নাইক্ষ্যংছড়ির সীমানাঝিরি পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের আলীক্ষ্যং সীমানাঝিরি পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন।

প্রতিষ্ঠার ৫ বছর পরও স্বীকৃতি না পাওয়ায় সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই স্থানীয়রা নতুন বছরে নতুন সরকারের কাছে স্কুলটি জাতীয়করণে জোর দাবি তুলেছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। প্রথমবারের মত ২০১৮ সালে পিইসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ সাফল্যও পায় বিদ্যালয়টি।

বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন জানান, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা প্রদান করার পর আলীক্ষ্যং এলাকার সীমানাঝিরি পাড়ায় ওই বিদ্যালয়টি টিন সেট দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়। যার ফলে শত শত কচিকাঁচা ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছেন।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আমিন জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমি এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে আছি। প্রতিষ্ঠার পর দুই-তিন বছর এনজিও সংস্থা ইউএনডিপি এবং গ্রাউসের পক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন প্রদান করা হলেও ২০১৭ সাল থেকে বেতন ছাড়াই ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৪ জন শিক্ষক এবং প্রায় ১’শ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। স্কুলটি জাতীয় ভাবে স্বীকৃতি না পাওয়ায় সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

স্কুল শিক্ষিকা শারমিন সুলতানা জানান, স্কুলটির সংস্কার অতীব জরুরী। ক্লাসরুম গুলোতে মানসম্মত ফার্নিসার এবং ব্লাকবোর্ড নেই। দরজা-জানালাসহ টিনের বেড়াগুলো ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পয়ঃনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ইতিপূর্বে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বদলী হওয়ায়, আবেদনটি থমকে যায়। দুর্গম জনপদের বেসরকারি ওই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হলে সরকারি ভাবে সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে মনে করেন তিনি।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, তিনি নতুন যোগদান করলেও স্কুলটির বিষয়ে অবগত হয়েছেন। জাতীয়করনের বিষয়ে তিনি জানান, ইতিমধ্যে উপজেলায় যা আবেদন হওয়ার হয়ে গেছে। এখন সরকারিভাবে নতুন করে কোনো নির্দেশনা আসলে স্কুলটির ভবিষ্যত নিশ্চিত হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন