দীঘিনালার ছোটমেরুং আল ইকরা হিফজুল কোরআন মাদ্রাসায় ছাত্র যৌন নিপীড়ন, দুই শিক্ষক গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিনিধি, দীঘিনালা:
দীঘিনালায় এক শিশুকে যৌন নিপীড়ন এবং আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে দুই ধর্মীয় শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। আটক ধর্মীয় শিক্ষক উপজেলার ছোট মেরুং আল ইকরা হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক হাফেজ মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম (৩৬) এবং নুরানী বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মো. নোমান (২২)। তাদের বাড়ি উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের তিন নম্বর কলোনী এলাকায়। এঘটনায় যৌন নিপীড়িত হওয়া শিশুর পিতা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মারধর ও ধর্ষনের অভিযোগে দীঘিনালা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার ও বাদী সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিত হওয়া শিশু ছোট মেরুং আল ইকরা হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার ছাত্র। তার বয়স দশ বছর। সে মাদ্রাসায় অবস্থান করেই হেফজ বিভাগে পড়াশুনা করতো। গত রমজান মাসে রাতের বেলা হাফেজ আল নোমানের শয়নকক্ষে নিয়ে ওই ছাত্রকে দিয়ে হাত, পা এবং শরীর ম্যাসাজ করাতো। এক পর্যায়ে মাদ্রাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ছাত্রকে জোরপূর্বক পায়ুপথে যৌনসঙ্গম করে। পরে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বিভিন্ন অযুহাতে মারধর করতো।
তবে বিষয়টি ওই ছাত্রের নানীকে জানানোর পর, ছাত্রের নানী মাদ্রাসার তত্ত্ববধায়ক হাফেজ মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামকে জানান। পরে তিনি বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন। এদিকে ওই শিক্ষক আরবী পড়া ভূল উচ্চারণের অযুহাতে ওই শিশুর উপর শারীরিক নির্যাতন বাড়িয়ে দেন। বিষয়টি আর কাউকে না জানানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। একপর্যায়ে ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে ফরহাদের মা জড়িনা বেগম জানান, গত ২৫ জুলাই থেকে আমার ছেলেকে নির্যাতন করে আসছে। শরীর ম্যাসাজের নাম করে বার বার পায়ুপথে যৌনসঙ্গম করে আসছে। বড় হুজুরকে জানানোর পর কাউকে না বলার জন্যে শারীরিক নির্যাতন বেড়ে যায়। বর্তমানে নির্যাতনের কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার পরেও আমার ছেলে সুস্থ হয়ে উঠেনি।
এব্যাপারে দীঘিনালার থানার এসআই মো. ফয়জুল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ছোট মেরুং আল ইকরা হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার আটক দুই শিক্ষকের নামে মারধর, বলৎকারের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার আসামী হাজতে আটক রয়েছে।