নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিষ্ফোরণে আহত গর্ভবতী নারী ও শিশুর আহাজারী


নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
মিয়ামনারের সেনা কতৃর্ক পুঁতে রাখা মাইন বিষ্ফোরণে চাকঢালা পয়েন্টে আহত হয়েছে গর্ববতী এক নারী  ্অপর এক শিশু । আহতরা হলেন রোহানা বেগম (২৮) আর শিশুটির নাম মো. নবী উল্লাহ ( ১৪)। তারা মিয়ানমার থেকে সীমান্তের ৪৪ নম্বর পিলার এলাকায় আসার সময় সোমবার রাতে মাইন বিষ্ফোরণে আহত হয়েছিল। বর্তমানে তারা সীমান্তের ভূতের ছড়া নামক এলাকার নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকা পড়ে ক্ষত-বিক্ষত পা নিয়ে আহাজারী করছে। আর এ অবস্থায় এ দু’ রোগীর পাশে দাঁড়িয়েছেন চট্টগ্রামের সিংহাসন নামের এক মানবিক সাহায্য সংস্থা। তারা ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে এ দু’ রোগীর চিকিৎসা দেয়ার পর তাদেরকে কিছু ঔষধ সামগ্রীও প্রদান করেন বলে জানান দলের টিম লিডার ডা. মহিম।

এ দলের অপর চিকিৎসক সূজিত দে প্রতিবেদককে জানান, মাইনে আহত রোহেনা ৬ মাসের গর্ভবতী। আর শিশু মো. নবী উল্লাহও বয়সে ছোট। তারা নিজেদের অভিভাবকের কাছে আর্তচিৎকার করছে ব্যাথা বেদনায়। এ ছাড়া তারা নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকা পড়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয় নি। রোহেনা বলেন, মিয়ানমার বাহিনীর বর্বর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তারা গত সোমবার রাতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকাঢালা ভূতেঁর ছড়া নামক এলাকার বিপরীতে পৌঁছলে নো ম্যানস ল্যান্ডে বিষ্ফোরণে ছিটকে পড়ে। পরে অনেক কষ্টে রক্ত পড়া বন্ধ করে তার পরিবার।

তবে এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল আনোয়ারুল আজিম জানান, আসলে নো ম্যানস ল্যান্ডে বিজিবি’র নজরে না আসা পর্যন্ত তাদের করার কিছু থাকে না। তবে তিনি এ দু’রোগীর বিষয়ে খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের অনূরোধ জানাবেন। যেহেতু বিষয়টি অতি মানবিক।

এছাড়া গত ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ও দুপুরে পৃথক ২টি মাইন বিষ্ফোরণে ৩ রোহিঙ্গা শিশু আহত হয়েছিল সীমান্তের বালুখালী এবং তুমরু পয়েন্টে। এতে করে স্থল সীমান্তে এ পর্যন্ত মাইন বিষ্ফোরনে আহতের সন্ধান মিলেছে ৫ জনের।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন