পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হওয়ার সাথে সাথে বিএনপি নেত্রীর গাত্রদাহ শুরু হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
রামগড় প্রতিনিধি:
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হওয়ার সাথে সাথে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। পাঁয়রাবন্দর সমুদ্র বন্দরসহ বর্তমান সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখে তার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কোন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন তো দূরে কথা, পরিকল্পনা নেয়ার সক্ষমতা, সাহস, আন্তরিকতা, সদিচ্ছা কোনটাই বিএনপির নেই। বিএনপি নেত্রী পারেননি, শেখ হাসিনা এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন। এটা বেগম জিয়ার গাত্র দাহের কারণ। উন্নয়নের জোয়ারে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি মানুষের অভাবনীয় সমর্থন দেখে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা বলছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, শেখ হাসিনার অধীনে নয়। অথচ বিএনপি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হওয়ার কথা বলে মানুষকে ব্লাক মেইলিং করার চেষ্টা করছে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ন নিরপেক্ষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা, রংপুর সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় নির্বাচনগুলো শতভাগ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা দেশি বিদেশি সব পর্যবেক্ষকরাই বলেছেন।
বুধবার(৩ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ির রামগড়ে রামগড় সাব্রুম স্থল বন্দর ও ফেনীনদীর ওপর বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সেতু-১ এর নির্মাণ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা হচ্ছে। তা না হলে আগামী অক্টোবর মাসের আগেই এর নির্মাণ কাজ করা যেতো।
রামগড় পৌরসভার সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, খাগড়াছড়ির এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সাবেক সাংসদ যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরি, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান, খাগড়াছড়ি ও রামগড় পৌরসভার মেয়র যথাক্রমে রফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ শাহজাহান, ইউএনও আল মামুন মিয়াসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ফেনী নদীর ওপর ভারত সরকারের অর্থায়নে নির্মিত মৈত্রী সেতু-১ এর নির্মাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সাংবাদিকদের বলেন, মৈত্রী সেতু নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এ সেতু দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। প্রসার ঘটবে ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য।
বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ভারতের হাই কমিশনারসহ দু’দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রামগড় পৌর এলাকার মহামুনিতে স্থল বন্দর ও মৈত্রী সেতু নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেন।