নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে রোহিঙ্গাদের উখিয়ায় সরিয়ে নেওয়া হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

বান্দরবানের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তে ৭টি পয়েন্টে অবস্থানরত পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে পর্যায়ক্রমে কক্সবাজারের উখিয়ায় সরিয়ে নেওয়া হবে। সেখানে তাদের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের পাশাপাশি নতুন করে ৫০ একর জায়গা দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা নির্যাতনের কারণে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। আপতত তারা ওপারেও ফিরে যেতে পারছে না তাই মানবিক কারণে তাদের জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নানা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্য সেবার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে। তবে এখনো লিখিত নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।

বুধবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।

তিনি জানান, বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় এবং সীমান্তের জিরো লাইনের ৭টি পয়েন্টে অবস্থানকারী লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে উখিয়া উপজেলায় সরিয়ে নেয়া হবে।

এদিকে রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা সীমান্তে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবায় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে একটি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

মিয়ানমারে সেনা বাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা নিধন অভিযান অব্যাহত থাকায় গত ২ দিনে সীমান্তের জিরো পয়েন্টের তুমব্রু, ঘুমধুম, বাইশফাঁড়ি, রিজু-আমতলী, চাকঢালা, আশারতলী এলাকায় নতুন করে আরো ২০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে খাদ্য সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় ভাবে কিছু খাদ্য সরবরাহ করা হলেও তা একেবারে অপ্রতুল।

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন