Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

নিজের সচেতনতায় পরিষ্কার থাকবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার

coxs-bazar-sea-beach-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘আপনি চাইলে আপনার শহর সুন্দর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা আর আন্তরিকতা’ এমনটাই বলছেন সচেতন মহল।

অসতর্কতার কারনে দিন দিন অপরিষ্কার হয়ে পড়ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। দেখা যায়, অনেকে পানি পান শেষে খালি বোতলটি ছুটে ফেলছে রাস্তার উপর। এছাড়া কলার খোসা, ডাবের খালি অংশ, চিপসের পেকেটসহ নানা অবশিষ্ট অংশ নির্দিষ্ট জায়গায় (ডাস্টবিনে) না ফেলে ফেলা হচ্ছে রাস্তার উপর। অনেকে নালা-নর্দমা জ্যাম করে ফেলছে এটা-সেটা ফেলে। এমনও দেখা যায়, ডাস্টবিন থাকার পরেও আবর্জনার ডাস্টবিনে না ফেলে ফেলছে এর আশপাশে। এতে শহর অপরিষ্কারের পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে পর্যটন নগরীর পরিবেশও।

এ সমস্যার জন্য লোকজনের অসচেতনতা ও পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন সচেতন মহল। তারা বলছেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারে দেশ-বিদেশ থেকে লোকজন বেড়াতে আসেন। তারা অপরিচ্ছন্ন পর্যটন নগরী দেখে যাওয়া মানে কক্সবাজার তথা পুরো বাংলাদেশের বদনাম। তাই সকলের সচেতন এবং আন্তরিক হতে হবে শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছনা রাখতে। আর পৌর কর্তৃপক্ষকেও সচেতন থাকতে হবে নির্দিষ্ট সময়ে আবর্জনা অপসারনে।

এদিকে পৌর মেয়র বলছেন, শহর পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে। আর সে অনুযায়ী কাজও চলছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও রাত-দিন অপসারণ করা হচ্ছে শহরের আবর্জনা। তবে এই শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা।

এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের বলেন, ঘর যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। ঠিক তেমনি শহরটাও পরিষ্কার-পরিচ্ছনা রাখা উচিত। কারন ঘরটা শহরের বাহিরে নয়। একটু সচেতন হলেই শহর পরিষ্কার থাকে। যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলা যাবেনা। নির্দিষ্ট জায়গায় (ডাস্টবিনে) আবর্জনা ফেলা হোক। এই সচেতনতার জন্য পরিবারের লোকজনকে শিক্ষা দেওয়া উচিত। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদেরও এ সচেতনতামূলক কাজের জন্য শিক্ষা দিতে হবে।

হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি নুরুল আবচার বলেন, কক্সবাজার বেড়াতে আসা অনেক পর্যটক আবর্জনা ফেলার নিদৃষ্ট জায়গা না পেয়ে সমস্যায় পড়ে যান। সে ক্ষেত্রে বীচের আশপাশে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন প্রয়োজন। এছাড়া আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য সাইনবোর্ড বা লিখা টাঙ্গানো উচিত। যাতে করে বীচ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। এর জন্য প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হোক।

এডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে লোকজনের সচেতনতার পাশাপাশি প্রয়োজন পৌর কর্তৃপক্ষের যথাযথ দায়িত্ব। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় নির্দিষ্ট সময় আবর্জনা অপসারণ করছেনা পৌরসভার লোকজন। এতে নষ্ট হচ্ছে পর্যটন নগরীর পরিবেশ। তাই পৌরসভাকে সঠিক সময়ে আবর্জনা অপসারণ করতে হবে এবং পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন করতে হবে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, পৌরসভার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে একটি হল পর্যটন নগরী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। আর তাই যান্ত্রিক ক্রটি ও তহবিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকাসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

হোটেল-মোটেল জোন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রত্যেকটি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট পৌরসভার পক্ষ থেকে বিশেষ ধরনের পলিথিন দেওয়া হচ্ছে। ওসব পলিথিনে ৪০ কেজি আবর্জনা ধারন করা যায়। এছাড়াও আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য চলছে নানা ধরনের কার্যক্রম।

শহরের আবর্জনা অপসারণে পৌরসভার অবহেলার রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে বলেন, বিষয়টি সঠিক নয়। পৌরসভা বরাবরই চেষ্টা করছে সঠিক সময়ে আবর্জনা অপসারণে। কিন্তু যান্ত্রিকক্রটি ও আর্থিক সমস্যাসহ নানা কারনে অনেক সময় সঠিক সময়ে আবর্জনা অপসারণ করা যাচ্ছেনা। তবে খুব শীগ্রই তা সমাধান হবে। দ্রুত আবর্জনা অপসারণের জন্য রাত ৮ টার পরেও কলাতলীসহ শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আবর্জনা সরানো হয়। তিনি আরও বলেন, শহর পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। অনেকসময় দেখা যায়, নির্দিষ্ট সময় (সকালে) ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ডাস্টবিনে। এতে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় আবর্জনা অপসারণে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন