পানছড়ি মেতে উঠেছে ঈদ পরবর্তী আনন্দে

E copy

শাহজাহান কবির সাজু:

পবিত্র ঈদুল ফিতরের এবারের আনন্দ বর্ষায় বিলীন হলেও ঈদ পরবর্তী পানছড়ির দর্শনীয় স্থানগুলোতে দিন দিন বেড়ে চলেছে শিশু থেকে শুরু করে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতাদের আনাগোনা। বিশেষ করে পানছড়ি উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণে সবুজে ঘেরা নির্জন গ্রাম শান্তিপুরের বুক চিরে সাপের মতো এঁকে বেঁকে যাওয়া কর্ণফুলীর শাখা চেংগীর বুকে নির্মিত রাবার ড্যাম এলাকাটি বেশ জমে উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় রাবার ড্যামটি বেয়ে ঝর্ণার পানি পড়ার দৃশ্য দেখার দর্শনার্থী মাদ্রাসাতুল কোরআনিল কারিম এর কিতাব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবদুল হান্নান ও জুবায়ের করিমের সাথে। তারা জানায়, পার্বত্যনিউজে এই রাবার ড্যামের কাহিনী পড়েই নিজ চোখে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়ে এবারের ঈদের আনন্দে অংশীদার হতেই নিজ বাড়ি ফেনী জেলা থেকে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলাতে আসা। একদিকে পানি জমছে অন্যদিকে ড্যামের উপর দিয়ে ঝর্ণার মত কল কল আওয়াজে পানি বের হচ্ছে এই দৃশ্যটিই নয়নাভিরাম বলে তাদের মন্তব্য। তারা জানায় আসলেই উপভোগ করার মত একটি দৃশ্য। পৌষের হাড় কাপানো শীতে নিজেদের বিলিয়ে দিতে দর্শনার্থী হয়ে আবারও আসা হবে বলে মুচকি হাসি দিয়ে জানালেন দু’জন।

কথা হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করা ইন্টারন্যাশনাল রিলেশান্সের ছাত্র ফয়সাল ও চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার ছনদন্ডী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরার সাথে। তারা রাবার ড্যাম ও শান্তিপুর অরণ্য কুটিরের দৃশ্য উপভোগে এসেছেন বলে জানায়। তাদের ধারণা শহরের চেয়ে এসব এলাকার দৃশ্যগুলো খুবই সুন্দর। এদিকে মিঠু দম্পত্তি ব্যস্ত তাদের কোমলমতি ইকরাকে নিয়ে। দূরন্তপনায় ব্যস্ত থাকা ঘাম ঝরনো ৬ বছর বয়সী ইকরার লাফালাফির দৃশ্য উপভোগে যেন সবাই ব্যস্ত। ইকরার ভাষ্য ‘আংকেল খুব সুন্দর আবার আসবো’।

কথা হয় স্থানীয় কয়েকজনের সাথে, তারা জানালেন রাবার ড্যাম এলাকাটি সুন্দরের লীলাভূমি হলেও বর্তমানে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে রাবারের সামনে যে কয়টি প্রোডাকশন ফিলার দেয়া হয়েছে সেগুলো এবারের বর্ষায় প্রায় সবগুলো কাত হয়ে গেছে। যার ফলে পানিতে ভেসে আসা বড় বড় গাছের আঘাতে যে কোন মুহুর্তে রাবার ছিড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রশাসনকে সু-দৃষ্টি দিয়ে রাবার ড্যামটিকে রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে তারা মনে করছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment
আরও পড়ুন