ত্রান চাইনা মাথা গোজার ঠাঁই চাই

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

আমরা আশ্রয় চাই না আমরা মাথা গোজার ঠাঁই চাই। আর কত দিন এ আশ্রয় কেন্দ্রে থাকব। কোন বাসা বাড়ি নেই সব পাহাড় ধ্বংস করে নিয়ে গেছে। ঘর নেই, বাড়ি নেই, কাজ নেই থাকার কোন জায়গা নেই আমাদের আবার ঈদ।

কথা গুলো অতি দুঃখ বেদনা আর কান্না কণ্ঠে বলেছেন ইতিহাসের স্মরণ কালের মোরার আঘাত এবং ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসে দীর্ঘ ১৩ দিন যাবত আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা নিহত  এবং আহত ঘর বাড়ি হারা পাহাড় ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় লোকজন।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পাহাড়, সবুজ বন আর জীববৈচিত্র্য এখন শুধু ধ্বংসলীলা। যে দিকে তাকানো হয় শুধু ধ্বংস আর ধবংস নেড়া পাড়া নিথর অবস্থায় পড়ে আছে সবুজ গাছ গাছিলা। কাপ্তাই উপজেলার ১৮জন লোক পাহাড় ধ্বসে মারা যায় এবং প্রায় শতাধীক লোকজন আহত হয়। শত, শত বসতঘর পাহাড় ধ্বসে বিধস্ত হয়ে অসহায় লোকজন কাপ্তাই আশ্রয় কেন্দ্রে মানবতার জীবন যাপান করছে। মাথা গোজার ঠাঁই খুঁজছেন।

পাহাড় ধ্বসে কাপ্তাই নিহত রমজান আলীর মা সুমি আক্তার বলেন, আমি স্বামী হারা, একটি ছেলে তাও কেড়ে নিল পাহাড়। আমি এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। সরকার থেকে বিশ হাজার টাকা, ত্রিশ কেজি চাল পেয়েছি আর আশ্রয় কেন্দ্রে শুধু খানা দিচ্ছে আর কিছু পাচ্ছিনা।

পাহাড় ধ্বসে ঘর ভেঙ্গে কর্ণফুলী নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়া অসুস্থ ইসমাইল, সাধন দাশ, মহি উদ্দিন, আমির আলী, রোজিনা বেগম, কমলা বালা জল দাশ এরা বলেন, আমাদের কাজ নেই, কোন কর্ম নেই, কোথায় যাব তারও কোন কুল কিনারা পাচ্ছিনা। নিজস্ব কোন সম্পত্তি নেই যে মাথায় গোজার ঠাঁই করে নিব। সরকারের পক্ষ হতে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সাহায্য পাচ্ছিনা যে সোজা হয়ে দাঁড়াবো। আর একদিন পরে আমাদের ঈদ ছেলে মেয়েদের যে একটি নুতন জামা কাপড় কিনে দিব মা, বাবা হয়ে তাও পারছিনা। আমাদের মতো দুঃখি মানুষের কান্না কেউ শোনেনা।

পঙ্গু হেলেনা বেগম বলেন, আমার ছোট ছেলে মেয়েরা কান্না করছে মা আমাদের ঘরে ফিরে চল আর আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে মন চায়না। মায়ের দুঃখ চোখ বেয়ে পানি পড়ছে। আর বলছে বাবা আমাদের তো ঘর নেই থাকার জায়গা নেই কোথায় যাব।

এদিকে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা ঘর-বাড়ি হারা ৬৩ পরিবারের ২শত ৬৪জন আজ প্রায় ১৪দিন যাবত নিথর অবস্থায় পড়ে আছে।তারা বলেন, শুধু প্রশাসনের পক্ষ হতে খাবার পাচ্ছি। আর কোন সাহায্য বা আমাদের কোন আশ্রয় দেওয়া হবে কিনা তা কেউ বলছেনা। এ রমযান মাসে আমরা সরকারকে বলতে চাই আমাদের চিরস্থায়ীর জন্য ঠাঁই দেওয়া হউক না হয় এ আশ্রয় কেন্দ্রে আমাদের সবাইকে মেরা ফেলা হউক।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন