নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন লেকে পর্যটকের ভারে মুখর

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরে পাহাড়ের বুকে কৃত্রিম হ্রদ আর ঝুলন্ত সেতু ঘিরে তৈরী হওয়া উপবন পর্যটন লেকে পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। নানা কারণে বিগত সময়ে এখানে পর্যটনে মন্দাভাব থাকলেও এবার তা নেই। পর্যটন এলাকায় আমূল পরিবর্তণের কারণে বর্তমানে পর্যটকের ভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপবন এলাকা।

গত প্রায় দুই বৎসরে পর্যটন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিরোধপূর্ণ সীমানা নিয়ন্ত্রণ, পিকনিট স্পট এবং পর্যটক আকর্ষণে বনের মাঝে গড়ে তোলা হয়েছে আকাশ বাড়ি, চড়ুইভাতির ছোট্ট বেশ কয়েকটি ঘর। চারদিক সবুজ অরণ্য ঘেঁষে পাহাড় চূড়ার উপর প্রাকৃতিক হ্রদের এমন দৃষ্টিনন্দন রূপ যে কোন সৌন্দর্য্য পিপাসু মানুষকে মুগ্ধ করবে।

স্থানীয়রা জানান, নব্বই দশকের দিকে উপজেলা সদরে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে দুই পাহাড়ের মাঝখানে উপবন প্রাকৃতিক হ্রদটি গড়ে তোলা হয়েছিল। ১৯৯১ সনের মার্চে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে কৃত্রিম এ হ্রদের উদ্বোধন করেন তৎসময়কার যোগাযোগ মন্ত্রী অলি আহমদ বীর বিক্রম। এর পর ১৯৯৪ সনের ১৮ সেপ্টেম্বর বান্দরবান জেলা প্রশাসক আবদুল হক মূল পর্যটন কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

স্থানীয়রা জানান, বিগত কয়েক বৎসর উপবন লেকটি উন্নয়ন বঞ্চিত থাকলেও বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রচেষ্টায় বর্তমানে লেকে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এতে করে প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা ভ্রমণে ও বিনোদনের জন্য আসছেন। তবে বিদেশী পর্যটক আকর্ষণের জন্য পর্যটন লেকে রেষ্টুরেন্ট, আলোকস্বজ্জা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দেওয়ার জন্য পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানান তারা।

শুক্রবার বিকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু শাফায়াৎ মুহম্মদ শাহে দুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান সরকার পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই সম্ভাবনাময়ী নাইক্ষ্যংছড়ির প্রকৃতির মাঝে লুকিয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন স্পটগুলো পর্যটকদের মাঝে তুলে ধরার লক্ষ্যে আন্তরিক ভাবে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তবে পর্যটন লেকে আগত পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতা পেলে উপবন লেকটি আরো আকর্ষণীয় ও পর্যটক বান্ধক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।