Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

পার্বত্যনিউজে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

ICE 18

নিজস্ব প্রতিনিধি:

‘১৬ মে,২০১৭, দুপুর ৩.২৬ ঘটিকায় ‘পার্বত্য নিউজ” অনলাইনে পত্রিকায় “পানছড়ির বিভিন্ন বাজারে বিষাক্ত আইসক্রিমের সয়লাব” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন অরণ্য এন্টারপ্রাইজ কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদে বলা হয়েছে, “পত্রিকার রিপোর্টার জনাব মোঃ সাজু উক্ত সংবাদে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান `অরণ্য এন্টারপ্রাইজ’ এর নামে অসম্পূর্ণ ও বিকৃত তথ্য পরিবেশন করে সুনাম ক্ষুন্ন করেছেন।

রিপোর্ট করার পূর্বে তিনি প্রতিপক্ষের তথা আমাদের কোন মতামত নেন নাই; যা রিপোর্টিংয়ের রীতি বিরুদ্ধ। আমাদের মতামত এই, `সনি আইসক্রিম’ ফেনীস্থ ফ্যাক্টরীতে উৎপাদিত মানসম্পন্ন আইসক্রীম, যা বিএসটিআই এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা ইন্সটিটিউট কর্তৃক মান পরীক্ষিত এবং বাজারজাতকরণের অনুমোদন প্রাপ্ত (প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংযুক্ত)।

নিউজে স্থানীয় ডাক্তারের মতামত দেয়া হয়েছে যে `এটি সম্পূর্ণ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পানির তৈরী’। আমাদের প্রশ্ন তিনি কি চিকিৎসক না খাদ্য সামগ্রী মান পরীক্ষক? একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা হয়ে সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সনদপত্রপ্রাপ্ত কোম্পানীর বিরুদ্ধে না জেনে, ল্যাব টেস্ট না করে তিনি গণমাধ্যমে কিভাবে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত স্পর্শকাতর একটি বক্তব্য দিলেন?

আমাদের পরিস্কার বক্তব্য এই, যদি সরকার অনুমোদিত ল্যাব টেস্টে আইসক্রীমটি অস্বাস্থ্যকর প্রমাণিত হয়, তাহলে আমরা তা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিবো। অন্যথায় আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্নের দায়ে এবং জনমনে আতংক সৃষ্টির দায়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলের ইতিবাচক সহযোগিতা কামনা করছি।”

প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রকাশিত সংবাদটির সত্যতা রয়েছে। ৫ টাকা মূল্যের কালো প্রলেপ দেয়া ফেনী থেকে আসা এই আইসক্রীমটির প্যাকেটে বিএসটিআইয়ের একটি সীলমোহর রয়েছে। কিন্তু প্যাকেটের গায়ে ব্যাচ নং, ওজন, উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উর্ত্তীর্ণের তারিখ- কোন কিছুই উল্লেখ নেই। এটি ভোক্তা অধিকার আইনের ২০০৯ সালের ৩৭ নং ধারার লঙ্ঘন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম। পানছড়ি উপজেলা স্যানিটরি ইন্সপেক্টর শওকত আলীও তা নিশ্চিত করেন।

তিনি আরো বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদনের সময় প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদ উর্ত্তীনের তারিখ লেখা থাকবে শর্তে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অঙ্গীকারাবদ্ধ। এর কারণে ১ বছরের কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় শাস্তি হতে পারে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প. কর্মকর্তা ডা: সনজীব ত্রিপুরা।

এ ব্যাপার খাগড়াছড়ির পরিবেশক অরণ্য এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধীকারী মো. নুরুন্নবীর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান, ফেনী মধুপুর সড়কে সনি আইসক্রীম ফ্যাক্টরীর অবস্থান। সরকারী বিধি মোতাবেক বিএসটিআইয়ের অনুমোদনসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি ও আইসক্রীমের গুণগত মান ঠিক আছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

প্রতিবাদের সাথে অরণ্য এন্টারপ্রাইজ কর্তৃপক্ষ বিএসটিআইয়ের সনদের কপি দিলেও ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা ইন্সটিটিউট কর্তৃক মান পরীক্ষিত এবং বাজারজাতকরণের অনুমোদন প্রাপ্ত’ বলে যে দাবী করেছেন তার কোনো সনদ দেননি। এমনকি তাকে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা ইন্সটিটিউট কর্তৃক মান পরীক্ষিত এবং বাজারজাতকরণের অনুমোদনের সার্টিফিকেট দেখাতে বলা হলেও তিনি তা দেখাতে পারেননি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন