দীঘিনালায় আ’লীগ, বিএনপি সংঘর্ষ: আহত-২

দীঘিনালা প্রতিনিধি:

দীঘিনালা উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার এক ভিডিপি’র এপিসিকে হামলার ঘটনার পর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ভিডিপি এপিসিসহ এক বিএনপি কর্মী আহত হয়েছে।

আহত ভিডিপি ’র এপিসি মো. খোরশেদ আলমকে(২৬) দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং মো. মফিজ মিঞাকে(২৮) খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও  নিরাপত্তা বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

জানাযায়, শুক্রবার দুপুরে বেতছড়ি ভিডিপি ২নং প্লাটুনের এপিসি মো. খোরশেদ আলম প্রশিক্ষণের কাগজপত্রাদি নিয়ে দীঘিনালা উপজেলা সদরে যাওয়ার পথে, বেতছড়ি সালাম মেম্বারের বাড়ির সামনে আসার পর, বিএনপি কর্মীরা তার উপর হামলা চালায়। পরে খবর পেয়ে বেতছড়িতে গণসংযোগে থাকা আওয়ামী লীগের কর্মীরা এসে বিএনপির অফিসে হামলা করে। এসময় হামলায় বেতছড়ির ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো.মফিজ মিয়া আহত হয়।

এব্যাপারে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান জানান, ভিডিপির এপিসি মো. খোরশেদ আলম দুপুরে ভিডিপি প্রশিক্ষণের কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা সদরে যাওয়ার পথে বেতছড়ি সালাম মেম্বারের বাড়ির সামনে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় সে গুরুতর আহত হয়।

উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. সোহরাব হোসেন জানান, কোন প্রকার ঘটনা ছাড়াই আওয়ামী লীগের অফিস ও নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এসময় অফিসের টিভি-ফ্রিজ ভাংচুর করে। এসময় মফিজ মিঞাকে খুব মারধর করে। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এব্যাপারে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মো. রাশেদুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় মো. খোরশেদ আলম নামে এক ভিডিপি এপিসি ভর্তি হয়েছেন। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে যখমের চিহ্ন রয়েছে।

দীঘিনালা থানার এস আই মো. মোবারক হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে ঘটনায় কেহ কোন প্রকার অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।