Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

নাইক্ষ্যংছড়িতে চাক সম্প্রদায়কে ঘর দিল পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

বাইশারী প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাত গইজ্জাপাড়া এলাকায় অস্ত্রধারী ডাকাতের ভয়ে পালিয়ে আসা চাক সম্প্রদায়ের চার পরিবারকে নিজ অর্থায়নে নতুন ঘর তৈরি করে দিলেন পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর (এমপি)।

শনিবার (৩১মার্চ) সকাল ১১টায় পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রি বীর বাহাদুর এমপি’র পক্ষ হয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী উপস্থিত হয়ে অসহায় চাক পরিবার গুলোকে নিরাপদে বসবাস করার জন্য চার পরিবারকে নতুন জমিতে নতুন ঘর আনুষ্টানিক ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

নতুন ঘর প্রাপ্তরা হলেন, চাইথোয়াই চাক, ছাহ্লা থোয়াই চাক, ক্যহ্লা চিং চাক, মং মং চাক। হস্থান্তর অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী, চাক্ সম্প্রদায়ের নেতা নাইদ অং চাক, যুবনেতা বাচিং চাক, উপজেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি ক্যানু ওয়ান চাক, প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল হামিদ, যুগ্ন-সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কাজল,অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

আর এদিকে মংমং চাক এই প্রতিবেদককে জানান, এই সাত গইজ্জা পাড়ায় উপজাতি ও বাঙালি মিলে বসতি ছিল মাত্র সাত পরিবার। ফলে নামকরণ হয়েছিল সাতগইজ্জা পাড়া। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সমপ্রীতির বন্ধনে বসবাস করে আসছিল পরিবারগুলো। তবে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সাতগইজ্জা পাড়ায় ১০/১৫ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখে এরা আতঙ্কিত হয়ে তিন কিলোমিটার দূরে মধ্যম চাক পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত দুইটি ভবনে অবস্থান নেয়। প্রায় দেড় মাস পর পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর (এমপি) আমাদেরকে নতুন জমিতে নতুন ঘর তৈরী করে দিয়ে আমরা এখন আতঙ্ক থেকে প্রায় মুক্ত হয়েছি। আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যার যার কাজ কর্ম সেরে নতুন ঘরে এসে রাত যাপন করতে আমাদের আর কোন ভয় হবে না।

চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী জানান, আতঙ্কে পালিয়ে আসা পরিবার গুলোর ব্যাপারে আমরা সার্বক্ষণিক খবরাখবর নিয়েছিলাম। তার পাশাপাশি পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর (এমপি)ও মোবাইলে ফোন করে আমার নিকট প্রতিনিয়ত ঐ পরিবারগুলো বিষয়ে খবরা খবর নেন। এই অসহায় পরিবারগুলোকে বীর বাহাদুর (এমপি)’র নিজ অর্থায়নে নিরাপদে চার পরিবারকে নতুন জায়গায় নতুন ঘর তৈরী করে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এর পরও ভাল-মন্দ খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেন মন্ত্রী মহোদয়।

উল্লেখ্য,গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি সোনাইছড়ি সড়কে কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পথযাত্রীদের জিম্মি করে টাকা, মোবাইলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। এ সময় অস্ত্রধারীর কবলে পড়েন সোনাইছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান বাহাইন মারমাসহ ব্যবসায়ী ও গাড়িতে অবস্থানরত যাত্রী এবং চালকেরা। ওইসময় ঘটনার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক পুলিশ বিজিবি অভিযান চালালে ওই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোর সকালে খবর পায় সদরের সাতগইজ্জা পাড়ায় ওই অস্ত্রধারীরা আনাগোনা করছে। ঐ খবরে বসবাসরত চার পরিবার ভয়ে পালিয়ে আসে। তাৎক্ষণিক পুলিশ অভিযান চালালে সেখান থেকেও সন্ত্রাসীরা গা ডাকা দেয় তারা।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন