নয়ন হত্যাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে লংগদু যুবলীগ
নিজস্ব প্রতিনিধি : মোটরসাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়ন হত্যাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে লংগদু যুবলীগ। ভারায় চালিত মোটরসাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়ন লংগদু উপজেলার যুবলীগের একজন নেতা ছিলেন। নয়ন হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে লংগদু উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুবলীগ লংগদু শাখার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আইনের প্রতি আস্থা রেখে সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ভোরে লংগদু বাইট্টা পাড়া থেকে দুই উজাতীয়কে ভারা নিয়ে খাগড়াছড়ি গিয়েছিলেন নয়ন। পরে দুপুর ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নয়নের মোটরসাইকেলটিও পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্ত শেষে লাশটি লংগদুতে নিয়ে আসার পর ২ জুন শুক্রবার বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বাইট্টা পাড়া থেকে লংগদু সদর পর্যন্ত মিছিল করে। মিছিল শেষে লংগদু উপজেলা পরিষদ মাঠে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
যুবলীগ লংগদু শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও লংগদু আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জানে আলম, লংগদু জোনের কমান্ডার লে. কর্নেল আব্দুল আলীম চৌধুরী, লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন, লংগদু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবছার আলী, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি আলমগীর হোসেনসহ প্রমুখ।
অন্যদিকে যুবলীগের মিছিলটি বাইট্টা পাড়া থেকে লংগদু যাওয়ার পর কাঠালতলী এবং তিনটিলা এলাকায় কয়েকটি উপজাতীয় বাড়িতে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেলা ১২টার দিকে স্থানীয় প্রশাসন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। এ সম্পর্কে যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, আমরা মিছিল নিয়ে চলে আসার পর কী ঘটেছে তা আমরা জানি না। তবে স্থানীয় লোকজনের কাছে শুনেছি, বাঙ্গালীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখে পাহাড়ীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় পরিস্থিতি ঘোলা করার জন্য নিজেদের ঘরে-বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে।