নববিক্রম ও বিদুষী চাকমাকে অপসারণের দাবি পার্বত্য নাগরিক পরিষদের
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ৮ মে ঢাকাস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এই অনুষ্ঠানে পার্বত্য এলাকার অর্ধেকেরও বেশি জনগোষ্ঠী বাঙালিদেরকে আমন্ত্রন না করায় গণমাধ্যমকে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ। তারা মনে করেন এটা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বিদুষী চাকমার সাম্প্রদায়িক মানুষিকতার কারণে।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের দাবি সাম্প্রদায়িক মনা নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা ও বিদুষী চাকমাকে অপসারণ করেতে হবে।
বিবৃতিতে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, রাজধানীর বেইলী রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ । কিন্তু পার্বত্যবাসীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা ও উপসচিব বিদুষী চাকমাসহ কিছু অতি উৎসায়ী কর্মকর্তা যে সাম্প্রদায়িকতা ও জাতিগত বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়ে স্ব স্ব জেলা থেকে ২০০ জন করে মোট ৬০০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিয়ে আসাতে বলা হয়েছে। তাদের যাবতীয় খরচ বহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে তিন পার্বত্য জেলার বাঙালীদের বঞ্চিত ও অপমাণিত করা হয়েছে বলে তিনি জানা।
এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল মানুষের কমপ্লেক্স। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল মানুষের সমান অধিকার রয়েছে এই কমপ্লেক্সে। কিন্তু মন্ত্রণালয় পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্ধেক জনগোষ্ঠী বাঙালিদেরকে বঞ্চিত করে এই কমপ্লেক্সকে উপজাতি কমপ্লেক্সে পরিণত করতে চাইছে কিছু অতি উৎসায়ী কর্মকর্তা।
বিবৃতিতে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এখনই এদেরকে মন্ত্রনালয় থেকে না সরালে ভবিষ্যতে আরো বড় ধরণের জাতিগত দাঙ্গা ও ক্ষয় ক্ষতির সৃষ্টি করতে পারে । তাই এই সাম্প্রদায়িক দোষে দুষ্ট ও হীন মানসিকতার জন্য এদের অপসার পূর্বক এ ভুলের জন্য বিচার ও মূচলেকা নেয়ার দাবি জানান ।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙ্গালিদের মাঝে বিরাজমান সম্প্রীতি বিনষ্টের পায়তারা বন্ধ করতে তাদেরকে অপসারণ এখন সময়ের দাবি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, শুধু এই অনুষ্ঠানেই বাঙালিদের অপমাণিত করা হয়নি ইতিপূর্বে পার্বত্য মেলাতেও কোন বাঙলিদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই কারণে মেলায় কোন বাঙলি অংশ গ্রহণ করেনি। তাই এদের বিষয়টি আমলে নেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।