পার্বত্য এলাকায় হচ্ছে ৫ সরকারি কলেজ

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:
রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের পাঁচ উপজেলায় নতুন পাঁচটি আবাসিক সরকারি কলেজ হচ্ছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি, জুড়িছড়ি এবং বান্দরবানের আলীকদম, রুয়াংছড়ি, থানছি। এসব উপজেলায় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের কোনো কলেজ নেই।

পাঁচ উপজেলায় সরকারি কলেজ স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় সম্ভাব্য স্থান নির্বাচন ও নির্বাচিত স্থানে অন্তত পাঁচ একর জমি লোকেশন ম্যাপসহ অধিগ্রহণ, অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় প্রাক্কলন (ভূমির পরিমাণ, তফসিল, প্রকৃতি, চৌহদ্দি ও বাজার দর সংগ্রহসহ) কাজ চলছে। ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলতি বছরের আগস্ট থেকে মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরু করে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে এ সংক্রান্ত দায়িত্ব দেয়।

তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি কলেজে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ খোলা হবে। প্রতিটি বিভাগে অন্তত দেড়শ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। সে দিক বিবেচনায় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের কলেজ ক্যাম্পাসে থাকার জন্য অন্তত পাঁচশ আসনের আবাসিক হোস্টেল নির্মাণ করা হবে।

মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আলীকদম, রুয়াংছড়ি ও থানছি উপজেলা অত্যন্ত দুর্গম এলাকা। আলীকদমে বাঙালি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় সমান। বাকি দুই উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস বেশি। এ সব উপজেলায় স্কুল থাকলেও কলেজ না থাকায় শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর উচ্চ শিক্ষার পথ সুগম হবে।

রাঙ্গামাটি জেলার সবচেয়ে দুর্গম উপজেলা বিলাইছড়ি ও জুড়িছড়ি। এই দুই উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি কোনো কলেজ না থাকায় এলাকার শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ছে।

বর্তমানে সরকারি কলেজ ৩২৭টি। সম্প্রতি আরো ১২টি কলেজ সরকারি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া  দেশের ২৮৫টি বেসরকারি কলেজকে সরকারি করার জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে এসব কলেজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে উপজেলাগুলোতে সরকারি কলেজ নেই, সেই উপজেলাগুলোতে একটি করে কলেজ সরকারি করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২৮৫টি কলেজকে সরকারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন কলেজগুলো যুক্ত হওয়ার পর সারাদেশে সরকারি কলেজের মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ৬শতাধিক। পার্বত্য এলাকাগুলো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাও পিছিয়ে। ড্রপ আউট সংখ্যাও অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন