নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদকে দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
গত ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকার সুন্দরবন হোটেল থেকে আটকৃত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাইল আহামদকে অবশেষে দুটি মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকায় মিরপুর দারুচ্ছালাম থানায় সন্ত্রাস বিরোধী ও সাইবার অপরাধ আইনের (মামলা নং- ৩৫ ও ৩৭) দুটি মামলা রুজু করে। এর মধ্যে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলাটিতে শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ, ঢাকায় ‘উপজেলা পরিষদ আইন ও প্রশাসন’ শীর্ষক মৌলিক কর্মশালার (রিফ্রেশার্স) তিনদিনের প্রশিক্ষণে অংশ নিতে গিয়ে গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার সুন্দরবন হোটেল থেকে আটক হন। পরে তোফাইল আহামদকে জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার ঢাকা মিরপুর দারুচ্ছালাম থানার মাধ্যমে সন্ত্রাস বিরোধী ও সাইবার অপরাধ আইনের দুটি মামলায় তাকে আটক দেখিয়ে মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৩দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে পুনরায় পিবিআই হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে জানতে মিরপুর দারুচ্ছালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিমুজ্জামান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পিবিআই বাদী হয়ে তোফাইল আহামদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ আইন ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনের দুটি মামলা করেছে। তদন্তের বিষয়টি পিবিআই দেখছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সনের ২২ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে প্রথমবারের মত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তোফাইল আহমদ। দায়িত্ব পালনকালীন ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রামু বৌদ্ধ বসতীতে হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু হলে তোফাইল আহামদকে উপজেলা পরিষদ থেকে অপসারণ করা হয়। পরে তিনি ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের কাগজপত্র নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদে হাজির হলে কক্সবাজার ডিবি ও রামু পুলিশ তাকে আটক করে। এর পর তিনি কারাগারে থেকে ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ দ্বিতীয় বারের মত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ৩৯/১২ নং একটি মামলার চার্জশিট আদালতে গৃহীত হওয়ায় গত ০১ অক্টোবর তোফাইল আহমদকে দ্বিতীয় বারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলে উচ্চ আদালতে রীট করে তিনি পুনরায় দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার নয় দিন পর ঢাকায় কর্মশালায় অংশ নিতে গিয়ে আটক হন তিনি।