নাইক্ষ্যংছড়িতে জাতীয় ইঁদুর নিধন  অভিযানের উদ্বোধন ও বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন

kaddo-nc-news-pic-16-10-2016-copy

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়িতে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান-২০১৬ শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের শুভ উদ্বোধন করা হয়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মনির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে উপজেলা কৃষি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা (এসএপিপিও) অলক দাস স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার অবু আহম্মেদ, সদর ইউনিয়নের কৃষক ও রাষ্ট্রপতি পদক প্রাপ্ত মো: মোজ্জাফর আহম্মদ, সদর ইউনিয়নের চাকঢালার কৃষক উহ্লামং চাক, কৃষক মো: জাফর আলম প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা টিটন কুমার দে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিব উল্লাহ রাজীব ‘ইঁদুরের অপচয়’ শীর্ষক তার স্বরচিত একটি কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে চলতি আমন মৌসুমে সর্বোচ্চ সংখ্যক ইঁদুর নিধন করায় উপজেলার সদর  ইউনিয়নের কৃষক মো. মোজ্জাফরকে পুরস্কৃত প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী, সাংবাদিক মো: জয়নাল আবেদীন টুক্কু, কৃষি উপ সহকারি কর্মকর্তা দেবাশীষ ভট্টচার্য্য, সেলিনা আক্তার কাজল, মোতাহেরা বেগম তুহীন, শিমুল রঞ্জন শীল, মংচিথোয়াই চাক্, কাকলী চৌধুরী, রফিকুল আলমসহ উপজেলার বিভিন্ন ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও বিপুল সংখ্যক কৃষক-কৃষাণীরা উপস্থিত ছিলেন। আর এদিকে জাতীয় ইদুঁর নিধন অভিযান উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আলোচনার শেষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো খাদ্য দিবসের ‘ক্ষুধার বিরুদ্ধে ঐক্য’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়িতেও  বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়েছে।

এত বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। এই সরকার আমলে নিঃসন্দেহে বলা যায়,খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি বর্তমানে সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের অতিদরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশে কৃষিজমির পরিমাণ কমে গেলেও উন্নত জাত উদ্ভাবন,পরিকল্পিত উপায়ে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে বিদ্যমান কৃষিজমি থেকে দেশের চাহিদামাফিক খাদ্যশস্য উৎপাদন করা সম্ভব।

একই সঙ্গে উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উৎসাহিত করতে প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। সারের মূল্য কমানোর সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য কৃষি উপকরণের মূল্য কমানো সর্বোপরি কৃষি ফসলের উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করে প্রতিকূল পরিবেশ সহনীয় নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করতে হবে, কৃষিবান্ধব প্রযুক্তি তুলে দিতে হবে কৃষকের হাতে। তাহলেই দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য আমাদের কৃষকরাই উৎপাদন করতে পারবে ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন