগন দাবী করেছে যে নিরাপত্তা বাহিনী এখান থেকে চলে গেলে তারা আরও বেশী নিরপত্তা ঝুকিতে আবর্তিত হবে। শান্তিচুক্তির সবচেয়ে জটিল যে বিষয়টি তা হচ্ছে ভুমি ব্যবস্থাপনা। এ বিষয়ে ভুমি কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং সেই কমিশন কাজ করছে। ভুমি কমিশনের প্রধান ছাড়া বাকী সকল সদস্যই পার্বত্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর। বিষয়টির ব্যপকতা এবং জটিলতার কারণেই একটু বেশী সময় লাগছে সমাধান করতে। তবে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে একথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। এ পর্যন্ত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বাঙ্গালী উভয় পক্ষ খাগড়াছড়িতে ৩১০৫টি, রাঙ্গামাটিতে ৯৬৯টি এবং বান্দরবনে ৩৮৪টিসহ সর্বমোট ৪৪০৮টি ভুমি সংক্রান্ত মামলা করেছে। অগ্রগতি হিসেবে ইতোমধ্যে কমবেশী ৪০০০টি মামলার ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে, ৩৩টি মামলার শুনানী শেষ হয়েছে এবং বাকী মামলাগুলোর ব্যাপারে কার্যক্রম চলছে। দেখা গেছে, এখানকার সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ভুমি সমস্যা সমাধান কার্যক্রমে সর্বদা বাধা প্রদান করে থাকে, কারণ ভূমি সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে তাদের হাতে কোন ইস্যু থাকবেনা যা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের ট্রাম কার্ড। একইভাবে যে সকল বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ অবৈধভাবে প্রাপ্যের চেয়ে অনেক বেশী জমি দখল করে আছেন তারাও চান না ভূমি সমস্যা দ্রুত সমাধান হোক। এছাড়া আর একটি জটিলতা হলো, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ব্যক্তিবর্গের ভূমির মালিকানার যথাযথ কাগজপত্র না থাকা। কারণ অতীতে তারা কোন প্রকার কাগজপত্র ব্যতিরেকেই জমি ভোগদখল করতো। এছাড়া শান্তিচুক্তির কিছু ধারা আমাদের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। সেগুলোর সমাধানের বিষয়ে কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। এখানে ভুলে গেলে চলবে না যে পৃথিবীর অনেক দেশে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হবার পরও তা নানান কারণে কার্যকর করা যায়নি বা সম্ভব হয়নি। উদাহরণ স্বরূপ সুদান (১৯৭২), সোমালিয়া (১৯৯০), এঙ্গোলা (১৯৯১ ও ১৯৯৪), রুয়ান্ডা (১৯৯৩), নর্দান আয়ারল্যান্ড ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। কাজেই শান্তি চুক্তির অনিষ্পন্ন বিষয়াবলির সামধানের জন্য ধৈর্য্যচ্যুতি কারও জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে বলে মনে হয় না।

পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই আর্থসামাজিক উন্নয়নে ও মানবতার কল্যাণে নিরাপত্তাবাহিনীর ভূমিকা  অনেকেই অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম সম্বন্ধে তেমনটা ওয়াকিবহাল নন। সন্ত্রাস দমন ও দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখন্ডতা নিশ্চিত করার সাথে সাথে নিরাপত্তা বাহিনী এই অশান্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, জনগনের জন্য আবাসন স্থাপনে সহযোগীতা, স্থানীয় জনগনকে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান এবং প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে সরাসরি ভুমিকা রাখা; শিল্প ব্যবস্থার উন্নয়ন ও কুটির শিল্প স্থাপন; নিরাপদ হাইজিন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা; কৃষি, পশুপালন, মাছ চাষ, হাঁস-মুরগী পালন, বৃক্ষ রোপন; ধর্মীয় ও বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান পালন, চিত্তবিনোদন, খেলাধুলা, প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে নিরাপত্তাবাহিনীর সাফল্যের কথা কোন এক অজানা কারণে এদেশের মানুষ জানতে পারে না বা জানানো হয় না। আমাদের মিডিয়াগুলো এ ব্যাপারে তেমন কার্যকরী ভূমিকা নেয় না বলেই অভিযোগ রয়েছে। একটি বিষয় এখানে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায়, পক্ষপাতহীন কার্যক্রমের জন্যই পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধুমাত্র মুষ্টিমেয় সন্ত্রাসী ব্যক্তিবর্গ ছাড়া বাকী সকলের কাছে এখনও নিরাপত্তাবাহিনীই সবচেয়ে বেশী গ্রহণযোগ্য।

সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের স্বপ্ন
পার্বত্য চট্টগ্রামের অঞ্চলিক দল ও তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাওয়া এবং স্বপ্নগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করা জরুরী। অবস্থাদৃষ্টে তাদের চাহিদাগুলো নিম্নরূপ বলে প্রতীয়মান হয়:

শিক্ষার উন্নয়নে বাধা প্রদান

তাদের প্রথম স্বপ্ন সম্ভবতঃ এই এলাকার পশ্চাৎপদ মানুষদের মূর্খ করে রাখা। রাঙ্গামটিতে মেডিক্যাল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বাধা প্রদান তার প্রমাণ। না হলে এখানকার নিরীহ জনগণ, যারা তাদের ভয়ে নিয়মিত চাঁদা দেয়, তাদের ছেলেমেয়রা স্কুল/কলেজে যেতে পারে না; অথচ তাদের দেয়া চাঁদার টাকায় সেই সব নেতানেত্রীদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া করে শহরের নামী দামী স্কুল/কলেজে এবং বিদেশে। সেসব নেতানেত্রীদের সন্তানেরা ইংরেজী মাধ্যমে লেখাপড়া করলেও তারা চান সাধারণ জনগণের সন্ত্রানেরা শুধুমাত্র ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নিজস্ব ভাষা শিখে এবং বাংলা ও ইংরেজী না শিখে জংগলের আরও গভীরে চলে যাক। এখানে মায়ের ভাষা ভুলে যাবার কথা বলা হচ্ছে না, প্রগতি ও অগ্রগতির কথা বলা হচ্ছে। ভারতে সবাইকে কমপক্ষে ৩টি ভাষা শিখতে হয়। পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের ইচ্ছা, এখানকার জনগণ মূর্খ থাকলে তাদের পক্ষে শোষণ করা সহজ; যেমনটি তারা এতকাল ধরে করে এসেছে। বাংলাদেশ সরকার এই এলাকার শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছে। ১৯৭০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে মাত্র ৬টি উচ্চ বিদ্যালয়/কলেজ ছিল যার বর্তমান সংখ্যা ৪৭৯টি। প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন প্রতি পাড়ায় পাড়ায়। এছাড়া ইতোমধ্যে এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় (ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে), একটি মেডিক্যাল কলেজ, ৫টি স্টেডিয়াম, ২৫টি হাসপাতাল এবং বর্তমানে ১৩৮২টি বিভিন্ন কটেজ ইন্ডাষ্ট্রি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার হার ১৯৭০ সালে মাত্র ২% শতাংশ ছিল যা বেড়ে এখন ৪৪.৬% হয়েছে। অবশ্য এই তথ্যে সন্তুষ্ট হবার কিছু নেই। এখানে বসবাসরত মানুষদের জন্য আরও অনেক কিছু করার দরকার ছিল এবং আরও অনেক কিছু করা সম্ভব ছিল। অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়নি এখানকার তথাকথিত সেইসব কল্যাণকামী (?) নেতানেত্রী এবং তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বাঁধার কারণে।

জনগণের থেকে জোর করে আদায় করা চাঁদার টাকায় আরাম আয়েশে দিনযাপন করা

এটি তাদের দ্বিতীয় স্বপ্ন এবং বর্তমানে নিষ্ঠুর বাস্তবতা। জানা গেছে, যে শুধুমাত্র মাটিরাঙ্গা থেকে বছরে ৩২ কোটি টাকার মত এবং সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বছরে কমবেশী ৪০০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয়। কোথায় ব্যয় হয় সেই টাকা? কয়টা স্কুল, কয়টা কলেজ, কয়টা হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছে জেএসএস, ইউপিডিএফ এবং সংষ্কারবাদীরা? কত ফিট রাস্তা তারা এ পর্যন্ত নির্মাণ করে দিয়েছে? কি করেছে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা জবরদস্তী করে লুট করে নিয়ে? এখন সময় এসেছে এখানকার সন্ত্রাসী নেতাদের সম্পত্তির হিসাব নেয়ার কারণ জানা গেছে যে, নেতাদের অনেকেই সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, করেছেন বাড়ী/গাড়ী, ব্যাংক ব্যালেন্স ইত্যাদি। পাহাড়ে বসবারত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা সরকারকে কর প্রদান করে না। পক্ষান্তরে করের থেকে কয়েকগুণ বেশী চাঁদা দিতে বাধ্য হয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের। এত কিছুর পরেও বাংলাদেশ সরকার সমতল ভূমির জনগণের কর থেকে অর্জিত অর্থ পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে ব্যয় করছে । পার্বত্য অঞ্চলে ১৯৭০ সালে মাত্র ৪৮ কিঃমিঃ রাস্তা ছিল। বাংলাদেশ সরকার নির্মাণ করেছে প্রায় ১,৫০০ কিঃমিঃ রাস্তা, অসংখ্য ব্রিজ ও কালভার্টসহ সম্পন্ন করেছে অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম। কিন্তু রাস্তাঘাট ও ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণে এবং সকল প্রকার উন্নয়ন কার্যক্রমে তারা সবসময়ে বাঁধা দিয়েছে এবং এখনও দিচ্ছে। সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজী এবং শ্রমিক অপহরণ ও বাঁধার সৃষ্টি না করলে উন্নয়ন কাজ আরও সহজে সম্পন্ন করা যেত। জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল নির্মাণ কাজে জেএসএস, ইউপিডিএফ এবং সংস্কারবাদী সন্ত্রাসীদের যথাক্রমে ১০%, ৫% ও ৩% অথবা আরোও বেশী হারে চাঁদা দিতে হয়। এখানে কোন বিত্তশালী কিংবা দেশী বিদেশী কোম্পানী পুঁজি বিনিয়োগ করতে চান না কেন ? লক্ষীছড়ি থেকে বার্মাছড়ি পর্যন্ত রাস্তার কাজ বন্ধ করে ঠিকাদার কেন পালিয়ে গেলেন? এই অত্যাচার থেকে এখানে বসবাসরত নিরীহ মানুষদের কবে মুক্তি মিলবে ?

স্বায়ত্বশাসন তথা পৃথক জম্মুল্যান্ড গঠন  

পার্বত্য সন্ত্রাসীদের তৃতীয় দিবা কিংবা অলীক স্বপ্ন হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্বশাসিত প্রকারান্তরে স্বাধীন একটি দেশ প্রতিষ্ঠা করা যার নাম হবে ‘জম্মুল্যান্ড’। বর্তমান বিশ্বে দুই জার্মানী এক হলো, দুই কোরিয়া এক হতে চেষ্টা করেছে, ইন্ডিয়া সিকিমকে যুক্ত করে আরও বড় হয়েছে, সমগ্র ইউরোপ অভিন্ন মুদ্রা ব্যবহার করছে এবং পাসপোর্টবিহীনভাবে ইউরোপের সব দেশে চলাচল করছে, হংকং চীনের সাথে অঙ্গীভুত হয়েছে, স্কটল্যান্ডের জনগন পৃথক দেশ গঠনের বিরুদ্ধে গণভোট প্রয়োগ করেছে; অর্থাৎ সবাই যখন যুক্তভাবে শক্তিশালী হতে চেষ্টা করেছে তখন পার্বত্য সন্ত্রাসীরা চেষ্টা করছে এদেশ ভেঙ্গে ছোট করতে; প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমিকে টুকরো টুকরো করতে। তাদের স্বায়ত্বশাসন বা স্বাধীন ভূ-খন্ডের এই অলীক ও অবাস্তব স্বপ্ন কখনই পূরণ হবে না, হতে পারে না। ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসন থেকে প্রায় সব দেশ স্বাধীন হয়েছে। পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন ছিল। কিন্তু লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই ভূখণ্ডে নতুন করে আরেকটি দেশ তৈরী করা কখনোই সম্ভব হবে না। এখানে আরোও দুটি বিষয়ে আলোকপাত করা দরকারঃ

বর্তমান চাহিদামত নতুন ভূখণ্ড তথা ‘জম্মুল্যান্ড’ প্রতিষ্ঠিত হলেও তাদের আরও এক বা একাধিকবার যুদ্ধ করতে হবে স্বতন্ত্র চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমা ল্যান্ড প্রতিষ্ঠা করার জন্য। কারণ সবাই জানে যে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমাদের মধ্যে শিক্ষা, সুযোগ সুবিধা, জীবনযাত্রার মানের বিভিন্ন সূচকে রয়েছে বিশাল বৈষম্য। অপর বিষয়টি হলো: ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে, এক সাগর রক্তের দামে কেনা এদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তথা রাজাকারদের কোন প্রচেষ্টা, এদেশের ১৬ কোটি মানুষ এবং এদেশের চৌকষ নিরাপত্তা বাহিনী সফল হতে দেবে কিনা তা বিবেচনার ভার পাঠকদের উপর থাকলো।

পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্ধেক জনগোষ্ঠিকে বিতাড়িত করা

এখানকার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আরেকটি স্বপ্ন এখানে বসবাসরত অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে অর্থাৎ বাঙালী সম্প্রদায়কে এখান থেকে বিতাড়িত করা। বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশ আমেরিকাকে বলা হয় ইমিগ্রান্ট বা অভিবাসীদের দেশ। আমেরিকাতে নেটিভদের বাদ দিলে শতকরা ৯৯% জনেরও বেশী মানুষ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে গিয়ে সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কানাডা ও ইউরোপে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠি একত্রে বসবাস করছে। এখানকার অনেক নেতা নেত্রীদের সন্তান ও আত্বীয়/স্বজনেরা আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেন এর স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছেন কিংবা নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। তারা বাংলাদেশের যে কোন স্থানে বসতি স্থাপন করতে পারে এবং করছে। কিন্তু সমতলের বাংলাদেশীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন করাতেই তাদের যত আপত্তি। তাদের এক অদ্ভুত দাবী। এখানে যার জন্ম হয়েছে, এই মাটির ধূলা মাখিয়ে যে বড় হয়েছে, এখানের বাতাসে যে নিশ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণ করে বেঁচে আছে, তাকে এখান থেকে চলে যেতে হবে। কি অদ্ভুত এবং অবাস্তব আবদার। শান্তিচুক্তিতেও কিন্তু একথা লেখা নেই যে এখানে বসবাসরত বাঙালীদের এখান থেকে চলে যেতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই দাবী মোটেই বাস্তব সম্মত নয়।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাসবাসরত জনসাধারনের করণীয় কি

একটু আগেই বলা হয়েছে যে এখানকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরাও মুষ্টিমেয় সন্ত্রাসীদের ভয়ংকর জীঘাংসার শিকার। কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসবাসরত সাধারণ মানুষদের ইচ্ছা অনিচ্ছায় কিছু যায় আসে না। তাদের পালন করতে হয় এখানকার নেতৃত্ব ও সন্ত্রাসীদের নির্দেশ। এই প্রসঙ্গে নিম্নের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব আরোপ করা যেতে পারে যেমন:

নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদের নিশ্চিত করতে হবে

পৃথিবীর এমন কোন শক্তিশালী নিরাপত্তা বাহিনী নেই যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলকে নিরাপত্তা দিতে পারে। তাই এখানকার জনসাধারণের নিরাপত্তা নিজেদেরকে সম্মিলিতভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নিজ নিজ এলাকায়, প্রতিটি বাজারে এবং পাড়ায় পাড়ায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যথার্থ তথ্য দিলে যে সব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতিকারীরা এলাকায় শান্তি বিনষ্ট করছে তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নিরাপত্তা বাহিনী সদা প্রস্তুত রয়েছে।

চাঁদা প্রদান বন্ধ করতে হবে

যেকোন ভাবে সকলকে নিয়মিত ও অনিয়মিত চাঁদা প্রদান বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে এখানকার উন্নয়ন কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, মোবাইল কোম্পানী, আন্তঃজেলা বাসমালিক ও ব্যবসায়ীদেরকে সন্ত্রাসীদের চাঁদা প্রদান বন্ধ করতে হবে। তাহলেই তারা অস্ত্র কেনা এবং অন্যান্য দলীয় কার্যক্রম সম্পাদনে অর্থ যোগানের জটিলতায় ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে পরবে। তাই নিজ নিজ পাড়া ও বাজার এলাকাকে চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাস মুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে। চাঁদাবাজদের পাকড়াও করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। কারো একার পক্ষে এই কাজ সম্ভব না হলেও সম্মিলিত ভাবে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের প্রতিরোধ করা সম্ভব।

টেকসই আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সচেষ্ট হতে হবে

টেকসই আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা বজায় এবং আত্মনিয়োগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। শিক্ষা শুধু “পাশের হার” এবং “জিপিএ”র হলে চলবে না। সত্যিকার অর্থে আত্মকর্মসংস্থান সম্ভব হবে এমন শিক্ষাগ্রহণ করতে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ও উৎসাহিত করতে হবে। আর এজন্য যা দরকার তা হচ্ছে নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক। কৃষি, বৃক্ষরোপণ, পশুপালন, মাছ চাষ, একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে সকলকে স্বাবলম্বী হতে চেষ্টা করতে হবে এবং জীবনযাত্রার মান এগিয়ে নিয়ে যেতে সচেষ্ট থাকতে হবে। বর্তমান প্রজন্ম যে অবস্থায় আছে তার চেয়ে পরবর্তী প্রজন্ম যেন আরও ভালো থাকতে পারে এই চেষ্টা বজায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, সৃষ্টিকর্তা তাকেই সহযোগিতা করেন যিনি নিজেকে সাহায্য করতে সচেষ্ট থাকেন।

শান্তি ও সামাজিক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে হবে                                                                 

সকলকে শান্তি ও সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। বাংলাদেশের প্রধান শক্তিই হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। বাঙালী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টানসহ সকল ধর্মালম্বী ও সকল জাতি গোষ্ঠীদের পরস্পরের প্রতি সহনশীল ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ করতে হবে। কেউ যেন কখনই অন্য কারো কৃষ্টি, সভ্যতা, সামাজিকতা, ধর্মীয় অনুভূতি ইত্যাদিতে আঘাত না করে তা নিশ্চিত করতে হবে।

উপসংহার
স্বাধীনতার পর ৪২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক ভালো। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ ও সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য সমাধানে সময় নষ্ট করা কারও কাম্য হতে পারে না। অতীতের হানাহানী ও বিবাদভূলে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অগ্রসর হতে হবে। এখানকার ক্ষুদ্র ও নৃগোষ্ঠীর অধিকার, তাদের উত্তরাধিকারীদের অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উন্নতির অধিকার সুষমভাবে নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই। একই সাথে এখানে বসবাসরত অর্ধেক জনগোষ্ঠী বাঙালীরাও নিষ্ঠুর বাস্তবতার শিকার। এই সমস্যার সমাধান তাদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়ার মধ্যে নয় বরং উভয় পক্ষের স্বার্থ ও সম্প্রীতি রক্ষা করার মাধ্যমেই সম্ভব। এদেশের জনগণ কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জিত অর্থ নিজের পরিবারের জন্য ব্যয় করতে চায়। দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে পরে শান্তিতে জীবন যাপন করতে চায়। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুশিক্ষা এবং উন্নত জীবন চায়। অসুস্থ্য হলে সুচিকিৎসা চায়। এই অপার সম্ভাবনাময় পার্বত্য অঞ্চলে মুষ্টিমেয় কিছু সন্ত্রাসী কর্তৃক সৃষ্ট অশান্তি ও অস্ত্রের ঝনঝনানী সমূলে উৎপাটন করে সকলে মিলে একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত জীবন যাপন করা এবং পরবর্তী বংশধরদের জন্য বসবাসযোগ্য বাংলাদেশ রেখে যাওয়াই সকলের স্বপ্ন। এদেশের অপার সম্ভাবনাময় পার্বত্য এলাকায় সকলে মিলে শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করতে পারলে উন্নয়ন এবং উন্নত জীবনযাপন নিশ্চিত হতে বাধ্য।

 লেখক: কমান্ডার, ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড ও গুইমারা রিজিয়ন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আদিবাসী, উন্নয়ন, চাঁদাবাজি
Facebook Comment

81 Replies to “অমিত সম্ভাবনার পার্বত্য চট্টগ্রাম : শান্তি, সম্প্রীতি এবং উন্নয়নের স্বপ্ন ও বাস্তবতা”

  1. স্যার, অসাধারণ লিখেছেন। আপনার লেখা ইতিহাস হয়ে থাকবে

    1. বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৬ এবং ৪২ ধারায় সুস্পষ্ট করে বলা আছে “বাংলাদেশের নাগরিক বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারবে।”

      তাহলে আজ যারা পার্বত্য অঞ্চল থেকে বাঙ্গালী বিতাড়িত করতে চাচ্ছে তারা কি সংবিধান লঙ্ঘন করছে না?পার্বত্য এলাকা কি বাংলাদেশের বাহিরে?

  2. ত্তথ্যবহুল লেখাটি পড়েছি,, সিএইচটি জনগনকেই সচেতন হতে হবে। সকলকেই আইনের/জবাবদিহিতার আওতায় আনা গেলে আর সকলের জন্য মোটামুটি সমান নেতৃত্ব /সুযোগ সৃষ্টি করা গেলে নিরাপদ সিএইচটি হবে।

  3. লেখাটি পড়ে খুবি ভাল লাগল। বাংলাদেশের গুরুত্বপূণ অংশ পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ে এখনই আমাদের সচেতন হতে হবে।

  4. এভাবে পক্ষপাতমুলক লেখা সেনাবাহিনীর মানায় না। তাদেরকে সর্বদা নিরপেক্ষ থাকতে হবে।

      1. Bangladesh Army is working for the peace, stability, development and communal harmony in CHT. Bangladesh Army is not fighting war against Chakma or anyone in CHT.
        You are very right, it is duty for any security force to protect its people from terrorists.
        JSS, UPDF and Reformists Armed cadres are killing innocent people in CHT. Anyone who can not pay the toll as they demand, they torture them. How to save 99% people from this less than 1% terrorists!

    1. হ্রিদয়ে জুম্মুল্যান্ড,, তাইনা ভাইয়্যা?

  5. বাঙালিরাই এদেশের আদিবাসী। উড়ে এসে জুড়ে বসে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের‘আদিবাসী’ দাবি খুবই ন্যাক্কারজনক।এবিষয়ে মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবীদের সচেতন হওয়া উচিৎ।

  6. দেশ বিভাগ ও মুক্তিযুদ্ধে যে সকল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিতর্কিত ভূমিকা রেখেছিল তারাই আজ দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমার ধারণা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ১০ ভাগও উপজাতি নের্তৃত্বের সাথে একমত পোষণ করে না।

  7. শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক অসংখ্য নিরীহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, বাঙালী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণিত হয় যে, সন্ত্রসীদের আসলে কোন জাত নেই। এ বিষয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সাধারণ জনগণের ভাবা উচিৎ।

  8. বাংলাদেশ সরকার শান্তি চুক্তি করেছিল পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আর সন্তু লারমার উদ্দেশ্য ছিল সরকারি সুযোগ-সুবিধায় এসে আরো শক্তিশালি চক্রান্তে লিপ্ত হওয়া। আমরা সবই বুঝি।

  9. স্যার! ঠিকই বলেছেন, ভূমি সমস্যা উসিলা মাত্র । এটাকে পূঁজি করে তারা তাদের ফাইদা লুটতে চাই। এবিষয়ে সরকারকে আরো সচেতন হতে হবে।

  10. একটা সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা থাকে । তা স্বত্বেও শান্তিচুক্তির অধিকাংশ শর্ত পূরণ করা হলেও তারা তা স্বীকার করে না। এটা প্রমাণ করে তাদের উদ্দেশ্য অন্য কিছু।

  11. যারা মেডিকেল কলেজসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজের বিরোধীতা করে তারা আবার কিসের শান্তি চাই। চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী করাই তাদের শান্তি প্রতিষ্ঠা।

  12. লেখাটি পড়ে মনে হচ্ছে, পাহাড়ী সন্ত্রাসী গোষ্ঠিগুলোর এতসব তৎপরতাকে উপেক্ষা করে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবহিনীসহ সকল নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়।

  13. পাহাড়ে বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্বেও তারা বিভিন্ন দিক থেকে বৈষম্যের শিকার। এরপরও পাহাড়িদের নানাসব বাইনা সত্যিই আমাদের অবাক করে।

  14. আসলে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্বশাসনের নামে ‘জম্মুল্যান্ড’ প্রতিষ্ঠা করে একটি সন্ত্রাসী ভূখণ্ড প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এবিষয়ে দেশপ্রেমিক সকলের সচেতন হতে হবে।

  15. আলাদা ভূখন্ড নয় বরং আইনের শাসন, জবাবদিহিতামূলক জনপ্রতিনিধিত্ব, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করার মধ্যেই সকলের কল্যাণ নিহিত।

  16. পাহাড়ে সেনাবাহিনীসহ সকল নিরাপত্তা বাহিনীকে আরো শক্তিশালি করা প্রয়োজন। চাঁদাবাজি বন্ধ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অচিরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগান্তকারি ১১ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা আবশ্যক।

  17. স্যার ঠিকই বলেছেন, গুটিকতেক সন্ত্রসীদের কালো থাবা থেকে পাহাড় কে বাঁচাতে পাহাড়ে বসবাসরত বাঙালি-ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

  18. What Brig Gen Tofael Ahmed Psc says on his above article is really a praise-worthy writing he has written. Actually aboriginal word is for Bengali people cause they have been living here for long; no caste, creed or tribe is so long as they have been living in the soil of Bangladesh. Only being motivated in ill direction, a section of hill leaders drumming in favor to their wrong-founded claim.

  19. এতো সুন্দর গবেষণাধর্মী লেখার জন্য স্যারকে ধন্যবাদ। আমার মনে হয় উপজাতি নের্তৃত্বই পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠাই অন্তরাই হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ পাহাড়িরা নিরাপত্তা বাহিনী এবং সরকারের প্রতি সন্তুষ্ট হলেও উপজাতি নের্তৃবর্গ তা স্বীকার করে না।

  20. পাহাড়ে এতসব উন্নয়ন করার পরও চুক্তি বাস্তবায়নের নামে জনবিরোধী কর্মসূচি ঘোষণা করা মোটেও শোভনীয় নয়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।

  21. on this article we can understand what BD Army think about indigenous people of CHT. we can see the reflection on army men mind on CHT.

  22. অপার সম্ভাবনাময়ী পার্বত্য চট্রগ্রামকে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করতে পারলে এটাই হবে পৃথিবীরবুকে একমাত্র সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনুপম দৃষ্টান্ত।

  23. জে. সাহেব
    আদিবাসীর আপনি যে সংঞ্জা দিয়েছেন তা সঠিক নয়। আইএলও সংজ্ঞা অনুসারে আমরা আদিবাসী। জাতিসংঘ আমাদের এ দাবী স্বীকার করে নিয়েছে। কাজেই আপনারা স্বীকার করলেন কি করলেন না তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা আমাদের দাবী আদায় করে ছাড়েবো।

    1. আপনি কি জাতিসংঘের নাগরিক? নাকি বাংলাদেশের? হ্রিদয়ে জুম্মুল্যান্ড থিওরি বাদ দেন। একটা স্কুল একটা রাস্তা একটা হাসপাতাল বানায়া দেখান নিজের গাটের অথবা চাদার টাকায়।

    2. মাছ দিয়ে যেমন শাক ঢেকে রাখা যায়না নামে-বেনামে মন্তব্য করে সত্যকে আড়াল করা যায়না মি: জুম্ম চাকমা। সত্য শুধুই সত্য। আমি আপনাকে অনুরোধ করবো সত্যকে স্বীকার করতে শিখুন। সত্য স্বীকার করলে তো আর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছেড়ে আরাকান যেতে হবেনা। আর আপনি আইএলও সংজ্ঞা‘র কথা বলেছেন, কি হবে এসব সংজ্ঞা‘র কথা বলে….

  24. Sir,Chakma leader Tridiv Roy and Bomang King Maung Prue fought against the liberation war what staged in 1971 and they became the collaborators in Bengali RAZAKARS; once they went against the people of the soil in the period of India separation during 1947. At that time, some ones in favor of India and some one in favor of Myanmar hoisted flags in Rangamati and Bandaban.What a tragedy it is! Be ware of the Indian and Myanmar dogs.

  25. Sir you rightly said those who always engaged in opposing the development work along with the existence of the country, now are conspiring to destabilize the country in the name of establishing so-called hill rights. What they did in 1962 while Kaptai dam was erecting, what they did in Sub-continent separation period and what they did during the great liberation war. Why they killed over 2000 Bengalese in three hill districts.

  26. Sir, thanks a lot for writing a patriotic writing. What you wrote that is the talks of the common people. Nobody is ready to hear on any conspiracy against the three hill districts, it is inseparable and integral part of our beloved motherland. Within few words, you have depicted the all episodes of the conspiracy and misdeed what they done before.

  27. Brig. Gen. Tofael Ahmed’s name will remain alive in the history of Bangladesh for his glorious writing on integral Bangladesh. Your depiction, narration and chronological presentation pleased me much. May almighty Allah help you thriving and elongate your life-time for rendering contribution more to the nation.

  28. Sir, matchless writing indeed! Now you start to join the seminars on hill issues so that the conspirators could not derail the mass people and you might show them the right track.
    Long live. May Allah give you the longevity!

  29. What prospects and peaceful, harmonically relations and on-going development works are going on in three hill districts steadily and unopposed, nobody could able to comprehend this fact. Sir, you open up the closed eyes of the populace of Bangladesh. Now you please evolve a work plan for take forward the CHT issue in positive line of the country preserving the integral entity.

  30. Sir, it is your researchable and resourceful writing that surely guide and show the right tract to the nation along with the various communities across the world especially the men in United nations who are obstructing the smooth path of the development works that go on Chittagong Hill Tracts. May Allah elongate you longevity!

  31. আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর আরো সক্রিয় ভুমিকা রাখতে হবে,কোনো সন্ত্রাসী জনগুষ্টি যেনো এদেশে নিরাপ্ত্তার জন্য যেনো হুমকি হতে না পারে।
    অসংখো ধন্যবাদ আপনার সুন্দর ত্বর্থবহুল লেখার জন্য,আমার বিশ্বাস আমাদের সেনাবাহিনী পার্বত্যচট্টগ্রামের বেপারে কোনো রকম নমনিয়োতা দেখাবেনা।

  32. Very uncommon and resourceful writing indeed! You are courageous enough to speak the truth on CHT issue. Usually people keep mummed on this sensitive point but you disclose everything—- spade is spade, there is no way to denial it. We all should be courageous like Brig. Gen. Tofael Ahmed for brave out all the ugliness from the blood of our nation.

  33. In fact CHT is filled with minerals, prospects of having natural resources that might lead the country to a rich country in the world if peace and tranquility remains normal. However the conspirators living in home and abroad strive to destabilize the areas by resorting violence, disappearance, extortion and killing randomly. Sir, you unveil the truth to the mass people that glitters for ever in the country.

  34. Noble job you done, excellent. bravo! Go ahead with your other noble jobs and beauties that glitter the nation especially and the globe generally. May the almighty Allah support you to lead the countrymen to right way so that the country might a richest country in the world!

  35. Constitution of the land binds us all to a discipline. However a section of misled people do not follow the track and they always stride to tell something which is anti-constitution arguing that constitution is not all, as if they go to make another constitution, dam it, condemn all the evil doings.

  36. Brig General sir, you are so brave and intelligent that you brought out the truth and unveiled it to the commoners in and around the country. If the people could comprehend you truly, they would get the light of drive their life until the doomsday and day after judgment.

  37. Unity and solidarity is the basis of development and a tool of driving any nation towards the avenue of prosperity and riches.Brig. General Sir, you open up the eyes of the common people and they can be able to guide them what is true and what is untrue.

  38. Could I please request you to write like this article every week so that the light of knowledge might enliven and people might fulfill their quest of knowing and learning?

  39. Dear Sir
    You presented to the nation a talented contribution. Any misrepresentation to UN body is not presentation at all. Now, we have to erase the stigma from the stage of UN body so that everything might run smoothly and rightly.

  40. Peace-loving nobody wants hostility in CHT region, therefore, you recommended durable socio-economic initiatives in the areas so that everybody could live peacefully. At the same time, your suggestion is— he who tarnishes the image of Bangladesh, should resist him unitedly. According to you, SIR, there is no way to bring durable peace if people are not united.Even security can not be ensured if people do not come forward to secure themselves by their own security initiatives. Thank you for rendering pragmatic recommendations.

  41. Driving Bengali people from Chittagong Hill Tracts is a detrimental and suicidal steps to the hill people. However, a handful hill militants strive to grab their lands and snatch away the birth and civil rights what they equally enjoying in other areas of Bangladesh. Sir, do please find out a durable solution to the problem. And a formula how to tackle the rise of militancy among the hill citizen is needed for those who are living in three hill districts.

  42. Sir, thank you for presenting a nice, lucid and informative article to the mass people of our homeland. We all should come forward to write few words in line of positivity taking the whole country as an one unit including the mainland and the hill areas. Discrimination and hatred among us should be stopped soon for the interest of our non-stopped development in hills and in plain lands.

  43. Sir, what you said on your above article is really a praise-worthy writing. Actually aboriginal word is for Bengali people cause they have been living here for long; no caste, creed or tribe is so long as they have been living in the soil of Bangladesh. Only being motivated in ill direction, a section of hill leaders drumming up in favor to their wrong-founded claim.

  44. Long live incumbent Brig Gen Tofael Ahmed Psc for presenting a lucid and informative presentation to the nation! A section of derailed hill persons are hatching conspiracy in home and abroad malusing the very word “aboriginal” naming themselves the people of aboriginal in self-declared style. It is as detrimental and suicidal to the entity of a nationhood. No neighborhoods allowed such phenomenon to their respective lands; so we all come to a point of uniformity and unity in line of thinking and expressing first. Only being motivated in ill motive, a section of hill leaders drumming up in favor to their wrong-founded claim.

  45. Sir, thanks a lot to you for enlightening us on hill land problems and conspiracy that hatching continuously there. For safe-guarding our sacred country, we all should be unified to futile the heinous conspiracy. Come forward more to contribute more in line of developing and strengthening our solidarity. Be remember, country’s sovereignty is first, prime and cardinal. if country saved, we all be saved and be developed.

  46. We, the hill people are certainly aboriginal cause we are here from our forefathers ancestral period of ages. And UN body recognizes us as aboriginal. So please stop denial.

  47. Could you please tell us, are we not the people of three hill districts of Bangladesh? If so why are we not allowed to do politics freely expressing our opinions?

  48. Are we not the people of Chittagong Hill Districts? Are we not allowed to express our opinions freely and do politics?

    1. Yes, very much yes. We all are people of CHT and we are allowed to express our opinions freely. We are allowed to do politics too.
      What our politicians are giving us?
      Health? Wealth? Good life? Freedom? What?
      They take our money, rape our sisters, kill our brothers and fathers.
      Armed terrorists force us to do what they want.
      Let us think how we overcome this.

    1. You need to have a neutral eye to judge. The writer has clearly identified that all to leave in peace and harmony.
      Only about one percent so called leaders and armed cadres are keeping us behind in CHT. We need to stop paying them tolls. We need to stop giving them food and bed when they come and forcefully take “chanda” from us.
      We had been paying them in cash and kind but what good they have delivered to us thus far! Nothing but few dead bodies only.

  49. মহান সৃষ্টিকর্তার হাতে গড়া রূপের রাণী পার্বত্য চট্টগ্রামের অমিত সম্ভাবনাকে নষ্ট করতে একটি বিশেষ মহল যুগের পর যুগ ধরে যে তান্ডবলীলা পরিচালনা করছে তার বিরুদ্ধে জনসচেতনা সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল আহমেদ স্যার এর এ লেখাটি।

    এ লেখার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাকে যেমন তুলে ধরা হয়েছে তেমনি বিশেষ মহলের তপতৎপরতাকে তথ্যসহ তুলে ধরা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে আদিবাসী ইস্যু নিয়ে নির্ভেজাল তথ্য। আমি বিশ্বাস করি এ লেখাটি শুধুমাত্র একজন পাঠকের মনের খোরাক জোগাড় করবেনা অমিয় সম্ভাবনার পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে আগামী প্রজন্মকে অনেক বেশী জানার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।

    ধন্যবাদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল আহমেদ স্যার-কে এমন একটি চমৎকার তথ্যবহুল লেকার জন্য।

  50. বাস্তবতার আলোকে ও তথ্য সমৃদ্ধ একটি যৌক্তিক লেখা। শান্তি চুক্তির পরে অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারি উদ্দোগে দীর্ঘ রাস্তা ও সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য বিজিবি-র সিমান্ত চৌকি নির্মাণের ব্যবস্থা নিলেও, কিছু বিপথগামী মহলের ইন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু কিছু এলাকায় নিরব চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে উন্নয়নের সুবিধা সাধারন মানুষের নিকট পৌঁছাতে বাঁধা দিচ্ছ। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখলে সাধারন মানুষ উপকৃত হবে।

  51. Sir,
    This is a very informative article about CHT. Specially about the definition of adibashi,and also about the role chakma and marma in our liberation war. Unfortunately, the socalled intetellectual of our country never try to understand. Anyway, salute u for ur encouraging writing about CHT.

  52. আপনার লেখা তথ্য ও উপাত্ত থাকলেও একপেশে মনে হয়েছে। পাহাড়ে বসবাস রত সাধারণ মানুষের মুক্তি কিভাবে হবে তা পরিস্কার না। জম্মু লান্ড একদিন সাধিন হবে। আমরা মুক্ত হবই।

    1. মিথ্যা স্বপন দেখানো লোকগুলো তোমদের মাথা নষ্ট করে দিয়েছে বলেই তোমরা এরকম কথা বলো। সব ধরনের রেফারেন্স সহ একটি তথ্যবহুল লেখাকে তুমি বলছো একপেশে। আসলে তোমরা নিজেরাই একপেশে হয়ে গেছো। ফিরে এসো সঠিক পথে আর নিজের মতো করে বাস্তবতাকে উপলব্ধি করো। প্রসীত খীসা বা সন্তু লারমাদের চিন্তা দিয়ে বাস্তবতাকে উপলব্ধি করা যায়না।

  53. Thanks for eye openning writing.
    Sorry to feel that only few notorious have captivated the entire community.
    I suggest you to do something so that people living in the CHT can decide what is good for them.
    Looking forward for more articles of this kind.

  54. jumma chakma on July 24, 2015 at 8:31 PM said:
    জে. সাহেব
    আদিবাসীর আপনি যে সংঞ্জা দিয়েছেন তা সঠিক নয়। আইএলও সংজ্ঞা অনুসারে আমরা আদিবাসী। জাতিসংঘ আমাদের এ দাবী স্বীকার করে নিয়েছে। কাজেই আপনারা স্বীকার করলেন কি করলেন না তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা আমাদের দাবী আদায় করে ছাড়েবো।

    jumma chakma কে বলছি, আপনি কি জাতিসংঘের নাগরিক? না বাংলাদেশের? আপনি যেহেতু বাংলাদেশের নাগরিক, তাই বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ি আপনি ক্ষুদ্র-নৃ তাত্তিক জনগোষ্ঠী। দেশের সংবিধানকে সম্মান করতে শেখেন। সংবিধান অনুযায়ি কথা বলেন। আাপনাদের পূর্ব পুরুষদের মতো দেশদ্রোহী হবেন না নিশ্চয়ই। তাই মন থেকে জুম্মুল্যান্ড থিওরি বাদ দেন। বাংলাদেশকে ভালবাসুন, হ্রদয়ে বাংলাদেশকে লালন করুন।

  55. jumma chakma কে বলছি,
    আরাকানী রাজা উপজাতিদের আগমন সম্পর্কে ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন তারিখে আরাকানী রাজা কর্তৃক চট্টগ্রামের চীফের প্রতি লেখা একটি চিঠি হতে কিছু চমকপ্রদ ঐতিহাসিক তথ্য জানা যায়। আরাকান রাজ্য হতে পালিয়ে আসা কিছু উপজাতির নাম রাজা উল্লেখ করেছিলেন, যারা চট্টগ্রামের পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছিল এবং উভয় দেশের জনগণের উপরই অত্যাচার করতো। এই চিঠিতে পার্বত্য অঞ্চলে বর্তমানে বসবাসরত অন্ততঃ চারটি উপজাতির নাম উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন- মগ, চাকমা, ম্যারিং বা মুরং এবং লাইস (পাংখু, বনযোগী)। আরাকানী রাজা চেয়েছিলেন যে, এ সকল দস্যুদেরকে পার্বত্য এলাকার হতে বিতাড়িত করা উচিত যাতে ‘‘আমাদের বন্ধুত্ব নিষ্কলঙ্ক থাকে এবং পর্যটকদের ও ব্যবসায়ীদের জন্য রাস্তা নিরাপদ থাকে।’’

    পার্বত্য শান্তি চুক্তি ১৯৯৭,(খ)খন্ডে বলা হয়েছে, পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ/পার্বত্য জেলা পরিষদ
    উভয়পক্ষ এই চুক্তি বলবৎ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বিদ্যমান পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯ (রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯, বান্দরবন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯) এবং-এর বিভিন্ন ধারাসমূহের নিম্নে বর্ণীত পরিবর্তন, সংশোধন, সংযোজন ও অবলোপন করার বিষয়ে ও লক্ষ্যে একমত হইয়াছেন:
    ১) পরিষদের আইনে বিভিন্ন ধারায় ব্যবহৃত ‘উপজাতি’ শব্দটি বলবৎ থাকিবে। ২) ‘পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ’ এর নাম সংশোধন করিয়া তদপরিবর্তে এই পরিষদ ‘পার্বত্য জেলা পরিষদ’ নামে অভিহিত হইবে।
    ৩) ‘অ-উপজাতীয় স্থায়ী বাসিন্দা’ বলিতে যিনি উপজাতীয় নহেন এবং যাহার পার্বত্য জেলায় বৈধ জায়গা-জমি আছে এবং যিনি পার্বত্য জেলায় সুনির্দিষ্ট ঠিকানায় সাধারণতঃ বসবাস করেন তাহাকে বুঝাইবে।

    হাজার হাজার বছর ধরে বাঙ্গালীরা এই পরিচিতির জন্য সংগ্রাম করে আসছে। অথচ ২রা ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তিচুক্তির মাধ্যমে আপনি তাদের পরিচিতি কেড়ে নিয়ে বলছেন অ-উপজাতি আর আপনারা নিজেদের বানিয়েছেন উপজাতি।

    পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেছেন, সন্তু লারমা ও চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় ইতোপূর্বে বলেছিলেন বাংলাদেশে ও পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন আদিবাসী নাই, এখানে আছে উপজাতি এবং কিছু ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী। কিন্তু এখন তারা আদিবাসীর দাবিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন।
    দীপংকর তালুকদার আরো বলেছেন, আমি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে যখন প্রথম আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন করেছিলাম, তখন সন্তু লারমা বলেছিলেন এই দেশে কোন আদিবাসী নাই, এখানে আমরা সবাই উপজাতি। জুম্ম জনগণের আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আদিবাসী দিবস পালন করা হচ্ছে।
    সাবেক প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের সময়ে আমি সন্তু লারমাকে বলেছিলাম এসময়ে উপজাতির পরিবর্তে আদিবাসী বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে ফেলি, তখনও সন্তু লারমা রাজি হননি। তখনও সন্তু লারমা বলেছিলেন আমরা আদিবাসী নই, আমরা উপজাতি।

  56. শুধু বাঙ্গালী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরাও অত্যাচারিত, নিপীড়িত এবং ভয়ংকর জিঘাংসার শিকার। জেএসএস, ইউপিডিএফ এবং সংস্কারবাদী নামে গড়ে উঠা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মানুষদের কাছ থেকে নিয়মিত ও অনিয়মিতভাবে জোর জবরদস্তি করে চাঁদা আদায় করে, আদায়কৃত চাঁদার টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনে এবং সেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আরো বেশি চাঁদা আদায় করে। এ যেন এক সীমাহীন চলমান গোলক ধাঁধার বৃত্ত। এখানকার বিত্তহীন নিরীহ মানুষদের হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, ফসল ধ্বংস, বাগান ধ্বংস, জ্বালাও-পোড়াও, ভয়ভীতি এবং নির্যাতন এখনও চলছে।

    1. জেএসএস, ইউপিডিএফ এবং সংস্কারবাদী নামেরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন, প্রশাসনকে জানান। কিন্তু তা না করে আপনারাতো তাদের সহযোগিতা করেন।

  57. পার্বত্য চট্টগ্রামে যারা মেডিকেল কলেজসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজের বিরোধীতা করে তারা আবার কিসের শান্তি চায়। চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী করাই তাদের শান্তি প্রতিষ্ঠা। শান্তিচুক্তির অধিকাংশ শর্ত পূরণ করা হলেও শন্তু লারমা স্বীকার করেন না। তাদের উদ্দেশ্য অন্য কিছু। ব্রি. জে. মো. তোফায়েল আহমেদ, পিএসসি ঠিকই বলেছেন, ভূমি সমস্যা উসিলা মাত্র । এটাকে পূঁজি করে তারা তাদের ফাইদা লুটাতে চায়। পার্বত্য চট্টগ্রামে জরিপ কাজ চালানোর জন্য ১৯৮৫ সালে ‘ভূমি খতিয়ান (পার্বত্য চট্টগ্রাম) অধ্যাদেশ’ জারি করা হয়। এ আইনে পার্বত্য চট্টগ্রামে জরিপের বিধান রাখা হয়েছে। এর আলোকেই ১৯৮৬ সালে প্রথম জরিপ শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে পুরো পার্বত্য এলাকায়ই জরিপের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া মৌজায় জরিপ চলাকালে দু’জন কর্মকর্তাকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর অঙ্গ সংগঠন শান্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধা ও উপজাতি সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে। ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়েও তাদের উদ্ধার করা যায়নি। পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ১৯৮৮ সালের ১২ অক্টোবর পার্বত্য এলাকার ভূমি জরিপ ও রেকর্ড প্রণয়নের কাজ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সরকার।

    পার্ব ত্য শান্তি চুক্তি ১৯৯৭ এর ঘ খন্ডের (৪) ধারা মতে, জায়গা-জমি বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তি কল্পে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিশন (ল্যান্ড কমিশন) গঠিত হইবে। শান্তি চুক্তির আালোকে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিশন গঠন করে। কিন্তু নানা কারন দেখিয়ে তারা এ কমিশনকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে।

  58. সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বছরে কমবেশী ৪০০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয়। কোথায় ব্যয় হয় সেই টাকা? কয়টা স্কুল, কয়টা কলেজ, কয়টা হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছে জেএসএস, ইউপিডিএফ এবং সংষ্কারবাদীরা? কত ফিট রাস্তা তারা এ পর্যন্ত নির্মাণ করে দিয়েছে? কি করেছে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা জবরদস্তী করে লুট করে নিয়ে? এখন সময় এসেছে এখানকার সন্ত্রাসী নেতাদের সম্পত্তির হিসাব নেয়ার কারণ জানা গেছে যে, নেতাদের অনেকেই সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, করেছেন বাড়ী/গাড়ী, ব্যাংক ব্যালেন্স ইত্যাদি।

    Where does these money go?

    1. তাই প্রথমে আপনি সচেতন হউন। তারপর আপনার জাত ভাইদের কে সচেতন করুন। জেএসএস, ইউপিডিএফ এবং সংষ্কারবাদীর বিরুদ্বে রুখে দাড়ান। তাদেরকে সন্ত্রাসী পথ পরিহার করতে বলুন। প্রশাসনকে সহযোগিতা করেন। তবেই পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির সু-বাতাস বইবে।

    2. সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন, গুম আর অপরণ বন্ধে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। নিজে সচেতন হলে হবেনা অন্যদেরও সচেতন করে তুলেতে হবে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন, গুম আর অপরণ বন্ধ করে পাহাড়ী জনপদের লুকায়িত অর্থনৈতিক ভান্ডার খুলে দিতে হবে। আর তখনই আমরা অর্থনৈতিক মুক্তি লাভ করবো।

  59. আপনার লেখাটি পড়লাম।
    স্পস্ট করে সত্য কথা বলা অনেক সময় বিপদের কারন হয়।
    আপনি ভাল থাকবেন এবং আরো বেশি বেশি লিখবেন।

  60. লেখার উপর মন্তব্য অনেক বেশি দেখে আমারও ইছে করল।
    পাহাড়ে তিন দল মিলে যা করছে তা মেনে নেয়া যায়না। কি আদরশ নিয়ে তারা নিরযাতন নিপিরন চালাছেছ তা কেউ জানেনা। শুধু চাদা আদায় আর শন্ত্রাস করাই যদি তাদের কাজ হয় তাহলে সাধারণ জনগণ এর উচিত তাদের বিরুধে রুখে দারন।

  61. স্যার, অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং সাহসী লেখার জন্য স্যালুট।আমি নিশ্চিত এই লেখাটি অনেক দুষ্ট লোকের গাত্রদাহের কারন হবে। আশা করি পাহাড়ি ভাইয়েরা এবার বুঝতে পারবেন কিভাবে তাদের দুষ্ট নেতারা, সহজ সরল মানুষগুলোর চরম ক্ষতি করছে।

  62. একটি ভালো লেখা যার জন্য জাতি অপেক্ষা করছিল।আপনি এই রকম ভালো লেখা আমাদেরকে উপহার দিয়ে যান।

  63. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেন, অস্ত্রের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ এখন জিম্মি হয়ে পড়েছে। পার্বত্য এলাকায় অবৈধ অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান। তিনি আরো বলেছেন,সরকারী সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা দেশের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক জনগণর কাছে অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ।

  64. এক বসাতে পড়ে ফেললাম। চমৎকার তথ্যপূর্ণ লেখা। সবাইতো জানে কিন্তু ওদের নিয়ন্ত্রণ করব কিভাবে?
    অপার সম্ভাবনাময় পার্বত্য অঞ্চলে মুষ্টিমেয় কিছু সন্ত্রাসী কর্তৃক সৃষ্ট অশান্তি ও অস্ত্রের ঝনঝনানী সমূলে উৎপাটন করে একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত জীবন যাপন করা এবং পরবর্তী বংশধরদের জন্য বসবাসযোগ্য বাংলাদেশ রেখে যাওয়াই সকলের স্বপ্ন। এদেশের অপার সম্ভাবনাময় পার্বত্য এলাকায় সকলে মিলে শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করতে পারলে উন্নয়ন এবং উন্নত জীবনযাপন নিশ্চিত হতে বাধ্য।

    আমরা চাই দ্রুততার সাথে আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হোক। আরও অনেক লেখা চাই আপনার কাছ থেকে।

  65. Sir, this is absolutely an informative article about our CHT. This article will encourage our young generation to know the history and present situation of CHT. I think role of the different circles during liberation war is now clear to all. Many people of our country were blank about the activities of security forces including Bangladesh Army in CHT. Now it will enlighten their idea about the role of security forces. Those people who don’t want peace in CHT should be aware by now. Because we all want to live in a “Peaceful Bangladesh” and CHT is a part of our beloved Bangladesh. We are proud to have a wonderful article from you sir.

  66. 2% people are playing with 98% people and sufferers cannot say anything. If they want to say something, they are termed as pahari rajakar. We have approximately 3 lacs paharies settled in plains but none from the plain says that paharies to leave but we need to settle the troubles amicably. Question is who will do? Our leaders? No, they are busy with themselves. Jommuland! Will it be viable? Land locked, least developed and farmers country only. And we shall need separate Marma and Tripura lands too in future as you mentioned. Actually hilly people are really helpless. I know you sir. You have a heart for supporting the people. Please do something if you can.
    We know, your time will pass and you will leave. We shall remain here. Please do something for us sir.
    Praying for leaders of your kindness.

  67. জেএসএস, ইউপিডিএফ এবং সংস্কারবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মানুষদের কাছ থেকে নিয়মিত ও অনিয়মিতভাবে জোর জবরদস্তি করে চাঁদা আদায় করে, আদায়কৃত চাঁদার টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনে এবং সেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আরো বেশি চাঁদা আদায় করে। এ যেন এক সীমাহীন চলমান গোলক ধাঁধা । এখানকার বিত্তহীন নিরীহ মানুষদের হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, ফসল ধ্বংস, বাগান ধ্বংস, জ্বালাও-পোড়াও, ভয়ভীতি এবং নির্যাতন এখনও চলছে।
    খুবই সত্য কথা। কিন্তু মুক্তির উপায় কি ? ওদের ভয়ে কেউতো বলতে পারছেনা। আর প্রতিরোধ করার শক্তিতো কারো নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন