নতুন প্রকল্প চেয়ারম্যান পেয়ে পানছড়ির গুচ্ছগ্রামগুলোতে খুশির জোয়ার

pansori

পানছড়ি প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার অ-উপজাতীয় গুচ্ছগ্রামগুলোতে বইছে খুশির জোয়ার। দীর্ঘ বছর যাবত প্রকল্প চেয়ারম্যান নামক সোনার হরিণ খ্যাত পদটি নিয়ে রশি-টানাটানির অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নিয়োগ পেল বার’জন নতুন কান্ডারী।

আজ-কালের মধ্যেই রেশনের চাউল বিতরণ হবে, চুলোয় ঠিকমত আগুন জ্বলবে তাই যেন খুশীর জোয়ারে ভাসছে কার্ডধারী পরিবারগুলো। গুচ্ছগ্রাম অধ্যূষিত এলাকাগুলোয় গত কয়েকদিনে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে কার্ডধারীদের মাঝে বিরাজ করছিল চাপা ক্ষোভ। তার একমাত্র কারণ নীরব দুর্ভিক্ষ। বেশীর ভাগ পরিবারগুলোই রেশনের উপর নির্ভরশীল বিধায় মাস শেষে রেশন না পেলে তারা পড়ে যায় দুর্ভিক্ষের কবলে। তাই তাদের জোর দাবী নতুন আর পুরাতন প্রকল্প চেয়ারম্যান দরকার নেই সময় মত রেশন পেলেই তারা খুশী। অনেকেই এই সূত্রের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করলেন।

জানা যায়, ক্ষমতাসীন দলের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রকল্প চেয়ারম্যানরা দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে আকড়ে ধরে রেখেছিল এই পদটি। বিভিন্ন আইনী জটিলতার মারপ্যাঁচে কেউই তাদের ধারে কাছেও ভিড়তে পারেনি। তাই কার্ডধারীরাও হয়ে পড়েছিল এক ধরনের জিম্মি। অবশেষে সব জটিলতার ইতি টেনে নতুনদের আগমনে কার্ডধারীরাও যেন স্বস্তি পাচ্ছে যে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেলাম।

পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বার’টি গুচ্ছগ্রামে ৪,১৩৫টি কার্ডধারী পরিবারের অনুকুলে এপ্রিল, মে ও জুন মাসের চাল ও গম বরাদ্ধ পাওয়া গেছে এবং স্ব-স্ব প্রকল্প চেয়ারম্যানের অনুকুলে উপ-বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

বার’টি গুচ্ছগ্রামে যারা নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন তারা হলেন মো: ইউছুফ (মোল্লাপাড়া), মো: শহীদ খান (দক্ষিন জিয়ানগর), মো: জয়নাল আবেদীন (জিয়া নগর), মো: আহির উদ্দিন (মধ্যনগর), মো: আবদুল খালেক সওদাগর (লোগাং বাজার), মো: হানিফ মিয়া (উল্টাছড়ি), মো: মতিউর রহমান (মোহাম্মদপুর), মো: নজির মিয়া (দমদম), মো: আফজল মিয়া (পূর্ব দমদম), উজ্জ্বল চৌধুরী (পানছড়ি বাজার), হিরামতি বড়–য়া (পাইলট ফার্ম), মো: মহিউদ্দিন (ফাতেমানগর)। নতুনভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রকল্প চেয়ারম্যানগন জানান, কার্ডধারীদের মাঝে সঠিকভাবে চাল ও গম তুলে দিয়ে সুনাম অক্ষুন্ন রাখাটাই হবে আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গুচ্ছগ্রাম, পানছড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন