পর্যটনের সেবা নিশ্চিত করতে অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয় যুবকেরা
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
শহরের কলাতলীস্থ হোটেল-মোটেল জোনে পর্যটকদের যথাযথ সেবা প্রদান ও এলাকার শৃংখলা রক্ষার্থে প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করছে স্থানীয় সচেতন যুবকেরা। হোটেল মোটেল জোন থেকে মাদক ও দেহ ব্যবসা বন্ধ করতে প্রতিনিয়ত তদারকি করছেন ওই যুবকেরা। তাদের ওই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সার্বক্ষনিক পাশে থাকছে পুলিশ।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে বেশ কয়েকটি কটেজে তল্লাসি চালায় সমাজের মুরব্বীসহ একদল সচেতন যুবক। তল্লাশীকালে সৈকত পাড়া এলাকার বহুল আলোচিত মায়াকানন কটেজ পতিতাসহ রাসেদ ও রানা নামে ২ দালাল হাতে-নাতে ধরে গণধোলাই শেষে ছেড়ে দেয়। ওই কটেজটি পরিচালনা করেন মোহাম্মদ আলী ও ছাবের।
এছাড়া ক্যামেলিয়া রিসোর্ট নামে আরেকটি কটেজে ৩ জন পতিতাসহ খদ্দেরকে ধরে একইভাবে গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে ওই রিসোর্টের ম্যানেজারসহ তাদেরকে শাসিয়ে দেওয়া হয় কটেজ জোনে যেন আর অপকর্ম না করে। স্থানীয় যুবকদের এই মহতি কাজে এলাকাবাসি ও অন্যান্য সৎ ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন এই কাজ অনেক আগে থেকে শুরু করা দরকার ছিল।
সৈকত পাড়ার মুরব্বী নাজির হোসেন বলেন, আবাসিক হোটেল ও কটেজে নানা অপকর্মের কারনে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বেড়ে উঠা যুবকেরা। তারা প্রভাবিত হচ্ছে মাদকসহ নানা নোংরা কাজে। দেরিতে হলেও সচেতন যুবকদের এই উদ্যেগকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন।
সচেতন যুবকদের নিয়ে অপকর্মের বিরুদ্ধে নেতৃত্বদাতা কটেজ ব্যবসা সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহম্মদ নোবেল জানান, দীর্ঘদিন ধরে কটেজ জোনে পতিতা ও মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড চলছে। প্রশাসন অভিযান চালালেও অনেক সময় তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অপরাধিরা ঠিকই অপকর্ম চালাচ্ছে। কিছু অসাধু কটেজ ব্যবসায়ী রয়েছে, যারা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের রুম ভাড়া দেয় অনৈতিক কাজের জন্য।
এছাড়া ওসব কটেজে চলে মাদক ও পতিতা ব্যবসা। এর ফলে শুধু এলাকারই ক্ষতি হচ্ছে না। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পর্যটকরা। পর্যটকদের প্রতিনিয়ত ঠকানো হচ্ছে। তাদেরকে ফেলা হচ্ছে প্রতারনার ফাঁদে। যার ফলে পর্যটন নগরীর ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে এলাকার যুবক ও স্থানীয় মুরব্বীদের সাথে নিয়ে এই অপকর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন। প্রয়োজনের খবর দিচ্ছেন পুলিশকে।
কক্সবাজার সদর থানার অপারেশন অফিসার আব্দুর রহিম বলেন, পুলিশ সবসময় অপরাধিদের বিরুদ্ধে। এছাড়া ভাল কাজের সাথে রয়েছে পুলিশ। অপরাধ নিমূলে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয়দের সচেতনতা দরকার। আর তখনই অপরাধিরা প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিতে পারবে না।