পানছড়ির বাঁশের বংশ হচ্ছে ধ্বংস

নিজস্ব প্রতিবেদক, পানছড়ি:

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ির বিভিন্ন গ্রাম্য বাজার থেকে শুরু করে উপজেলা সদর সহ প্রায় সব এলাকাতেই প্রতিনিয়ত বিক্রি হচ্ছে কঁচি বাঁশ। যাকে চাকমা ভাষায় বাচচরি, মারমা ভাষায় নাহাং, ত্রিপুরা ভাষায় মুইয়া ও স্থানীয় ভাষায় বাঁশকুরুল বলে থাকে।

এই বাঁশকুরুল সকল সম্প্রদায়ের নিকট সুস্বাধু খাবার হিসাবে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অথচ এর কুফল সম্পর্কে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নুন্যতম ধারনা নেই যে, এটা দেশের জন্য কত বড় সর্বনাশ করছে। সরকারী নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বিলীন হতে যাচ্ছে বাঁশের উৎপাদন। বাঁশকুরুল থেকে যখন বাঁশটি পুরিপূর্ণ বাঁশে রুপান্তরিত হয় সেই বাঁশের মূল থেকেই নতুন চারা বের হয়ে বাঁশের উৎপাদন দিন দিন বাড়তেই থাকে।

অথচ সেই বাঁশের চারা উপড়ে ফেলার ফলে তা আজ বিলীনের পথে। অনেকের ধারনা কিছু অসাধুব্যবসায়ীর কারণেই ধ্বংশ হচ্ছে বাঁশের বংশ। এভাবে আর কিছু দিন চলতে থাকলে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে বাঁশও।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার পানছড়ির বিভিন্ন বাজার থেকে শুরু করে অলি-গলিতেও দেখা যায় বাঁশকুরুলের রমরমা ব্যবসা। প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে মনকে মন কচিবাঁশ। তাছাড়া পানছড়ির চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন শহরেও নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে এই বাঁশ। গ্রাহকের কাছে এটি এত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে যে, বাজারে প্রবেশেই আগেই পথিমধ্যেই থাকেনা-বেঁচা শেষ হয়ে যায়।

সচেতন মহল জানায়, এ এলাকা থেকে বাঁশের বংশ বিলুপ্তির পাশাপাশি আবহাওয়ারও বিরুপ প্রতিক্রিয়া এরই মধ্যে টের পাওয়া যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে পানছড়ির প্রশাসনের সাথে আলাপকালে তারা জানায়, বাজার উন্নয়ন কমিটি ও প্রশাসনের মাধ্যমে বাঁশের ব্যাপারে একটি সচেতনতা প্রচারনা চালু করা হবে। প্রচারণার পরও যদি কেউ অসাধু উপায়ে কঁচিবাঁশ বাজারে বিক্রি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন