পানছড়িতে ভূমি বিরোধের জের ধরে সংর্ঘষ আহত-৪
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছাড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ফাতেমানগরে ভূমি বিরোধের জের ধরে সংর্ঘষে উভয় পক্ষ্যের ৩মহিলাসহ ৪জন আহত হয়েছে। জানা যায়, পানছড়ি ইসলামীয়া সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম নিজ জমিতে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়াল নির্মাণ করে।
গত রোবিবার রাত কে বা কারা দেওয়ালটি ভেঙ্গে ফেলে। এ ঘটনায় নুরুল ইসলামের লোকজন তারই ছোট ভাই মো. শাহ আলম ও তার ছেলেদের দোষারোপ করে। এ নিয়ে সোমবার সকাল ৮ টার দিকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। এতে শাহ আলমের ছেলে মো. হারুন-উর-রশিদ (২৪) ও তার মা পারুল বেগম (৪২) আহত হয়। হারুনের গলায় দায়ের কোপ লাগে। পরে ৬টি সেলায় দেওয়া হয়েছে। পারুলের হাতেও দা দিয়ে কোপানো হয়েছে।
অপর দিকে নুরুল ইসলামের মেয়ে মোছাম্মদ তছলিমা আক্তার (২০) ও তার স্ত্রী নুর জাহান বেগম (৪৫) আহত হয়েছে। এদেরকে পানছড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে ৩জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো নুরুল ইসলাম হুজুরের মেয়ে তাছলিমার স্বামী মো. আমির হোসেন, মৃত মোছেদুর রহমানের ছেলে মো. মাহিদুল ইসলাম ও মো. শাহ আলমের ছেলে মুসা। তবে ঘটনার সময় মো. মাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছিল না বলে জানা যায়।
মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমার নিজ জমিতে আমারা বাবার কথা মতো দেওয়াল নির্মাণ করছিলাম। তা রোববার দিবাগত রাতে নির্মাণাধী দেওয়ালটি পাশ্ববর্তী লোকজন ভেঙ্গে ফেলে এবং সোমবার সকালে আমরা ঘরে বসে চা পান করছি। এমন সময় আমার ঘরের দরজায় লাটি দিয়ে আগাত করতে থাকলে আমি বাহিরে আসি। আমার উপর মাহিদুল, হারুনসহ ৬ থেকে ৭ জন হামলা করে আমাদের আহত করেছে।
পারুল বেগম বলেন, হুজুরের মেয়ের জামাই আমির হোসেন দা দিয়ে আমার ছেলে হারুনের গাড়ে কোপ দিয়েছে। এতে ঘাড় ও গলা কেটেছে, ৬টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আমাকেও হাতে কোপ দিয়েছে বলে সে জানায় ।
পানছড়ি থানা অফিসার্স ইনচার্জ মো. আ. জব্বার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় এখনো কোন অভিযোগ দাখিল করা হয়নি। ৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে।