ধর্ষণের দায়ে সরকারি কর্মকর্তা পলাশ চাকমার জেল

Palash chakma

নিজস্ব প্রতিনিধি :

কক্সবাজারে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সরকারি এক কর্মকর্তাকে জেলে পাঠিয়েছে আদালত।

অন্তবর্তী জামিনে থাকা কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ সহকারি প্রকৌশলী পলাশ চাকমা সোমবার আদালতে হাজিরা দিতে গেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুল ইসলাম এ আদেশ দেন বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদুল করিম।

মামলার বাদী নারী ও বিবাদী উভয়েই চাকমা সম্প্রদায়ের লোক এবং তাদের বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলায়।

মামলার বাদী একজন সরকারি কর্মচারী এবং কক্সবাজার স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে নার্স হিসেবে উখিয়ায় কর্মরত। তার বাড়ী রাঙ্গামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলার ঘিলাতলী এলাকায়। আসামী পলাশ চাকমার বাড়ীও রাঙ্গামাটি শহরে। তিনি কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগে উপ সহকারি প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।

বাদীর আইনজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, পূর্ব পরিচয় ও একই জেলায় চাকুরি সূত্রে পলাশ চাকমা ও বাদির মধ্যে কক্সবাজারে ঘনিষ্টতা বাড়ে। এক পর্যায়ে গত ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর ওই চাকমা তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজার শহরে নিয়ে আসেন পলাশ চাকমা। পরে আসামী পলাশ চাকমার নামে বরাদ্ধকৃত সড়ক ও জনপদ বিভাগের কক্সবাজার শহরের স্টাফ কোয়ার্টারে বাদীকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করেন পলাশ চাকমা। পরদিন সকালে বাদী নারী উখিয়ায় সরকারি কর্মস্থলে ফিরে যান।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আরও জানান, এ ঘটনার ৫ দিন পর গত ৫ ডিসেম্বর বাদী জানতে পারেন তার কথিত প্রেমিক পলাশ চাকমা অন্য এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা পাকাপোক্ত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাওয়ায় আসামী পলাশ চাকমা উল্টো বাদীকে হুমকী প্রদান করেন।

অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল করিম বলেন, এ ঘটনায় প্রতারিত চাকমা তরুণী গত ৮ ডিসেম্বর ধর্ষণের অভিযোগ এনে পলাশ চাকমাকে অভিযুক্ত করে কক্সবাজার সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে আসামী দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশীট প্রদান করে।

এ অবস্থায় আসামী পলাশ চাকমা গত ৭ ফেব্রুয়ারী হাইকোর্টে হাজির হয়ে আদালতের কাছে অন্তবর্তী জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত জামিন না মঞ্জুর করে ৩০ মধ্যে নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ। গত ৩ মার্চ কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আদালতে হাজির হলে বিচারক এক মাসের অন্তবর্তী জামিন দেন।

৪ এপ্রিল সোমবার অন্তবর্তী জামিনের শেষ দিনে আসামী পলাশ চাকমা আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক শুনানী শেষে তাকে জেলে হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন