দীঘিনালায় সেচ্ছাশ্রমে কালভার্ট মেরামত: যাতায়াত সুবিধা পেল সাত গ্রামের লোকজন

 

দীঘিনালা প্রতিনিধি:

দীঘিনালা উপজেলার  রশিকনগর পাড়া এবং গুলছড়ি এলাকায় ধ্বসে যাওয়া কালভার্টটি মেরামত করেছে এলাকাবাসী। কালভার্ট মেরামতের কাজ শনিবার শুরু হয়ে রবিবার শেষ হয়।

ফলে ওই এলাকার সাত গ্রামের দুই সহস্রাধিক লোকজন নির্বিঘ্নে চলাফেরা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

গত রবিবার দুপুরে সরেজমিনে  দেখা যায়,  এলাকার পাহাড়ী বাঙালী কালভার্ট মেরামতের কাজ করছেন। এরমধ্যে পনেরো বিশজন ধ্বসে যাওয়া কালভার্ট এর রিং উঠানোর কাজে ব্যস্ত। আবার পাশেই কিছু লোকজন সংযোগ রাস্তা মেরামতের কাজ করছেন।

এরমধ্যে কয়েকজন মো. খলিলুর রহমান, নান্নু মীর, ইউনুস মিয়া জানান গত বন্যায় আমাদের এইরাস্তার কালভার্ট এর রিংগুলি পানির তোরে নিচের দিকে নামিয়ে নিয়ে যায়। এতে ছড়ার উপর পুরো রাস্তা ভেঙে লোকজন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মেরামতের জন্যে বিভিন্ন দিকে দৌড়াদৌড়ি করে ব্যর্থ হয়ে সেচ্ছাশ্রমে নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সেচ্ছাশ্রমে কাজ দেখে উপজেলা আওয়ামী লীগ ৫ হাজার টাকা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন দুই হাজার টাকা দিয়ে সেচ্ছাশ্রমে কাজের উৎসাহ যুগিয়েছেন। এজন্য পুরো এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

কালভার্ট মেরামতে কাজ করা হেমব্রত চাকমা জানান, এখানকার জালবান্দা গ্রাম, ঝুরঝুরি গ্রাম, গুলছড়ি গ্রাম, পোড়াবাড়ি গ্রাম, বাগান বাড়ি গ্রাম, রাখাল মহাজনপাড়া, এবং কিশোর টিপরা পাড়া গ্রামের দুসহস্রাধিক লোকজন এ পথেই চলাচল করে। আমরা পাহাড়ি-বাঙ্গালী যৌথভাবে সেচ্ছাশ্রমে ধ্বসে যাওয়া কালভার্ট মেরামত করে যাচ্ছি।

এবারের ১নং মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রহমান কবির রতন জানান, এলাকাবাসী সেচ্ছাশ্রমে কালভার্ট অস্থায়ীভাবে মেরামত করছে শুনেছি। পরবর্তীতে ওই এলাকায় স্থায়ীভাবে কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন