দীঘিনালায় সবজি চাষ করে লাভবান আবদুল মতিন

Dighinala pic (01) 15-06-2016 copy

দীঘিনালা প্রতিনিধি:

দীঘিনালা উপজেলার সবজি চাষী আবদুল মতিন মৌসুম ভিত্তিক সবজি চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তার দেখা-দেখি অনেকেই সবজি চাষে আগ্রহী হয়েছে। তার এ সবজি চাষ স্থানীয় তামাক চাষীদের নিরুৎসাহিত করার পাশা পাশী সবজি চাষীদের অনুপ্রেরণ হিসেবে কাজ করবে, ধারণা কৃষি অধিদপ্তরের।

উপজেলার দক্ষিণ মিলনপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, চাষী মতিন মিঞা তিন থেকে চারজনকে সাথে নিয়ে জমি থেকে বরবটি তুলছেন। মতিন মিঞা জানান, গত বৈশাখ মাসের শেষ সপ্তাহে বিশশতক জমি বর্গা নিয়ে তাতে হাইব্রিড জাতের বরবটির বীজ বুনেছি। দেড় হাজার টাকার বীজ, বেড়া ও আনুসাঙ্গীক খরচ পড়েছে প্রায় ছয় হাজার টাকা। বীজ রোপনের প্রায় তিন মাস পর ফলন দিতে শুরু করেছে। এখানকার সাপ্তাহিক হাট শনিবার ও মঙ্গলবার। প্রতি হাটে দেড় থেকে দুই মন হারে বরবটি বিক্রি করে চলেছি। রোজা থাকায় বাজারে চাহিদাও বেশ। প্রতি কেজি বরবটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, দীঘিনালা উপজেলা তামাকের জন্য বিখ্যাত। এখানকার চাষীরা অধিক লাভের আশায় সবাই তামাক চাষ করে। কিন্তু আমি নিজে কখনো তামাক চাষ করিনি। মৌসুম ভিত্তিক বিভিন্ন সবজির আবাদ করেছি। এবার বরবটি চাষ করেই এখন পর্যন্ত খরচ বাদে প্রায় বিশ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। আরো দুই তোলা দিতে পারবো। সর্বোপরি মৌসুম ভিত্তিক এবং বাজার চাহিদা অনুযায়ী সবজি চাষাবাদ করলে তামাকের চাইতেও বেশি লাভ করা সম্ভব।

উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কবাখালী ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সেলিম জাবেদ জানান, মতিন মিঞার বরবটি ক্ষেতটি বীজ রোপন থেকে উত্তোলন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গিয়েছি। সে একজন ভালো সবজি চাষী। তার জমিতে খুব ভালো ফলন হয়েছে। তার এ সবজি চাষ দীঘিনালার তামাক চাষীদের নিরুৎসাহিত করণের পাশাপাশী স্থানীয় সবজি চাষীদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন