নাইক্ষ্যংছড়িতে গলা কেটে হত্যা

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে এবার মারমা সম্প্রদায়ের এক লোককে গলা কেটে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বাইশারী-লম্বাবিল সড়কের চিতাখোলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি বাইশারী ইউনিয়নের ধাবনখালী মারমা পাড়ার বাসিন্দা মৃত আগ্য প্রু মার্মার পুত্র মংশৈলু মার্মা (৫৬)। সে বাইশারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ডসহ সভাপতি বলে জানা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারাবীর নামাজ শেষে রাত ১০ টার দিকে উক্ত সড়ক দিয়ে মুসল্লীরা বাড়ি ফেরার পথে নিহত মংশৈলু মারমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কের উপর পড়ে থাকতে দেখে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান। বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ঐ সময় দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল হক, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আলম, বাইশারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাহাদুর সহ এলাকার শত শত জনতা।

এছাড়া রাত ১ টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু শাফায়েত মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের, সেকেন্ড অফিসার সুলতান আহসান, আওয়ামী লীগ নেতা তছলিম ইকবাল চৌধুরী প্রমূখ।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নের উপর চাক পাড়া বৌদ্ধ বিহারের বৌদ্ধ ভিক্ষু মংশৈউ চাককে একই কায়দায় গলা কেটে হত্যা করা হয়। দেড় মাসের ব্যবধানে পূনরায় বৌদ্ধ ধর্মীয় মারমা সম্প্রদায়ের এক লোককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় পাহাড়ী বাঙালী সকলেই আতংক অবস্থায় রয়েছে। এ পর্যন্ত উক্ত ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারে নাই। তবে নিহতের বড় ভাই উথোয়াইলা মারমা কান্নারত অবস্থায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে বলেন, আমার ভাইকে শত্রুতা মূলক জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যা করা হয়েছে।