নাইক্ষ্যংছড়ি আওয়ামী লীগ নেতার খুনিদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. ইসমাইল হোসেনের খুনিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে পরিবারের পক্ষ থেকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিহতের স্ত্রীর বড় ভাই ছালামত উল্লাহ’র পরিচালনায়, পরিবারের স্বজনরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধন থেকে ডা. ইসমাইল হোসেনের খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
এসময় বক্তব্যে নিহতের বড় মেয়ে উম্মে আইমান তান্নি বলেছেন, আমার বাবা কোন সংকীর্ণ মন মানসিকতার লোক ছিলেন না যে, কঠিন পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে। আত্মহত্যার যদি উদ্দেশ্য হতো তাহলে ২৭ এপ্রিল ঘর থেকে বের হয়ে ৩০ এপ্রিল আত্মহত্যা কেন করলেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের আগামী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের পদপ্রার্থী ছিলেন। মৃত্যুর আগের রাতেও তিনি মোবাইলে স্বাভাবিক কথাবার্তা বলেছেন। সুতরাং, আমার বাবার মৃত্যুটি কোন প্রকার আত্মহত্যা হতে পারে না। পরিকল্পিতভাবেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যা ছিল বলেই হোটেলের কক্ষে সোফার উপর টি-টেবিলটি যথাস্থানে ছিলনা।
বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, তার বাবার হাতের তালুতে কালচে বর্ণ ধারণ করেছিল অর্থাৎ হাতে আঘাত করা হয়েছিল। ডান হাতের মধ্য আঙ্গুলটি ভাঙ্গা ছিল। কেউ স্বেচ্ছায় ফাঁসি নিলে গলায় একটি দাগ থাকার কথা। কিন্তু তার বাবার গলায় তিনটি সম আকারের দাগ ছিল বলে দাবি করেন তিনি। তার নিজের পাশাপাশি, কলেজ পড়ুয়া ছোট বোনও তার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তার অভাব থাকার কথা বলে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতা চান তিনি। মানববন্ধনে সহপাঠীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ একাত্ত্বতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ৩০ এপ্রিল কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে ডা. ইসমাইল হোসেনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।