থানচিতে আতঙ্ক: ফের অজ্ঞাত রোগে মরছে গবাদিপশু

 

থানচি প্রতিনিধি:

ফের অজ্ঞাত রোগে থানচিতে গরু ও শুকর মারা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ১ দিনে  থানচি সদরে ৭টি গরু ২টি শুকর মারা গেছে। এতে করে খামারী ও কৃষকরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে ঈদুল ফিতরে ছুটিতে অবকাশ করায় কোন কর্মকর্তা কর্মচারী না থাকায়। এ পরিস্থিতির ভয়াবহ রুপ নিতে পারে বলেও ভূক্তভোগীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। উপজেলা সদরে বেশ কয়েকটি পাড়া এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রোগাক্রান্ত পশুগুলো সুস্থ্য থাকায় অবস্থায় হঠাৎ কেঁপে কেঁপে কয়েক ঘন্টার মধ্যে মারা যাচ্ছে। এছাড়া বেশ কিছু  শুকর ও ইতিমধ্যে মারা গেছে। গত এপ্রিল মাসে এভাবে ২৫টি গরু ও বেশ কয়েকটি শুকর মারা গিয়েছিল।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, ছান্দাক পাড়া ও টিএনটি পাড়া এ দুইটি পাড়া সামশুল সওদাগরে ৩টি, মো. ওসমান ১টি, চিংসামং মারমা ১টি, মো. সেলিম ১টি, রেদাকশে মারমা ১টি, মোট ৭টি গরু ও উবামং কারবারীর ১টি শুকর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মারা যায়।

থানচি বাজার পরিচালনা কমিটি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, একদিকে ঈদের ছুটি অন্যদিকে আমাদের মহল্লা গবাদি পশু মারা যাওয়ায় আমরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে জীবন যাপন করছি।

তিনি আরও বলেন, ঈদ তো আমাদের ইসলাম ধর্মীয় মানুষের, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে অবশ্য অন্য ধর্মীয় লোকও থাকতে পারে। তাদের দিয়ে আক্রান্ত পশুর চিকিৎসা করতে পারলে আতঙ্ক কেটে যেত।

মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা  ডা. কাজী আসফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আছি। তবে  আমার কর্মচারী জাহেদুল ইসলাম খবর দিয়েছে। আমি অপর ধর্মীয় তিনজন কর্মচারীকে শুক্রবার’র মধ্যে অফিসের পৌঁছে দিচ্ছি এবং আলিকদম উপজেলা থেকে রোগাক্রান্ত গরু ও শুকরের সু-চিকিৎসা প্রদানের জন্য দ্রুত যেতে বলেছি।

মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে বান্দরবান জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আনিমুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমাদের যত ঈদ আসুক ছুটিতে থাকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে গিয়ে রোগাক্রান্ত গবাদিপশু ও শুকরের সু-চিকিৎসা ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন