পার্বত্য এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য- বৃষকেতু চাকমা
স্টাফ রিপোর্টার:
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে তারা। এছাড়া দেশের দুর্যোগকালীন সময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্যার্থে কাজ করেছে এই সশস্ত্র বাহিনী। তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য।
মঙ্গলবার বিকেলে রাঙামাটির পর্যটন কমপ্লেক্স এর সম্মেলন কক্ষে রাঙামাটি সফররত ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) এর ২০১৬ সালের কোর্সের ৩২জনের প্রশিক্ষণার্থী দলের সাথে পার্বত্য জেলা পরিষদের বিষয়ে ব্রিফিংকালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
এনডিসির প্রশিক্ষণার্থী দলের সাথে ব্রিফিংকালে চেয়ারম্যান আরো বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ বিশেষ আইন দ্বারা গঠিত। পার্বত্য শান্তি চুক্তির আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ধর্মীয় ও সমাজ সেবার মতো মৌলিক বিষয় ছাড়াও ৩০টি হস্তান্তরিত বিভাগ ও বিষয় নিয়ে মানুষের সামাজিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন ও সামাজিক কল্যাণকর কাজে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহ বিশেষ অবদান রেখে চলেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
৩২ সদস্যবিশিষ্ট দলের দল প্রধান ছিলেন এনডিসি প্রধান লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সোহরায়ার্দী। এ দলে মালেশিয়া, শ্রীলংকা, সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত, নাইজেরিয়া, নেপাল, মায়ানমার এবং ব্রুনাই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
এ সময় জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা আবুল মনছুর চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা।
ব্রিফিং সেশনে এনডিসির পক্ষে ব্রিগেডিয়ার জাকারিয়া, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সানাউল হক পিএসসি, রিয়ার এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম এনজিপি বক্তব্য রাখেন। পরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও এনডিসি কোর্স প্রধানগণ একে অপরের কাছে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।