নিয়োগ-বানিজ্যে উপজাতিদের একচাটিয়া সুবিধা দিয়ে পার্বত্য বাঙালিদের বঞ্চিত করার প্রতিবাদ ও জনসংখ্যানুপাতে সমান সংখ্যক নিয়োগের দাবি

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

২৫ আগস্ট শুক্রবার পার্বত্য জেলা পরিষদ খাগড়াছড়ির হস্তান্তরিত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষা অনষ্ঠিত হয়। উক্ত পরিক্ষায় মোট ৩২৯৩ জন পরিক্ষার্থী বাচাই করা হয়। কিন্তু ২ দিনের মাথায় তাড়াহুড়ো করে ফলাফল প্রকাশ করে জেলা পরিষদ। এতে দেখা যায় যে, ৮০ নাম্বারের পরিক্ষায় ৭৩ পেয়েছে অনেক উপজাতি পরিক্ষার্থী । সেটাতে প্রশ্ন ফাঁসসহ সার্বিক অভিযোগ রয়েছে।

একই দিনে জাতীয় নিবন্ধন পরীক্ষা থাকায় বঞ্চিত হয় ১৩৫৭ জন মেধাবী। যার বেশির ভাগই বাঙালি। ফলাফলসহ সার্বিক নীতি কৌশল প্রমান করে বরাবরের মত বৃহত্তর বাঙালি জনগোষ্ঠিকে বঞ্চিত করার সু-কৌশল অপপ্রয়াস।

পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, পূর্বে জেলা পরিষদ কর্তক নিয়োগ বিধান ছিল ৪৮:৫২ শতাংশ। বাঙালি ৩০ শতাংশ নিয়োগ দেওয়ার কথা জেলা পরিষদ স্ব-গৌরবে স্বীকার করলেও তাও সঠিকভাবে মানা হচ্ছেনা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। যে কয়েকজন বাঙালি চাকরী পাচ্ছে ও তা নিতে হচ্ছে ৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। জেলা পরিষদ প্রশাসনের প্রতি জোরদার আহবান রাখছি যে এই নিয়োগ হতে আগামী সকল নিয়োগে অবশ্যই জনসংখ্যানুপাতে ৫২ শতাংশ বাঙালি ও ৪৮ শতাংশ উপজাতি দের নিয়োগ দিতে হবে।

অন্যথায় জেলা পরিষদ কর্তৃক অ সাংবিধানিক দূর্নিতিগ্রস্থ ও বাঙালি বিদ্বেষী, উপজাতিপ্রীতি প্রাধান্য দিয়ে য়ে নিয়োগ বানিজ্য করা হচ্ছে তার বিরোদ্ধে কঠোর কর্মসুচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন