দীঘিনালায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

দীঘিনালা প্রতিনিধি:

দীঘিনালায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় ধর্ষক আলী আহম্মদ (২৮)কে আসামী করে মামলা করেছে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পলাতক রয়েছে। শনিবার উপজেলার মধ্যবেতছড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মিথ্যা প্ররোচনা চালিয়ে ধষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা ও মারধরের অভিযোগে ধর্ষিতার পিতা আবদুল হক (৪২) বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামী করে আরেকটি মামলা করেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার মধ্যবেতছড়ি এলাকার আবদুল হকের মেয়ে দুপুরে বাড়ির পাশ্ববর্তী টিউবয়েলে গোসল করতে গেলে, আগে ওৎ পেতে থাকা আলী আহম্মদ জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

এদিকে ঘটনার পরবর্তী দিন শুক্রবার একই এলাকার সুরুজ মিঞার স্ত্রী খোদেজা বেগম (৪০), সবুজ মিঞার স্ত্রী রুপবান বেগম (৪৫), কুলছুমা আক্তার (১৮) এবং বাদশা মিঞা (৪৮) ধর্ষিতাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে, ‘ধর্ষিতার বাবা কতৃক মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে শিখিয়ে দিয়ে এলাকায় প্রচার করে। পরে এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে, ধর্ষিতার পিতা আবদুল হককে বেধে এলোপাতারি মারধর করে গুরুতর আহত করে।

এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে আলী আহম্মদকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এছাড়া ঘটনায় বেআইনীভাবে মারধর ও প্ররোচনার অভিযোগে ধর্ষিতার পিতা আবদুল হক বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামী করে আরেকটি মামলা করেন।

এ ব্যাপারে ধর্ষিতা জানান, ঘটনার পর আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে শিখিয়ে দেন, কেহ জিজ্ঞেস করলে, আমি যেন বলি, ‘আমার বাবা আমাকে ধর্ষণ করেছে’| ১ নম্বর মেরুং ইউনিয়নের ৩নং ইউপি সদস্য মো. আবুল কালাম, ধর্ষিতার স্বীকারোক্তি শুনে এলাকার লোকজন প্রথমে ধর্ষিতার পিতা আবদুল হককে ধরে নিয়ে আসে। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।

দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আলী আহম্মদ পলাতক রয়েছে। এছাড়া ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অভিযোগে ধর্ষিতার পিতা আবদুল হক বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামী করে প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। এ মামলায় খোদেজা বেগম (৪০), রুপবান বেগম (৪৫) কুলসুমা আক্তার (১৮) কে আটক করা হয়েছে।