নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও এলাকা ছাড়া করা হচ্ছে: ফরহাদ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
নেতাকর্মীদের উপর অব্যাহত হামলা, মামলা, প্রচার কাজে বাধা ও হুমকির অভিযোগ করেছেন, খাগড়াছড়িতে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রার্থী শহীদুল ইসলাম ফরহাদ। এ সব ঘটনায় প্রশাসনকে তাৎক্ষনিক জানানো হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও এলাকা ছাড়া করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।
শুক্রবার(১৪ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে শহীদুল ইসলাম ফরহাদ এ অভিযোগ করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি সদর শালবন হরিনাথ পাড়া গ্যাপ এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণা ও গণ-সংযোগের সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও মারধর করেছে আওয়ামী লীগ । দুপুর ২.৩০টায় বিএনপির নেতৃবৃন্দ গণ-সংযোগ করার সময় আওয়ামী লীগের ব্লাক জুয়েল, মো. আরিফ, মো. সুমন সহ ১৫/২০ জন প্রচারণার গাড়িতে অতর্কিত হামলা করে। হামলায় বিএনপির ৫জন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করে এবং পৌর বিএনপির কোষাধক্ষ্য শাহ জালালের বাড়িতে হামলা করে, মাইক ও গাড়ি ভাংচুরে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। আহত নেতাকর্মীদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় নেতৃবৃন্দ। আহতরা হচ্ছেন জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সৌভাগ্য ত্রিপুরা ডানো, প্রচার সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক মো. সোহাগ, সহ প্রচার সম্পাদক রিদয় ও সদস্য মো. জালাল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ২নং ওয়ার্ডে আওয়ামী যুবলীগের মো. শাহাদত হোসেন, মো. রফিক, মো. বেলাল, মো. মনির মো. আরিফ, ২নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলামকে মারধর করে ও অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে সবুজবাগ এলাকা থেকে পুলিশ জাহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এছাড়াও গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় বেতছড়ি বাজার এলাকায় সালাম মেম্বারের দোকান ভাংচুর করে দোকান থেকে মালামাল সহ ২টি কম্পিটার ও ২টি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায়, দোকানের ফ্রিজ এবং বাড়ীর বেড়া ভাংচুর করে। একই দিন রাতে দিঘীনালা থানায় (মামলা নং৩)৭৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়, ৩জনকে গ্রেফতার করে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ অশান্ত করার জন্য আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে প্রতিদিন অতর্কিত হামলা করে যাচ্ছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোকে তাৎক্ষনিকভাবে লিখিত ও মৌখিক ভাবে জানানো হলেও কোন প্রতিকার হচ্ছে না। তিনি এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরীর আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আবু ইউসুফ চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূইয়া ফরহাদ, এ্যাড মালেক মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এন আবছার, জামায়াতের আব্দুল মান্নান, দপ্তর সম্পাদক আবু তালেব, প্রমুখ।