পানছড়িতে এক গাছে শতাধিক বেগুন

Bagun Pic N

স্টাফ রিপোর্টার:

পানছড়ির উল্টাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নোন্টু চাকমা (৪০)। সে কলেজ গেইট এলাকার সত্যধন পাড়ার বিক্রম সেন চাকমা ও গান্ধি চাকমার ছেলে। বিদ্যালয় ছুটি শেষেই নোন্টু বাড়িতে ফিরে লেগে পড়েন নানান শাক-সবজি ও ফলমুলের বাগান সাজানোর কাজে।

এরি মাঝে তাঁর নিজ বাড়ির আঙ্গিনাকে সবুজ শাক-সবজিতে সাজিয়ে তুলেছেন এক অপরূপ সাজে। যেদিকেই চোখ যায় শাক-সবজি ও ফলমুলের বাগান যেন মুহূর্তেই মন কেড়ে নেয়।

তাঁর বাড়ির আঙ্গিনায় শোভা পাচ্ছে বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, কাঁচা মরিচ, টমেটো, পুঁইশাক, রাইশাক, সীম, টকপাতা ও পেঁপে। এরি মাঝে একটি বেগুন গাছে প্রায় শতাধিক বেগুন ঝুলে থাকার দৃশ্য এক নজর দেখলে যেন মন মাতিলে তোলে।

পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুলতান মাহামুদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক গাছে শতাধিক বেগুন ঝুলে থাকার এক প্রাণবন্ত দৃশ্য। কয়েকটি বাঁশের কঞ্চি দিয়ে গাছটিকে সোজা করে আটকে রাখা হয়েছে যাতে বেগুনের ভারে মাটিতে হেলে না পড়ে।

এ প্রতিবেদকের মোবাইল পেয়ে ছুটে আসে উপজেলা কৃষি অফিসার আলাউদ্দির শেখ। নোন্টু চাকমার সাথে আলাপকালে সে জানায়, এগুলোকে বারমাইস্যা বেগুন বললেও চাকমা ভাষায় “চুলি বেগুন” বলে। ২০১৫ সালের জুন মাসের দিকে দশটি বার মাইশ্যা বেগুনের চারা রোপন করলেও ৫টি চারা মারা যায়। বাকী ৫টি গাছ বড় হলে অক্টোবর থেকে বেগুন খাওয়া শুরু হয়। কিন্তু একটি গাছ সাইজে বড় হয়ে অস্বাভাবিক ভাবে ফলন দিতে শুরু করে। এই গাছের বেগুন নিজের আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে পাড়া প্রতিবেশীকেও বিতরণ করা হয়েছে তারপরও বেগুনের কমতি নেই। বর্তমানেও গাছে ঝুলে আছে প্রায় শতাধিক বেগুন।

নোন্টু চাকমার স্ত্রী মুচকি হেঁসে জানান, হিসাবের বাইরে খাওয়া ও বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া তার রোপনকৃত দেশিয় গোল বেগুন গাছেও ঝুলে আছে বড় বড় সাইজের বেগুন। ধারণা করা হচ্ছে প্রতিটি প্রায় ৫০০ গ্রাম এর কাছাকাছি হবে। নোন্টু আরো জানায়, এসব গাছে সে মাঝে মধ্যে গৌবর ও ইউরিয়া ব্যবহার করেছে।

পানছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আলাউদ্দিন শেখ জানান, এভাবে একটি গাছে এত বেগুন ঝুলে থাকার দৃশ্য প্রায় বিরল। তবে একক জায়গায় ও দুরত্ব সঠিকভাবে বজায় রাখার ফলে গাছটি এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করে। যার ফলে ভালো ফলন দিয়ে গাছটি সবার নজর কেড়েছে। এ সময় তিনি বাগান পরিচর্চার বিষয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন