Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

নাটের গুরু মুসলিম বিদ্বেষী ‘বার্মিজ বিন লাদেন’

 

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমারে জাতিগত দাঙ্গা সৃষ্টির পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছেন বৌদ্ধ ভিক্ষু অশিন উইরাথু। গত কয়েক দশক ধরে তিনি তার বক্তৃতা ও বিবৃতিতে মুসলিম বিদ্বেষী প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি মুসলিম ধর্ম বিদ্বেষী প্রচারণা জোরদার করেছেন। মিয়ানমারের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, অশিন উইরাথু তার প্রচারণায় প্রকারান্তরে সেখানকার মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের নিশ্চিহ্ন? করার কথা বলেছেন। ধর্মীয় গুরু হিসাবে মিয়ানমারসহ সারা বিশ্বে তার কয়েক লক্ষ অনুসারী রয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো তাকে বার্মিজ বিন লাদেন বলেও আখ্যায়িত করেছে।

জানা যায়, অশিন উইরাথুর জন্ম ১৯৬৮ সালে তত্কালীন বার্মিজ শহর মান্ডালেতে। ১৪ বছর বয়সে তিনি স্কুল ছেড়ে ভিক্ষু বনে যান। ২০০১ সালে তিনি মুসলিম বিরোধী গ্রুপ ‘৯৬৯’ এ যোগ দিয়ে আলোচনায় আসেন। ইসলাম বিরোধী প্রচারণার জন্য মিয়ানমার সরকার ২০০৩ সালে তাকে ২৫ বছরের জেল দেয়। ২০১০ সালে তিনি অন্যান্য রাজবন্দীদের সঙ্গে ছাড়া পান। এরপর তার ইসলাম বিরোধী প্রচারণা আরো জোরদার হতে থাকে। বিশ্ববিখ্যাত সাময়িকী টাইম’স ২০১৩ সালে ২০ জুন অশিন উইরাথুকে নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ছাপে। সেখানে প্রতিবেদনটির শিরোনাম দেয়া হয় “দ্যা ফেস অব বুদ্ধিস্ট টেরর”।

উইরাথু ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়ান। মান্ডালে শহরে মুসলমান সন্ত্রাসীরা একজন বৌদ্ধ নারীকে ধর্ষণ করেছে-এমন প্রচারণা চালালে সেখানে সহিংসতা শুরু হয়। পরে দেখা যায় ওই মহিলা আদৌ ধর্ষিতা হয়নি। এই বিষয়ে উইরাথুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিবিসিকে জানান, লোকমুখে শুনে তিনি এমনটি করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলোতে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বৌদ্ধদের উত্তেজিত করেছেন। মিয়ানমারের এক টেলিভিশনের সঙ্গে সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, মুসলমানরা হচ্ছে আফ্রিকান কার্প জাতীয় মাছের মত। তারা সন্তান জন্ম দেয় বেশি। বৌদ্ধরা তা নয়। মিয়ানমারে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে একসময় বৌদ্ধ ধর্ম হুমকির মুখে পড়বে।

মিয়নমারের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাখাইন রাজ্যে যে সহিংসতা চলছে তা উইরাথুর উস্কানির ফল। মিয়ানমারের জান্তা সরকার প্রথমদিকে উইরাথুর কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করলেও এখন তার সাথে সুর মিলিয়েছে। এক্ষেত্রে সূচির অবস্থাও একই। সারাদেশে বিপুল সংখ্যক অনুসারী থাকায় সেনাবাহিনী এবং অং সান সূচি উইরাথুকে ঘাটানোর সাহস পান না।

শুধু জাতিগত সহিংসতার উস্কানি নয় উইরাথু মিয়ানমারের নারীদেরও নানাভাবে হেয় করেছেন। মিয়ানমারের নারীরা যাতে অন্য ধর্মের পুরুষদের বিয়ে করতে না পারেন সেজন্য আইন প্রণয়নে উইরাথু চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন। তবে নারীবাদি সংগঠনগুলো তার বিরোধিতা করছে প্রবলভাবে। উইরাথু এসব নারীদের দুশ্চরিত্রা এবং বেশ্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন। বার্মিজ মহিলা লীগের মহাসচিব টিন টিন নাইয়ো বলেন, উইরাথু মিয়ানমারের জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। তিনি যে কাপড় পড়েন তার পবিত্রতা নষ্ট করেছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক/নূহু

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন