Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

নাইক্ষ্যংছছিতে আ’লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মংছিন ৬দিন ধরে নিখোঁজ

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের মার্মাপাড়ার বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা মংছনি মার্মার সন্ধান মিলছে না আজ ৬ দিন। তিনি অপহৃত নাকি-অন্যকিছু কোন হদিসই কেউ দিতে পারছে না এ পর্যন্ত।

তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির প্রভাবশালী সদস্যও।

গেল ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর থেকে তার কোন সন্ধান পাচ্ছে না তার পরিবার।  নিখোঁজ হওয়ার সময় তিনি কক্সবাজরে ছিলেন। এ ঘটনার পর থেকে পুত্র শোকে কাতরাচ্ছেন মংছিনের মা ব্রামাচিং মার্মা ও পরিবার।

মংছিনের ৭৫ বয়সী মা এবং স্ত্রী প্রুমী মার্মা জানান, মংছিন গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে আগত এক কাঠ ব্যবসায়ীর সাথে বৈঠকের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে কক্সবাজারের উদ্দ্যেশে রওয়ানা দেন সকাল ৮টায়।

যাত্রাপথে তিনি রামুর সাদা চিন বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে পূঁজা সেরে কক্সবাজারের কলাতলীস্থ হোটেল ওয়ার্ল্ড বিচে অপেক্ষায় থাকা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে গিয়ে হোটেলে পৌঁছেন সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটে। আর সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটে পরিবারের সাথে তিনি এখনি বাড়ি ফিরবেন বলে শেষ কথা বলার পর পর তার মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ।

মংছিনের  স্বজনরা আরও জানান, সাদামাটা চাল চলনে অভ্যস্ত মংছিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের  একজন সৈনিক। আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও তার সাথে কারো তেমন শত্রুতা ছিলো না। আর ব্যবসায়ী অংশিদার সালা উদ্দিন নামের লোকটির সাথেও তার ভাল সখ্য ছিলো। এ ছাড়া তিনি কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকার কাঠ ব্যবসায়ীদের সাথে মেলা-মেশা করতো খোলা-মেলা। দীর্ঘ ৬ বছর তার ব্যবসাকালে কোন অপরাধ করেছেন এমন ঘটনাও জানা নেই তাদের। এরই মধ্যে হঠাৎ তার নিখোঁজ বা অপহরণের মতো একটি ঘটনা তাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।

মামাপাড়া তথা ধূংরীহেডম্যান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সমাজ সেবক ক্যানু মার্মা জানান, মংছিন ডাই মার্মার বৃদ্ধা মা ব্রামাচিং মার্মা, খালা, স্ত্রী এবং অন্যান্য স্বজনরা বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন মংছিণের জন্যে। কেননা তাদের এ পরিবারের মংছিনই ছিলো এক মাত্র আদরের এবং উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।

তিনি আরও জানান, পরিবারের ৯ সদস্যের ১জন কলেজে, ১ জন হাই স্কুলে  আর বাকীরা প্রাথমিক স্কুলে পড়া লেখা করে থাকে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, মংছিনের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। যার নম্বর-১২৫৩/১৮।  আর তার নিখোঁজের ঘটনাস্থল কক্সবাজার হলেও তিনি নাইক্ষ্যংছড়ির বাসিন্দা হিসেবে সকলে তার খোঁজে আন্তরিকভাবে তৎপর।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন