দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হলে কৌশল গ্রহণ করতে হবে
টেকনাফ প্রতিনিধি:
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, না খেয়ে একজন মানুষও মরবে না। আওয়ামী লীগ সরকার সে ব্যবস্থা নিয়েছে। উপকূলের মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন ও সাহসী। এ ধরনের দুর্যোগ আসবে। তাই আমাদের দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হলে কৌশল গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপকুলের মানুষ যেন কষ্ট না পায়। সেইদিকে লক্ষ্য রেখে ইতোমধ্যে ত্রান তৎপরতা শুরু করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতারা হাওরে গিয়ে ছবি তুলেছেন। কিন্তু মোরার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ায়নি। তারা ছবি তোলার রাজনীতি করেন কিন্তু মানুষের জন্য কাজ করছেন না। আমাদের নেত্রী বিদেশ থেকে এসেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।। দ্রুত সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ (টিন) চাল, গম নিত্য প্রয়োজনীয় এবং তাদের তালিকা তৈরি করে তা সরবরাহ করার নির্দেশ দেন।
রোববার বিকালে তিনি কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ হয়ে টেকনাফের দুর্গত এলাকায় যান। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত শাহপরীরদ্বীপ সড়ক পরিদর্শন শেষে বিকাল ৪টায় টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরওয়ার আলমের সঞ্চালনায় সদর ইউপির চেয়ারম্যান শাজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, সাংসদ আব্দুর রহমান বদি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ¦ শফিক মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এইচএম ইউনুছ বাঙ্গালী।
ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তুষার আহমদ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহছান উল্লাহ, হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান এইচকে.আনোয়ার সিআইপি, সাবরাং ইউপির চেয়ারম্যান নুর হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভা শেষে মন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেড় হাজার পরিবারের মাঝে দশ কেজি করে চাল বিতরণ করেন।