Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

পানছড়ির জ্যোতিন্দ্র চাকমার স্বপ্নের কলা ও আনারস বাগান

নিজস্ব প্রতিবেদক, পানছড়ি:

পানছড়ি উপজেলার কানুনগো পাড়ার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চেংগী নদীর পূর্ব পার্শ্বে একশ শতক জায়গার উপর সাতশত কলা গাছ ও নয় হাজার আনারস গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে অপরূপ সুন্দরের এক বাগান। উপজেলার লোগাং ইউপির চিত্ত রঞ্জন পাড়ার সুনীতি চাকমার ছেলে জ্যোতিন্দ্র চাকমা (৩৮) এই বাগান গড়ার মূল কারিগর।

যা পানছড়ি-লোগাং সড়কে চলাচলকারীদের নজর কেড়ে নেয় নিত্য। বাইশ হাজার টাকা দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য জমি বর্গা নিয়ে দশ মাস আগে রোপন করে সাতশত কলাগাছ ও নয় হাজার আনারস চারা। বর্তমানে প্রায় সব’কটি গাছেই ঝুলছে বিশাল বিশাল কলার ছড়া।

ইতিমধ্যে প্রায় শতাধিক কলার ছড়া বাজারজাত করেছে যার প্রতিটি গড়মূল্য তিনশত টাকা। আগামী কিছুদিনের মধ্যে প্রায় সব’কটি ছড়া বাজারজাত হবে। তাছাড়া আনারসও এরই মাঝে বাজারজাত করণ শুরু হয়েছে।

বাগান মালিক জ্যোতিন্দ্র চাকমা জানায়, জমি বর্গা, জমি তৈরী, চারাক্রয়, শ্রমিক মিলে সর্বমোট দেড় লক্ষাধিক টাকা খরচ করে এই বাগান সাজানো হয়েছে। প্রথম বছরে কলা বিক্রি করেই পূঁজি তুলে কিছু লাভের দেখা পাব। পরবর্তী চার বছরে কলা ও আনারস বিক্রির টাকা দিয়ে আমি এবং আমার পরিবার পুরোপুরি স্বাবলম্বী হতে পারব।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শুভাশীষ চাকমা জানায়, এই বাগান তৈরীতে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। কারিগরি সহযোগিতা ও পরামর্শের মাধ্যমেই এই গঠনমূলক বাগান সাজানো সম্ভব হয়েছে। এই রকম সুন্দর বাগান বাগান অত্র উপজেলায় আর নেই। তবে বাগানটি দেখে তারাবনছড়া, মঙ্গলধন পাড়া এলাকাসহ কয়েক জায়গায় বাগান গড়ে উঠেছে।

সাবেক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: মানিক মিয়া জানান, শুভাশীষ চাকমার পরামর্শক্রমেই কৃষক জ্যোতিন্দ্র চাকমা বাগান গড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে কৃষি সম্পর্কে এই কৃষকের প্রচুর মেধা ও সে কাজে আগ্রহী। আগামী চার বছরে সে অনেক লাভবান হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন