Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

পার্বত্যাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শাপলা: সংরক্ষণের উদ্যোগ নেই

শাপলা

লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা। গ্রাম বাংলার হাওড়-বিল ও ছোট ছোট জলাশয়কে এ ফুলটি সৌন্দর্য মণ্ডিত করে তোলেছে। নদীমাতৃক বাংলার চিরায়িত রূপকে করে রেখেছে অপরূপ। শাপলা ফল ছোট ছেলে মেয়েদের প্রিয় খাবার। শাপলা ডাটা তরকারী হিসাবে খেতে রসালো ও সুস্বাদু। পাহাড়ী ও বাঙ্গালী উভয়ে শাপলা ডাটা রান্না করে খাওয়ার রয়েছে অনেক পুরানো সাংস্কৃতি। পাহাড়ীরা খায় নাপ্পি দিয়ে আর বাঙ্গালীরা শুটকি দিয়ে। আবার কেউ কেউ মাছ দিয়ে রান্না ও ভাজি করেও খায়।

এ শাপলা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় পার্বত্যাঞ্চলের ডোবা, নালা, জলাশয় ও পুকুরে জন্মে। কালের বিবর্তনে ডোবা নালা জলাশয় ক্রমশঃ ভরাট হয়ে যাওয়ায় এগুলো এখন আগের মত চোখে পড়ে না। ধারণা করা হয়, শাপলা জন্মাবার উৎসগুলো অনেকাংশে নষ্ট হয়ে গেছে।

রাজবাড়ী, দরদরী ও সাবেক বিলছড়ি এলাকার লোক জন মাঝে মধ্যে শাপলা ডাটা বাজারে এনে বিক্রি করতে দেখা যায়। ৫-৭ফিট লম্বা এ ডাটা গুলো ২০-২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। শাপলা ফলের (শালুক) শুকনো বীচি দিয়ে খই ও মজাদার পিন্নি তৈরী করা যায়। শাপলা ডাটা থেকে নির্গত শ্যাওলা খেয়ে মাছ তাড়া তাড়ি বাড়ে।

এ ছাড়া হাঁসের বাড়তি খাবারে প্রয়োজন মেটানোসহ পুকুর কিংবা জলশয়ে পানি বিশুদ্ধ করণে এটি প্রাকৃতিক ওষুধি হিসাবে কাজ করে বলে জানা গেছে। এ জাতীয় ফুল ও মজার তরকারী শাপলা সংরক্ষণে কৃষি বিভাগ কিংবা সরকারের কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না পার্বত্যাঞ্চলে।

02022420-2-1

লামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, পার্বত্যাঞ্চল থেকে শাপলা যাতে হারিয়ে না যায় সে জন্য চাষীদের শাপলা চাষে উদ্ব্দ্ধু করতে হবে। অন্যান্য ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে চাষীদের যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় শাপলা উৎপাদনেও তা দিতে হবে।

লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মামুন চৌধুরী জানান, শাপলা ডাটায় সব্জিগুণ আছে। আয়রন এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে প্রচুর পরিমানে। তিনি বলেন, শাপলা ডাটা মানুষের শরীরে রক্ত শূন্যতা দুর ও হাড় গঠনে সাহয্য করে। এটা কাঁচা ও রান্না করে খাওয়া যায়।

সাবেক বিলছড়ি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ উপাইন্দা ওয়েঞ্চা মহাথেরো জানান, শাপলা ফুলগুলো বিহারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। এ ফুল দিয়ে আমরা বুদ্ধ পূঁজা করি। নাপ্পি দিয়ে এ ফুলের ডাটা আমরা ভর্তা ও তরকারী রান্না করে খাই।

দরদরীর মোঃ আবু মিয়া জানান, প্রতি বর্ষায় আমার ডোবায় প্রচুর শাপলা ফুল এমনিতেই ফুটে। এগুলো এলাকার মানুষ রান্না করে খায়। আমরাও খাই। আবার অনেকে টাকা দিয়ে কিনে নেয়। সরকারী সুযোগ-সুবিধা পেলে বানিজ্যিক ভাবে শাপলা ফুল চাষ করবেন বলে তিনি জানান।

লামা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু তাহের মিয়া বলেন, উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে পতিত জলাশয় ও ডোবায় মৎস্য চাষের পাশাপাশি পরীক্ষা মূলক শাপলা ফুল চাষ দেয়া হবে। যে সমস্ত ডোবায় ও জলাশয়ে শাপলা ফুল আছে সেগুলোকে নষ্ট না করার জন্য তিনি মৎস্য চাষীদের প্রতি আহবান জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন