নতুন ঘর পাচ্ছে পানছড়ির আসমানী
নিজস্ব প্রতিবেদক, পানছড়ি:
উপজেলার মধ্যম মোল্লাপাড়া পার হয়ে উল্টাছড়ির শেষ সীমান্তের গ্রাম রসুলপুর। তবে রসুলপুর যাওয়ার আগেই মধ্যম মোল্লাপাড়া পানছড়ি-তবলছড়ি সড়কের পাশেই আসমানী খ্যাত সালেমা খাতুনের ভাঙ্গা একখানা কুড়েঘর। অন-লাইন পার্বত্য নিউজে প্রকাশিত সংবাদে আসমানীর শীতবস্ত্র সহায়তায় হাত বাড়ায় বাংলাদেশ নিরাপত্তাবাহিনী খাগড়াছড়ি জোন।
দীর্ঘ পাঁচ বছরে এবারই পেল শীতবস্ত্র। শীত নিবারণের সমস্যা সমাধান হতে না হতেই আসমানীকে খুশির খবর পৌঁছে দিল উপজেলার পানছড়ি বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক প্রয়াত মো. আবু তাহের মাস্টারের ছেলে নেয়ামত উল্লা রিপন (স্বত্তাধিকারী মুক্তা লাইব্রেরি) ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সানরাইজ কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক মো. জালাল হোসেন। তাদের দু’জনের অর্থায়নে খুব সহসাই সালেমার জন্য তৈরি হবে একটি বাসউপযোগী টিনের ঘর।
রিপন ও জালাল তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জানান, সরেজমিনে সালেমার ঘরটি দেখে নিজেদের খুব অপরাধী মনে হচ্ছিল। বর্তমান যুগে এ ধরণের ঘর থাকতে পারে তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা অসম্ভব। তাই নিজেদের অর্থায়নে ঘর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি যা খুব দ্রুত নির্মাণ করা হবে। পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম এই পরিবারটির জন্য টিনের সহায়তা প্রদান করবে বলে জানায়।