পানছড়ির বিষ্ময় শিশু রোযা
নিজস্ব প্রতিবেদক, পানছড়ি:
মেডোনা আক্তার রোজার বয়স দুই বছর তিন মাস। সে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন দমদম পাড়া কেন্দ্রের একজন শিক্ষার্থী। সে কলোনীপাড়া এলাকার মো. জুয়েল ও মনি আক্তারের মেয়ে।
এলাকার কোমলমতি আয়েশা, বৃষ্টি, ফাহিম, আশরাফুল, মাহি, আল-আমিন, বুশরাত, রিফাত, নাদিয়া, সুমাইয়া, আখি ও জিহানের পাশাপাশি রোজাও এই কেন্দ্রের নিয়মিত শিক্ষার্থী। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা শুধু খেলা-ধুলা নিয়ে পাড়া কেন্দ্রে সময় পার করলেও রোজা কিন্তু সব জান্তা। ইতিমধ্যে সে ইসলামের ১৩০ ফরজ, ২০টি বাংলা ছড়া, ২টি ইংরেজি ছড়া, প্রধানমন্ত্রীর নাম, রাষ্ট্রপতির নাম, বাংলাদেশের রাজধারীর নাম, ঢাকা কোন নদীর তীরে অবস্থিত, জাতীয় ফল, ফুল, মাছের নাম, প্রতিটি স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ দিয়ে শব্দ ও বাক্য গঠন, নাচ-গানসহ নানান বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী।
সরেজমিনে পাড়া কেন্দ্রে রোজার সাথে কথা বলে গান শুনতে চাইলে সে “এমন মজার হয়না, গায়ে সোনার গয়না, বুবু মনির বিয়ে হবে বাজবে কতো বাজনা” গানটি নিজে গেয়ে নেচে নেচে দেখায়। নানান প্রশ্ন করা হলেও সে ঝটপট উত্তর দিয়ে উল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়।
রোজার দাদী পাড়াকর্মী রৌশন আরা জানায়, তার প্রচুর জ্ঞান। সব বিষয়ে সে জানতে আগ্রহী এবং ধারণও করতে পারে। তবে মেধার পাশাপাশি সে দুষ্টমিতেও যথেষ্ট পাকা। কোন কিছুকে ভয় পায়না সামনে গরু, ছাগল থেকে শুরু করে যেটাই পায় জড়িয়ে ধরে। সিনিয়র পাড়া কর্মী তাসলিমা জানায়, রোজা প্রচুর মেধাবী। তার মেধায় মুগ্ধ হয়ে প্রায়ই এ কেন্দ্রে ছুটে আসা হয়।
সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের পানছড়ি উপজেলা সমন্বয়ক শুভাশীষ চাকমা জানায়, এ বয়সে শিশুরা ঠিকভাবে কথা বলতে না পারলেও রোজার ব্যাপার আলাদা। সে সব বিষয়ে পারদর্শী। তার জ্ঞান দেখে আমি মুগ্ধ হই। এলাকার কয়েকজন জানায়, পাড়াকর্মী যেভাবে নিজ হাতে খেলার জিনিসপত্রাদি তৈরি করে যুগোপযোগী করে যে কেন্দ্রটি সাজিয়েছেন তা দেখেও শিশুদের অনেক কিছু শিখার আছে।